حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ لاَ يَجْعَلَنَّ أَحَدُكُمْ لِلشَيْطَانِ شَيْئًا مِنْ صَلاَتِهِ، يَرَى أَنَّ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَنْصَرِفَ إِلاَّ عَنْ يَمِينِهِ لَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَثِيرًا يَنْصَرِفُ عَنْ يَسَارِهِ
আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ (ইব্নু মাসঊদ) (রাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন স্বীয় সলাতের কোন কিছু শয়তানের জন্য না করে। তা হল, শুধুমাত্র ডান দিকে ফিরা আবশ্যক মনে করা। আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অধিকাংশ সময়ই বাম দিকে ফিরতে দেখেছি।
*ইকামত হয়ে গেলে কোন নাফল সলাত আদায় করা যাবেনা, এ সংক্রান্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় অনেকে ইকামত হয়ে যাবার পরও নফল সলাত আদায় করতে থাকেন। বিশেষ করে ফাজরের সলাত চলাকালীন সময়ে অনেককেই দেখা যায় সুন্নাত দু’রাকাত সলাত আদায় করতে। ফাজরের জামা’আত চলতে থাকলে ঐ জামা’আতে শামীল না হয়ে তাড়াহুড়ো করে সুন্নাত পড়ে জামা’আতে শামিল হয়া হাদীসের বিরোধিতা করার সামিল।
প্রমাণ নিম্নের হাদীসগুলোঃ
‘আব্দুল্লাহ ইবনু সারজাস বলেন, এক ব্যক্তি এল। তখন রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ফজরের সলাতে ছিলেন। ফলে লোকটি দু’রাক’আত আদায় করে জামা’আতে প্রবেশ করল। রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)সলাত শেষ করে তাকে বললেন, ওহো অমুক! সলাত কোনটি! যেটি আমাদের সঙ্গে আদায় করলে সেটি না যেটি তুমি একা আদায় করলে? (নাসায়ী মাবসুত ১ম খণ্ড ১০১ পৃষ্ঠা লাহোরী ছাপা) নাবী বলেছেন, যখন ফারয সলাতে তাকবীর দেয়া হয়ে যায় তখন ফারয সলাত ব্যতীত অন্য কোন (নাফল বা সুন্নাত) সলাত হবে না। (মুসলীম, মিশকাত ৯৬ পৃষ্ঠা)
হানাফী ইমাম মুহাম্মাদ বলেন, সুন্নাত না আদায় করে জামা’আতেই ধুকতে হবে। (মাসবুত ১ম খণ্ড ১৬৭ পৃষ্ঠা) ফাজরের সুন্নাত সলাত ছুটে গেলে ফারয সলাত আদায়ের পর পরই পড়ে নিবে অথবা কোন জরুরী প্রয়োজন থাকলে এ দু’রাক’আত সলাত সুর্যোদয়ের পরেও পড়তে পারবেন। (তিরমিযী ১ম খণ্ড)
(বুখারী পর্ব ১০ : /১৯৫ হাঃ ৮৫২, মুসলিম ৬/৭, হাঃ ৭০৭)
আল লু'লু ওয়াল মারজান, হাদিস নং ৪১২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস