বিনিয়োগ কৌশল হলো সঠিকভাবে সম্পদ বণ্টন এবং আর্থিক লক্ষ্য পূরণের জন্য পরিকল্পিত উপায়। সফল বিনিয়োগের জন্য কয়েকটি মূল কৌশল অনুসরণ করা দরকার।
প্রথমত, ঝুঁকি নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি সহনশীলতা অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে হবে। উচ্চ ঝুঁকির বিনিয়োগ যেমন শেয়ারবাজার বা ক্রিপ্টোকারেন্সি, বড় মুনাফা এনে দিতে পারে, তবে ক্ষতির সম্ভাবনাও বেশি থাকে। অন্যদিকে, স্থির আয়ের বিনিয়োগ যেমন বন্ড বা সঞ্চয়পত্র তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, তবে আয় কম।
দ্বিতীয়ত, পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ (ডাইভারসিফিকেশন) একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। বিভিন্ন ধরনের সম্পদে বিনিয়োগ করলে, একটি খাতের ক্ষতি অন্য খাতে পূরণ হতে পারে। এতে ঝুঁকি কমে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীল আয় নিশ্চিত হয়।
তৃতীয়ত, নিয়মিত বিনিয়োগ এবং সময়মতো বাজার পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সময়ের সাথে সাথে বাজারের অবস্থা পরিবর্তিত হয়, তাই বিনিয়োগকারীদের তাদের কৌশলগুলোও পর্যালোচনা করে সমন্বয় করতে হয়।
সবশেষে, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা অপরিহার্য। দ্রুত লাভের আশা না করে ধৈর্য ধরে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে অধিক মুনাফা লাভ সম্ভব।
সঠিক বিনিয়োগ কৌশল অনুসরণ করলে আর্থিক স্থিতি ও লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হয়।