সামাজিক মাধ্যম মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, তবে এর প্রভাব সবসময় ইতিবাচক নয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা এবং নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করার প্রবণতা মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশার সৃষ্টি করতে পারে। অন্যের "সাফল্য" বা "খুশির" মুহূর্ত দেখে অনেকেই নিজের জীবনের প্রতি অসন্তুষ্টি অনুভব করতে পারে।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মে মানুষ সাধারণত তাদের জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো শেয়ার করে। এতে একজন ব্যক্তি তাদের নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ মনে করতে পারেন। এছাড়া, সামাজিক মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার নিদ্রাহীনতা ও একাকীত্বের কারণ হতে পারে। এর ফলে মানসিক সুস্থতা বিঘ্নিত হয়।
তবে, সামাজিক মাধ্যমের কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। এটি মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং সহমর্মী সমর্থন পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। তবে, এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত ও সচেতন হতে হবে। অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার কমিয়ে স্বাস্থ্যকর যোগাযোগ ও স্বস্তির পরিবেশ নিশ্চিত করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।