আত্মরক্ষা কৌশল হলো এমন কিছু পদ্ধতি ও কৌশল, যা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতির মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে, যা আক্রমণ বা বিপদজনক পরিস্থিতিতে নিজেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। আত্মরক্ষা কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো আক্রমণকারীকে নিরস্ত করা, নিজেকে নিরাপদ রাখা এবং পালানোর সুযোগ তৈরি করা।
প্রথমত, আত্মরক্ষার কিছু সহজ শারীরিক কৌশল হলো আঘাতের নির্দিষ্ট স্থান, যেমন আক্রমণকারীর চোখ, নাক বা গলা লক্ষ্য করা। এগুলো দুর্বল স্থান, যা আঘাত করলে আক্রমণকারী সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, শিখতে হয় কীভাবে বিপদজনক পরিস্থিতি চিহ্নিত করে দ্রুত পালানোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এছাড়া নিজের শরীরকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শেখা যেমন কিক, পাঞ্চ, বা নিজেকে মুক্ত করার কৌশলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।
আত্মরক্ষায় মানসিক প্রস্তুতিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিপদে কীভাবে শান্ত থাকা যায়, পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা, এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া—এই দক্ষতাগুলো আত্মরক্ষার অংশ। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়, যা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জোরদার করে।