বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে, যদিও চ্যালেঞ্জগুলি তাৎপর্যপূর্ণ রয়ে গেছে।
নীতি সংস্কার ও তদারকি: সরকার ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করতে নীতিগত সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে শাসন ও তত্ত্বাবধানের উন্নতির প্রচেষ্টা, বিশেষ করে রাষ্ট্র পরিচালিত ব্যাঙ্কগুলিতে যেখানে দুর্নীতি এবং অদক্ষতা প্রধান সমস্যা৷
একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন: স্বচ্ছতা আনতে, দুর্নীতির মূল কারণ চিহ্নিত করতে এবং উন্নতির জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। এই কমিশনের লক্ষ্য হবে রাজনৈতিক বিবেচনার পরিবর্তে পুঙ্খানুপুঙ্খ ঝুঁকি মূল্যায়নের ভিত্তিতে ঋণ মঞ্জুর করা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী করা: বাংলাদেশ ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এটি কার্যকরভাবে ব্যাংকিং খাতকে নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য এর স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আইনি ও বিচারিক পরিবেশ: একটি অনুকূল আইনি ও বিচারিক পরিবেশ তৈরি করাও একটি অগ্রাধিকার। এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির নিরীক্ষণ এবং মোকাবেলার জন্য অখণ্ডতা এবং সময়মত ডেটার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।
এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, দুর্নীতি উপলব্ধি সূচক (CPI) 2023 ইঙ্গিত করে যে বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি গুরুতর সমস্যা রয়ে গেছে, দেশটি 12 বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্কোর করেছে। এটি কার্যকরভাবে দুর্নীতি মোকাবেলায় অব্যাহত এবং আরও শক্তিশালী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।