বাংলাদেশ বর্তমানে গভীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি জনগণকে চরম দুর্ভোগে ফেলছে। বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি দেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তুলছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অস্থির। জনগণের ব্যাপক প্রতিবাদ ও সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের জেরে সরকারে পরিবর্তন এসেছে। দেশের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে যা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
অর্থনৈতিক সংগ্রাম
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এটি জনসংখ্যার উপর একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা চাপিয়েছে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের গোষ্ঠী যারা মৌলিক প্রয়োজনীয়তা সামলানোর জন্য সংগ্রাম করছে। অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের দ্বারা আরও জটিল হয়েছে, যা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে সম্মিলিতভাবে চাপিয়ে দিয়েছে। সরকার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, তবে এই প্রচেষ্টাগুলির কার্যকারিতা দেখতে বাকি রয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট অত্যন্ত অস্থির। সাম্প্রতিক গণবিক্ষোভের ফলে সরকারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে, যার মধ্যে প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পদত্যাগও হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ, দুর্নীতির অভিযোগ এবং রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে এই অস্থিরতা বেড়েছে। শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামরিক বাহিনী পদক্ষেপ নিয়েছে। এই হস্তক্ষেপটি মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সাথে দেখা হয়েছে, কেউ কেউ এটিকে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসাবে দেখেছেন, অন্যরা আশঙ্কা করছেন এটি আরও কর্তৃত্ববাদের দিকে নিয়ে যেতে পারে।