ইসলাম

Comments · 3 Views

ইসলাম নিয়ে নারীর সংগ্রামী অনেক হাদিস কাহিনী শুনেছি।

বয়ান এ ১ দীন প্রচারে নারীর মেহনত

 

لحملة و تصلى على رسوله الكريم فاعوذ بالله من الشيطان الرحيم بسم الله الرحمن الرحيم الحسين النا خلقناكم عنا وأنكم إلَيْنَا لا تُرْجَعُونَ - صدق الله العظيم শ্রদ্ধেয় ভাই ও বোনেরা।

 

এ বিস্তৃত ভূমটেল ও বিস্তীর্ণ নভমণ্ডেলের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, তিনি মানব সমাজকে সৃজন করেছেন। মানব সমাজকে সৃজন করেছেন এক মহা উদ্দেশ্যে। সুতরাং ইহধামে আমাদের আগমন উদ্দেশ্যহীন নয়। ইরশাদ হচ্ছে-

 

الحسيتُمْ أَنَّمَا خَلَقَاكُمْ عَنَا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ

 

তোমরা কি মনে করেছো আমি তোমাদেরকে নিরর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না? [মুমিনুন। ১১৫।

 

আমরা আল্লাহ তাআলার মজবুত ও সুশৃংখল শাসননীতির অধীন। আমাদের মুখের বাণী, চোখের পলক, কানের শ্রবণ, এমনকি হৃদয়কন্দরে উদিত অনুপ্রেরণা ও অনুভূতি আল্লাহ তাআলার নিরঙ্কুশ তত্ত্বাবধানের আওতাধীন। ইরশাদ হচ্ছে-

 

ما يَلْفِظُ مِن قول إلا لديه رقيب عبيد.

 

মানুষ মুখে যাই উচ্চারণ করে তার নিকট প্রহরী প্রস্তুত। [কাফ: ১৮] আরও ইরশাদ হচ্ছে-

 

إنَّ عَلَيْكُمْ لَحا فظين كرَامًا كَانَين

 

অবশ্যই তোমাদের জন্যে রয়েছেন সংরক্ষণকারী, সম্মানিত লেখকবৃন্দ। 

সুতরাং আমরা সজাগ থাকি আর নিদ্রায় যাই, ব্যবসায় থাকি আর বাড়িতে, নিভৃতে একাকিত্ব থাকি না কেন দু'জন তত্ত্বাবধায়ক মর্যাদাশীল ফিরিশতা রয়েছে আমাদের পাহারায়। আমাদের ডান ও বাম কাঁবে নিয়োজিত এই ফিরিশতাগণ সদা নিবেদিত। তাদের নিদ্রা আসে না, পানাহার করতে হয় না। এমনকি আরামেরও প্রয়োজন পড়ে না। তাদের কাজ হল আমাদের প্রতিটি উচ্চারণ, চলন-বলন ও আচরণবিধির প্রতি সযত্ন দৃষ্টি রাখা।

 

মহিলাদের

 

আমলী বয়ান

 

প্রতিটি অঙ্গই জিজ্ঞাসিত হবে

 

মহান আল্লাহ কুরআনে কারীমে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিয়েছেন-

 

إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولا কান, চোখ, হৃদয় প্রত্যেকটি সম্পর্কেই জিজ্ঞেস করা হবে।

 

[বনী ইস্রাঈলঃ ৩৬)

 

এর ব্যাখ্যা হল- হে মানব সমাজ। তোমাদের দেখা, তোমাদের শোনা এবং তোমাদের হৃদয়ের কল্পনাগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। তাই আমার কাছে খুব সতর্কতার সাথে উপস্থিত হয়ো। যেদিন আমি প্রতিটি অঙ্গ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব, সেদিন কোন অঙ্গের উপর তোমার অধিকার থাকবে না। তোমার অঙ্গ আমার সামনে প্রতিটি প্রশ্নের পরিস্কার উত্তর দিবে। সেদিন হয়তো আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলবে, এ কী হল! আমার দেহ আমার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছে! তখন তারা তার উত্তরে বলবে-

 

انْطَقْنَا اللَّهُ الَّذِي أَنْطَقَ كُلَّ شَيْءٍ

 

আল্লাহ যিনি আমাদেরকে বাকশক্তি দিয়েছেন, তিনি সবকিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন। [হা-মীম সিজদা : ২১)

 

তখন তোমরা হয়তো বিস্মিত হয়ে বলবে-

 

তোমাদের ধ্বংস হোক! তোমাদের উৎসাহেই তো আমি আল্লাহ তাআলার নাফরমানী করেছিলাম। আর আজ তোমরা আমারই বিপক্ষে সাক্ষ্য দিলে!

