বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে, যা সিভিল সার্ভিসের চাকরির জন্য কোটা পদ্ধতি পুনঃস্থাপনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল, দেশটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার সম্মুখীন হয়েছে। হিংসাত্মক সংঘর্ষ এবং সরকারী দমন-পীড়ন দ্বারা চিহ্নিত বিক্ষোভে শত শত মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে। এই সংকটের মধ্যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য কর্মসূচিগুলো এগিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘ (ইউএন) সক্রিয়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থিতিশীলতা ও পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে সহায়তা প্রদান করছে। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (IRC)ও জড়িত ছিল, যদিও নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে এর কিছু কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। IRC স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, শিক্ষা, এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য।
উপরন্তু, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি তাৎক্ষণিক মানবিক প্রয়োজন এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করছে। এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে জরুরী ত্রাণ প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলিকে সহায়তা করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা অন্তর্ভুক্ত।
পুনরুদ্ধারের পথটি চ্যালেঞ্জিং হলেও, আন্তর্জাতিক সাহায্য কর্মসূচি এবং স্থানীয় উদ্যোগের সম্মিলিত প্রচেষ্টা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার আশা জাগিয়ে রাখছে।