ইন্টারনেট সেবার প্রসার বর্তমানে বৈশ্বিক অগ্রগতির একটি প্রধান উপাদান। গত দশকগুলিতে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেটের প্রাপ্যতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মোবাইল ডিভাইসের বিস্তার এবং ৪জি ও ৫জি নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগকে আরও সহজলভ্য করেছে।
ইন্টারনেট সেবার প্রসার শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন এনেছে। অনলাইন শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল লার্নিং রিসোর্সগুলি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বব্যাপী শিক্ষা উপকরণ সহজলভ্য করে তুলেছে। স্বাস্থ্যসেবা, সরকারী সেবা এবং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারে পরিসেবা সহজতর হয়েছে এবং কাজের গতি বেড়েছে।
তবে, ইন্টারনেট সেবার বৈষম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। উন্নয়নশীল অঞ্চলে সেবার অবকাঠামো সীমিত থাকায় ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার সীমিত। ডিজিটাল বিভাজন কমানোর জন্য সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়ন, ওয়াইফাই ও ব্রডব্যান্ড সেবা সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রবেশযোগ্যতার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
সমগ্র বিশ্বে ইন্টারনেট সেবার প্রসার আধুনিক সমাজকে আরও সংযুক্ত ও উন্নত করতে সাহায্য করছে, তবে তা সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া জরুরি।