 

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-

 

الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا

 

يكسبون .

 

আজ আমি এদের মুখে মোহর এঁটে দিবো, এদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং এদের পা সাক্ষ্য দিবে এদের কৃতকর্ম সম্পর্কে।

 

(ইয়াসিন : ৬৫)

 

এক কথায়, এই ধরাধামে নর-নারী-যত মানুষ এখানে অবস্থান করছে

 

তাদের প্রত্যেকের সাথেই রয়েছে সতর্ক পাহারাদারগণ। পাহারাদারগণ

 

লক্ষ্য করছেন তাদের আচরণবিধির গতি, শ্যান দৃষ্টি রাখছে তাদের

 

কৃতকর্মের প্রতি। একদিন তাদের সব কৃতকর্মের আমলনামা তাদের

 

সম্মুখপানে উপস্থাপন করা হবে। সুতরাং আমাদের হায়াতের কোন কিছুই

 

আল্লাহ তায়ালার দেখার বাইরে নয়। ইরশাদ হচ্ছে-মহিলাদের

 

20

 

আমলী বয়ান

 

يَعْلَمُونَ ظَاهِرًا مِنَ الْحَيَوةِ الدُّنْيَا وهم عن الآخرة هم عملون .

 

[রূম ঃ ৭)

 

 

পার্থিব জগতের বাহ্যিক সম্পর্কে অবগত। আর পরকাল সম্পর্কে উদাসীন।

 

 আমরা যারা এখন এই দুনিয়ায় বসবাস করছি, আমরা ভুলে গেছি এমাদের পরকালীন জীবনকে। আমরা ভুলে গেছি আমাদের সাথে সতর্ক রীর উপস্থিতিকে। আমরা আমাদের পরকাল সম্পর্কে উদাস ও এফেল। পরকালের শাস্তি সম্পর্কে বেপরোয়া। আল্লাহর অনুগ্রহ সম্পর্কেও খবর।

 

বান্দা। এ ইহকালের সবই তোমার

 

মহান আল্লাহ এই বিশাল জগত, জগতের বাইরে চাঁদ, সূর্য, গ্রহ- নক্ষত্র, আলো-বাতাস সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারার্থে। ইরশাদ হচ্ছে-

 

ابْنَ آدَمَ خَلَقْتُ السَّمَوتِ وَالْأَرْضَ - يَا ابْنَ آدَمَ خَلَقَتُ الْأَشْيَاءَ لِأَهْلِكَ অতঃপর ইরশাদ করেন-

 

فَلَا تَشْتَغِلُ بِمَا هُوَ لَكَ عَمَّنْ أَنْتَ لَهُ

 

তোমার জন্য যা কিছু সৃষ্টি করেছি সেগুলোর জালে আবদ্ধ হয়ে তোমাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করেছি সে কথা ভুলে যেয়ো না। এই পৃথিবী আমাদের জন্যে আর আমরা আল্লাহর জন্য।

 

মহান আল্লাহ বলেন, এই পৃথিবী তোমাদের খেদমতে নিয়োজিত।

 

কিন্তু তুমি এ কারণে আমাকে ভুলে যেয়ো না। আমার অবাধ্য হয়ো না।

 

পৃথিবীর সব সৃষ্টিজীব তোমার খেদমতে নিয়োজিত। তুমি যদি এই

 

পৃথিবীতে আমাকে অমান্য কর তবুও তুমি একই সেবা পাবে। সূর্য উঠবে,

 

পৃথিবীব্যাপী আলোকবর্তিকা ছড়াবে। সূর্যের কিরণ অত্যাচারীর ঘরও

 

আলোকিত করে, আলোকিত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারীর ঘরেও। ছোট

 

কক্ষেও সূর্যের আলো পৌছে, আলো পৌঁছে বড় কক্ষেও। আকাশে চাঁদ

 

ওঠে। চাঁদ আলো বিতরণ করে আল্লাহর অনুগত গ্রামে ও অবাধ্য গ্রামে।

 

