জারুল: আমাদের এড়িয়ে যাওয়া একটি উপকারী গাছ

Comments · 560 Views

জারুল, বাংলাদেশের গ্রামীণ পরিবেশের একটি পরিচিত গাছ। বেগুনি রঙের সুন্দর ফুল এবং শক্ত কাঠের জন্য পরিচিত এই গাছের উপকারিতা আপনাকে বিস্মিত করবে।

জারুল গাছ একটি অতি পরিচিত নাম। প্রকৃতিকে মাতাল রাখতে জারুল ফুলের জুড়ি নেই। জারুল সাধারণত ফসলী জমির ধারে পরিত্যক্ত অবস্থায় জন্মে। জারুল ফুলের পাপড়ির কোমল রঙে প্রকৃতিকে আরো সুন্দর করে তোলে। এটি একটি পর্ণমোচী গাছ। যার বাকল মসৃণ এবং রং ধূসর বা ফ্যাকাশে ধূসর। ফুল হয় বেগুনি রঙের। জারুল কাঠ অত্যন্ত শক্ত, মসৃণ এবং টেকসই হয় যা পানির নিচেও ব্যবহার করা যায়। জারুল ফুল ও ফলের বিশাল সমাহার গ্রীষ্মকালে প্রকৃতিকে দিয়েছে এক অপরূপ সৌন্দর্য।

জারুল ফুলের আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায়। সারা বাংলাদেশে নীল ও গোলাপি জারুল ফুল দেখা যায়। এই পর্ণমোচী গাছ শীতকালে পাতাহীন হয়। বসন্তে গাঢ় নতুন সবুজ পাতা গজায়। জারুলের রঙ ও আকৃতি চোখ ধাঁধানো, ফুলে ছয়টি পাপড়ি এবং ফুলের মাঝখানে হলুদ পরাগ রয়েছে।

ঔষধি গুণ আছে। এর বীজ, বাকল ও পাতা ডায়াবেটিসের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জ্বর, অনিদ্রা, কাশি ও বদহজমেও জারুল উপকারী।
জারুল গাছের পাতা বিটে লাগালে বাতের ব্যথা উপশম হয়।
জারুল গাছের শিকড় পিষে এবং নিয়মিত রাতে গরম পানির সাথে খেলে অনিদ্রা দূর হয়।
জারুল গাছের শিকড় সিদ্ধ করে সেই পানি সকাল-বিকাল পান করলে জ্বর দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

জারুল গাছে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ফুল ফোটে। অক্টোবর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ফল পাকে। জারুল তার অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে সবাইকে। জারুল ফুলের আকৃতি ভিন্ন হলেও ফুলের রঙ সাধারণত কচুরি ফুলের মতো বেগুনি হয়। এক সময় জারুলকে অনেক দেখা গেলেও এখন আর কোথাও দেখা যায় না। এটি এখন বিলুপ্তির পথে।

Comments
Read more