ফ্রিল্যান্সিং ও গিগ ইকোনমি বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। প্রচলিত চাকরির বাইরে গিয়ে মানুষ এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে এবং নিজের সময় ও কাজের ধরণ নিজেই নির্ধারণ করতে পারছে। ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ, যেমন ডিজাইন, লেখালেখি, প্রোগ্রামিং, এবং মার্কেটিং-এর কাজ গ্রহণ করতে পারে।
গিগ ইকোনমি এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে স্বল্পমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে কাজ করা হয়। এতে কর্মীরা পার্ট-টাইম বা অস্থায়ী প্রকল্পে কাজ করে, যা অনেক ক্ষেত্রে তাদের স্থায়ী চাকরির চেয়ে বেশি স্বাধীনতা দেয়। এর উদাহরণ হিসেবে রাইড-শেয়ারিং সার্ভিস, ফুড ডেলিভারি, এবং অনলাইন পরিষেবা সরবরাহকারী প্ল্যাটফর্মগুলো উল্লেখযোগ্য।
ফ্রিল্যান্সিং ও গিগ ইকোনমির মূল আকর্ষণ হলো এর নমনীয়তা এবং স্বাধীনতা। মানুষ তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ বেছে নিতে পারে, যা কর্মজীবনের উন্নতির জন্য সহায়ক। তবে, এর কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে, যেমন নির্দিষ্ট আয়ের অনিশ্চয়তা, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং সামাজিক সুরক্ষার অভাব।
তবুও, ফ্রিল্যান্সিং ও গিগ ইকোনমি আধুনিক অর্থনীতির একটি স্থায়ী অংশ হিসেবে বিকশিত হচ্ছে এবং এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।