মোটকথা, পৃথিবীর সকল সৃষ্টিজীব এক সুশৃঙ্খল নীতিমালার অধীনে অবিরাম অব্যাহত। সবাই মানুষের সেবায় নিয়োজিত। পক্ষান্তরে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন সম্পূর্ণ স্বাধীনরূপে। এই

 

মহিলাদের

 

২০

 

তীর আনের

 

ছেড়ে বেরিয়া

 

সেখান থেকে

 

সবই তাঁর

 

করবে এবং

 

কতগুলো

 

আঁটির ভো

 

আছে ফর

 

আমলী বয়ান

 

ধরাধামে তিনি আমাদেরকে পাকড়াও করেন না। এটাই আল্লাহ তায়ালার বিধান। কিন্তু এর অর্থ এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। নয়, আল্লাহ তাআলা অত্যাচারীদের অত্যাচার ইরশাদ হচ্ছে-

 

وَلا تَحْسَبَنَّ اللهَ غَافِلاً عَمَّا يَعْمَلُ الظَّلِمُونَ . তুমি কখনো মনে করো না অত্যাচারী সম্প্রদায় যা করে তা আল্লাহ উদাসীন।

 

[ইবরাহীম : ৪২]

 

আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কেই জ্ঞাত

 

এদুনিয়ার সব কিছু সম্পর্কেই আল্লাহ তাআলার জ্ঞানের আওতায়। ইরশাদ হচ্ছে-

 

وَأَسِرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِاجْهَرُوا بِهِ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ.

 

তোমরা তোমাদের কথা গোপনেই বল আর প্রকাশ্যে- তিনি অন্তর্যামী।

 

[মুল্কঃ ১৩)

 

এক কথায়, আল্লাহর জানার পরিধি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। তিনি ইরশাদ করেছেন- يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ তিনি জানেন যা জমিনে প্রবেশ করে। [সাবা: ২]

 

অর্থাৎ মাটির ভেতর লুকায়িত সত্যকেও তিনি জানেন। আরও ইরশাদ

 

وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ

 

এবং যা মাটি থেকে বের হয় এবং যা আকাশ থেকে অবতীর্ণ হয় তাও জানেন। [সাবা:২]

 

এক কথায়, এই পৃথিবীতে কতগুলো বৃক্ষ রয়েছে এবং সেই বৃদ্ধে কতগুলো পল্লব আছে তাও তিনি জানেন। শুধু কি তাই, গাছের কাটি পাতা ঝরে পড়লো তাও তাঁর জ্ঞানের বাইরে নয়। ইরশাদ হচ্ছে-

 

ومَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ.

 

যা কিছু মাটি থেকে উদগত হয় এবং যা কিছু আকাশ থেকে অবতীর্ণ হয় (সব কিছুর জ্ঞান তাঁর রয়েছে)।

 

[আনআম: ৫৯]

 

অথচ আমরা আমাদের বাড়ির পাশের বৃক্ষে কতটি পাতা আছে, প্রথমে এখান থেকে কতটি পাতা ঝরে যাচ্ছে তাও জানি না। পক্ষান্তরে যথাক আল্লাহ পৃথিবীব্যাপী বিস্তীর্ণ বিশাল অরণ্যের বিপুল বৃক্ষের পাতা-পশ্চাতো সম্পূর্ণ হিসেব রাখেন। উঁচু টিলায় কতটি বৃক্ষ রয়েছে, মরুভূমির অধ্যায়গা

 

পৃষ্ঠে রয়েছে কতগুলো, লাল হয়ে ঝরে পড়লো কতগুলো এর ফোনটি

 

মহিলাদের

 

আমলী নয়ান

 

বিজ্ঞানের বাইরে নয়। বৃক্ষে কতটি কলি ফুটলো, কতটি ফল আবরণ হড়ে বেরিয়ে এল এবং সেই ফলগুলো কখন পাকবে, কখন কাটা হবে, সেখান থেকে কতটি পাখি আহার করবে আর কতটি বাজারে বিক্রি হবে সবই তাঁর জানা। তিনি এটাও জানেন, এই ফল বাজার থেকে কে ক্রয় করবে এবং ফলের আঁটিগুলো কোথায় নিক্ষিপ্ত হবে। নিক্ষিপ্ত আঁটি থেকে কতগুলো বৃক্ষ সৃষ্টি হবে এর কোনটিই তাঁর অজানা নয়। অনন্তর এই আঁটির ভেতর কতটি বৃক্ষ অন্তর্হিত আছে, সে বৃক্ষের মাঝে অন্তর্হিত আছে কত ফল সেই হিসাবও তাঁর কাছে সুস্পষ্ট। এটাও তার জানা সেই লুকায়িত ফল কারা ভোগ করবে। শুধু বৃক্ষ আর ফল-মূলই নয়-এই ধরায় কতটি পাহাড়-পর্বত রয়েছে এবং সেই পাহাড়ের ওজন কত তাও তিনি জানেন। তিনি জানেন এই পাহাড়ের গর্ভে লুকিয়ে থাকা মূল্যবান খনিজ পদার্থ সম্পর্কে। সাগরে কী পরিমাণ পানি রয়েছে, কত সংখ্যক মাছ রয়েছে, বড় মাছের সংখ্যা কত আর ছোট মাছের সংখ্যা কত, অদ্য কতটি মাছ জন্ম নিল, কতটি মাছ ধরা পড়ল। তাছাড়া আজকে কতজন জেলের জালে বরং কার জালে কতটি মাছ ধরা পড়বে সবকিছুই তার নখদর্পনে। তিনি জানেন, এই মাছ কোন দেশের জেলেরা শিকার করবে আর বিক্রি হবে কোন দেশে। তিনি এটাও জানেন, পরিশেষে বাজারে থেকে কিনে এই মাছ কারা ভোগ করবে।

 

এজন্যেই আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

 

وَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ غَافِلاً عَمَّا يَعْمَلُ الظَّلِمُوْنَ .

 

তুমি কখনো মনে করো না অত্যাচারীদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ উদাস।

 

[ইবরাহীম: ৪২]

 

সুতরাং আল্লাহ তাআলা জালেমদেরকে পাকড়াও করছেন না বলে এমনটি ধারণা করার সুযোগ নেই যে, তিনি জানেন না। ইরশাদ হয়েছে-

 

أَفَأَمِنَ الَّذِينَ مَكَرُوا السَّيِّاتِ أَنْ يَخْسِفَ اللَّهُ بِهِمُ الْأَرْضَ.

 

যারা অপকর্মের ষড়যন্ত্র করে তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়ে পড়েছে যে, আল্লাহ তাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না?

 

[নাহল: ৪৫)

 

বরং তাদের অবস্থা সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে-মহিলাদের

 

২২ আমলী বয়ান بانهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ.

 

এমনভাবে তাদেরকে আযাব গ্রাস করে নিবে তারা টেরও পাবে না। (নাহল : ৪৫)

 

 

 

যখন আম

 

পৃথিবীর

 

তাআলা

 

ইরশাদ

 

তিনি আ

 

আরও

 

আরও ইরশাদ হয়েছে-

 

أَوْ يَأْخُذَهُمْ فِي تَقَلُّبِهِمْ فَمَاهُمْ بِمُعْجِزِيْنَ.

 

অথবা চলাফেরার অবস্থায় তিনি তাদেরকে পাকড়াও করবেন না? তারা তো তা ব্যর্থ করতে পারবে না। [নাহল: ৪৬]

 

আরও ইশদার হয়েছে- أَوْيَأْخُذَهُمْ عَلَى تَخَوُّفِ অথবা তাদেরকে তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় পাকড়াও করবেন না?

 

[নাহল: ৪৭]

 

আল্লাহ তাআলা একথা বারবার বলেছেন-তোমরা কি আকাশের অধিপস্থি সম্পর্কে নির্ভয় হয়ে পড়েছো? এ তোমাদের কী হল! ইরশাদ করেছেন,

 

أَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُوْرُ.

 

তোমরা কি নির্ভয় হয়ে পড়েছো যে, আকাশের অধিপতি তোমাদের যার এই পৃথিবীকে ধসিয়ে দিবেন না। অতঃপর তা থরথর করে কাঁপত্রে

 

থাকবে?

 

[মুলক: ১৬]

 

আরও ইরশাদ হয়েছে-

 

از استتم من فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُوْنَ كَيْفَ نَذِيرُ

 

তোমরা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়ে পড়েছ যে, আকাশের অধিপতি তোমাদের প্রতি কংকর বর্ষণ এবং ঝঞ্ঝা প্রেরণ করবেন না? তখন-গোম জানতে পারবে আমার সতর্কবাণী কেমন ছিল। [মুলক: ১৭

 

আদ সম্প্রদায়ের পরিণতি

 

তোমরা কি আদ সম্প্রদায়ের ইতিহাস ভুলে গেছ? মান সম্প্রদায়কে মহাঝড় গ্রাস করে নিয়েছিল।

 

فَتَرَى الْقَوْمَ فِيهَا صَرْعى

 

তখন তুমি উক্ত সম্প্রদায়কে দেখবে তারা সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে।

 

كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ خَاوِيَةٍ

 

 

মহিলাদের ২০ প্রশূন্য খর্জুর কাজের ন্যায়।

 

আমনী বয়ান হাক্কাহঃ ৭)

 

আল্লাহ তাআলার ইশারা হয়েছে প্রবলবেগে বাতাস এসে সমকালীন পৃথিবীর শক্তিশালী একটি জাতিকে চুরমার করে রেখে গেছে। আল্লাহ তাআলা দেখেছেন-আকাশ ও পৃথিবীর সকল সৃষ্টি তাঁর মুঠোর ভেতর। ইরশাদ হচ্ছে-

 

ينيك السموت والأرض أن تزولا তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে সংরক্ষণ করেন যাতে তারা স্থানচ্যুত না হয়।

 

(ফাতির : ৪১)

 

আরও ইরশাদ করেছেন- الخير كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ الَّتِي لَمْ يُخْلَقُ مِثْلُهَا فِي

 

তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক কী করেছিলেন? আদ বংশের ইরাম গোত্রের প্রতি-যারা অধিকারী ছিল সুউচ্চ প্রসাদের। যার সমতুল্য কোন দেশে নির্মিত হয়নি।

 

[ফাজর: ৬-৮।

 

আমরা ইতিহাস থেকে যতটুকু জানতে পারি, আদ সম্প্রদায়ের একেকজন মানুষ চল্লিশ পঞ্চাশ হাত লম্বা হত। এতটুকু উঁচু দৈহিক শক্তির অধিকারী করে আল্লাহ তাআলা আর কোন জাতিকে সৃষ্টি করেননি। তারা তিনশ' বছর বয়সে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাবালক হত। তাদের গড় আয়ু ছিল ছয়শ' থেকে নয়শ' বছর। তাদের কোন অসুখ বিসুখ হত না। তাদেরকে বার্ধক্য আক্রান্ত করত না। তাদের চুল সাদা হত না, দাঁত দুর্বল হত না। বয়সের ভারে তারা কখনও কুঁজো হত না। অথচ যখন আল্লাহ তাআলা চেয়েছেন তখন শক্তিশালী বিশাল এ জাতিকে বাতাসের ছোঁয়ায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন।

 

সামুদ সম্প্রদায়ের পরিণতি

 

সামুদ সম্প্রদায়ের পরিণতি সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে-

 

وَثَمُودَ الَّذِيْنَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ.

 

এবং সামুদের প্রতি? যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।

 

[ফাজর : ৯]

 

وَفِرْعَوْنَ ذِي الْأَوْتَادِ

 

মহিলাদের আমলী বয়ান এবং বহু সৈন্য-শিবিরের অধিপতি ফিরাউনের প্রতি। [ফাজর : ১০)

 

قضبُ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ

 

এবং সেখায় অশান্তি বৃদ্ধি করেছিল; অতঃপর তোমার প্রতিপালক তানের উপর শাস্তির কষাঘাত হানলেন। [ফাজর: ১২-১৩]

 

ومنهم من أخذ له الصيحة

 

তাদের কাউকে আঘাত করেছিল মহানাদ।

 

ومِنْهُمْ مَنْ أغرقنا

 

[আনকাবুত : ৪০]

 

এবং কাউকে কাউকে করেছিলাম পানিতে নিমজ্জিত। [আনকাবুতঃ৪০)

 

আল্লাহ তাআলা তাঁর পবিত্র কিতাবে অতীতকালের অবাধ্যদের ঘটনা শুনিয়ে বলেছেন, তোমরা পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখ-যারাই আমার অবাধ্য হয়েছে তাদেরকে আমি কিভাবে পাকড়াও করেছি। তোমাদের সাইন্স ও টেকনোলজি অতীতেও আমাকে দুর্বল করতে পারেনি, আমার হাত থেকে রক্ষা পায়নি, ভবিষ্যতেও পাবে না। কারণ, এই বিশাল পৃথিবী আমারই মুঠোয়।

 

إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا

 

পৃথিবী যখন আপন কম্পনে প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে। [যিলযাল: ১] অর্থাৎ এখনো যদি কোথাও ভূমিকম্পন শুরু হয় তাহলে সে কম্পন থেকে এই পৃথিবীর কেউ নিজেকে, নিজের আবাসকে রক্ষা করতে পারবে না। এটাই হল আল্লাহর কুদরত।

 

নূহ্ সম্প্রদায়ের পরিণাম

 

হযরত নূহ (আঃ) এর সম্প্রদায়কে গ্রাস করেছিল উত্তাল পানি। ইরশাদ হয়েছে-

 

فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُوْنًا فَالْتَقَى الْمَاءُ على أَمْرٍ قَدْ قدرٍ.

 

ফলে আমি উন্মুক্ত করে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবলবারি এবং মৃত্তিকা থেকে উৎসারিত করলাম প্রস্রবণ। অতঃপর হল এক পরিকল্পনা অনুসারে। সকল পানি মিলিত [ক্বামার: ১১-১২)মহিলাদের

 হাদীস আছে-আল্লাহ তাআলা যদি সেদিন কারো প্রতি অনুগ্রহ এন তাহলে সেই নারীর প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করতেন যে নারী বরাবল রবের পানি দেখে বাঁচার আকুতি নিয়ে দুগ্ধপায়ী নিস্পাপ শিশুকে নিয়ে থেকে বেরিয়ে পড়েছিল। পেছনে যেয়ে আসছে পানি। সে ছুটছে রামনের দিকে। ছুটতে ছুটতে একটি টিলায় গিয়ে উঠল। যখন টিলাটি পানি গ্রাস করে নিল তখন সে এর চেয়ে উঁচু আরেকটি টিলায় আশ্রয় দিল। যখন সেখানেও পানি পৌঁছে গেল তখন সে অঞ্চলের সর্বোচ্চ টিলায় লিয়ে আশ্রয় নিল। ধীরে ধীরে পানি সেখানেও পৌছে গেল। তারপর পানি তার পা এবং ক্রমাগত তার বুক পর্যন্ত পৌঁছে গেল। সে তার সন্তানটিকে উপরে তুলতে তুলতে কাঁধে তুলে নিল। পানি যখন কাঁধ পর্যন্ত পৌছে গেল তখন সে তার সন্তানকে উপরে তুলে ধরল। আমি মরে যাব তবুও যেন আমার সন্তান বেঁচে যায়। আর ঠিক সেই সময়ই একটি ক্ষিপ্র উত্তাল তরঙ্গ এসে তার সন্তানকে ছিনিয়ে নিল। অতঃপর সন্তানটিকে এবং তার মাকেও ডুবিয়ে মারল।

 

যুগে যুগে যারা আল্লাহর অবাধ্য হয়েছে এভাবেই তারা করুণ পরিণতির শিকার হয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেই গল্প শোনাচ্ছেন যেন আমরা তাঁর শক্তিকে উপলব্ধি করতে পারি।

 

তাঁর শক্তি অসীম। তিনি চাইলে কাউকে আজই ধরতে পারেন। বিজ্ঞানীরা চাইলেই তাঁকে পরাজিত করতে পারবে না। রকেট দৌড়েও তাঁর শক্তি সীমার বাইরে যেতে পারবে না। আল্লাহ তাআলার একটি ঝড় সৃষ্টিজগতের সকল কৌশলকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তিনি আমাদেরকে দেখছেন, আমাদের সবগুলো কথা তিনি শুনছেন। তিনি আমাদের সবকিছু সম্পর্কে যথাযথভাবে অবগত। তিনি সবকিছু সর্বদাই করতে পারেন। সকল সৃষ্টিজগত তাঁর কব্জায়। তিনি নিরঙ্কুশ শাসন ও ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর কোন সহযোগী কিংবা পরামর্শক নেই। তিনি একক বাদশাহ। তাঁর কোন শরীক নেই। নেই কোন সমকক্ষ। তাঁর কোন উপমা নেই- যাকে আমরা ভয় করব। তিনি ব্যতীত কোন প্রভুও নেই যার কাছে আমরা আশা করব। আল্লাহ ও আমাদের মাঝে এমন কোন মাধ্যমও নেই যাকে ঘুষ দিয়ে তাঁর পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। তাছাড়া এমন কোন উজিরও নেই যিনি সুপারিশ করে আমাদের কাজ করে দিবেন। বরং তিনি সদা সর্বত্র বিরাজমান।

Comments
Read more