সহকামিতা

Comments · 1 Views

মানবজাতির এক আদিমতম খেলা।

(প্রাপ্ত বয়স্ক ও উন্মুক্তমনাদের জন্য)

 

কামোত্তেজনার তোড়ে আর নিখুঁত শারীরিক কসরতের কারণে ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে আছে শাহাদাত। এসির ঠান্ডা বাতাসও যেন সেই উত্তেজনার ঘামকে শুকিয়ে দিতে পারছে না। ওর নিচের মেয়েটার উত্তেজনাও চরমে। ক্ষনে ক্ষনে পিঠ খামচে ধরে জানান দিচ্ছে, সেও উপভোগ করছে মানব জাতির এই আদিমতম খেলা। উত্তেজনা যখন চরমে শাহাদাতের ঠোঁট খেলা করছে মেয়েটার ঘাড়ে, দগদগে দাগ জানান দিচ্ছে ভালোবাসাহীন কামের ছোঁয়া। ঠিক তখনই বিরস সুরে মাথার কাছে থাকা ফোনটা বেজে উঠলো। কিন্তু শাহাদাত এই মূহুর্তটাকে একদমই মাটি করতে চাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে মেয়েটা একদম অন্যরকম। অন্য মেয়েদের মতন শুধু শরীর না মনেরও খোরাক মিটিয়ে চলেছে সে। মনে মনে নিজামকে বাহবা না দিয়ে পারলো না। সেই লেভেলের এক জিনিস হাজির করেছে সে এতদিন পরে। 

__ " ইউ আর টু মাচ হট ডিয়ার! ""

ঠিক বুকের মাঝে একটা চুমু দিয়েই মেয়েটা বিছানা ছাড়লো। ক্লান্ত শাহাদাতের মন চাচ্ছিলো, আর একটু পাশে থাকতে পারতো মেয়েটা। 

___ " তোমার নাম কি! "

___ " এই লাইনে কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে বলতে নেই ডিয়ার। আজকে জন্য আমি তোমার টিনা! "

ঠোঁটে দুষ্ট হাসি টেনে বলল মেয়েটা। শাহাদাত নিজের প্রতি একটু বিরক্তই লাগলো, এত এত মেয়েদের সাথে শুয়েছে। এই লাইনের মেয়েগুলো কখনো নাম বলে না, কাজ শেষ টাকা নিয়ে বিদায়। আর ও কখনওই এক মেয়েকে দুই তিন বারের বেশি সুযোগ দেয় নি। সিগারেট জ্বালিয়ে, মাথার কাছ থেকে টেনে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো শ্রাবনী কল দিয়েছে পাঁচবার। বিরক্তিতে কুঁচকে আসলো শাহাদাতের কপালের চামড়া। এই মেয়ে মানুষটাকে এত বিরক্তি লাগে ওর সেটা বলে বোঝাবার মতন নয়। কিন্তু কিছু জিনিষ আছে, যা মুখে নিয়ে বাইরেও ফেলা যায় না। গিলে ফেললেও ভেজাল। শ্রাবনীও ওর জীবনে সেই রকম এক জিনিষ। 

___ " এক্সকিউজমি, প্লীজ আমার পেমেন্টটা? "

মেয়েটার রিনঝিন গলায় শাহাদাতের ভাবনার দেওয়াল ভাঙ্গলো। মুচকি হেসে বলল,

___ " ইউ আর ফ্যান্টাসটিক, যদি আবার চাই পাওয়া যাবে তো! "

__ " হোয়াই নট ডিয়ার, বাট এবার এক দুই ঘন্টার জন্য নয়। কয়েকদিনের জন্য চাইতে পারো। আই ডোন্ট মাইন্ড। "

আলতো ছোঁয়ায় শাহাদাতের নাকের উপর জমে থাকা ঘামটুকু সরিয়ে দিল টিনা। মেয়েটা আসলেই একটু অন্যরকম, শরীরের ক্ষুধা মিটলেও কেন জানি না মনের ক্ষুধা বেড়েই যাচ্ছে৷ 

___ " বাইরে আমার পি এ বসে আছে, ওর কাছ থেকে পেমেন্ট নিয়ে যেও। আর হ্যাঁ তোমার কন্ট্রাক্ট নাম্বারটা দিয়ে যেও ওর কাছে। নেক্সট পেমেন্ট কামিং সুন.."!

এটুকু বলেই শাহাদাত চোখ টিপ দিলো। মেয়েটা আবারও সেই মাতাল করা হাসি দিয়ে, হাই হিলের খটখট আওয়াজ তুলে বেরিয়ে গেল। 

 

ধীরে সুস্থে শাহাদাত ফোন দিলো শ্রাবনীকে, বার দুয়েক পরেই কলটা রিসিভ হলো, 

___ " শাহাদাত তোমাকে আমি কখনোই অকারণে কল করি না। আজকে রুশদির বার্থডে ছিল। আর সেখানে যাবে বলে তুমি প্রমিজ করেছিলে। "

এতটুকু বলেই দম ফেললো শ্রাবনী, তারপর অপেক্ষা করতে লাগলো অপরপ্রান্তের উত্তরের জন্য, 

___ " ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং ছিল, আর এসব ফাংশন এটেন্ড করার জন্য তুমি তো আছোই। দামি একটা গিফট দিতে বলেছিলাম রুশদিকে, দিয়েছিলে!"

অনেকটা শীতল কণ্ঠে উত্তর দিলো শাহাদাত। শ্রাবনীর গলা মুচড়িয়ে কান্না যেন দলা পাকিয়ে আসতে লাগলো। কান্নাটা এক নিঃশ্বাসে গিলে ফেললো ও, তারপর বলল, 

___ " ইদানীং খুব বেশি টাকায় মাপতে শুরু করেছো সবাইকে, তাই না শাহাদাত? কিন্তু ও একটা বাচ্চা ছেলে, এটলিস্ট ওকে এই তালিকা থেকে দূরে রাখতে পারতে। "

এটুকু বলেই ফোনটা কেটে দিলো ও। ইদানীং কেমন জানি পাষানের মতন হয়ে গিয়েছে শ্রাবনী। আগের মতন কোন কিছুই ছুঁতে পারে না তাকে। 

 

ফ্রেশ হয়ে জামাকাপড় পরে রেডি হয়ে হোটেল রুম থেকে বের হতে হতে, আবার সিগারেট ধরালো শাহাদাত। রিসিপশনের দামি নরম গদিতে এলিয়ে ফোনে মগ্ন ছিল নিজাম। শাহাদাতকে বের হতে দেখেই ওর পাশে যেয়ে হাঁটতে লাগলো। 

___ " নিজাম এই মেয়েটাকে নিয়ে কয়েকদিন পর কক্সবাজার যেতে চাই সব এরেঞ্জ করো। "

___ " জ্বি স্যার "।

___ " আর শোনো সেদিন যে বিজনেস ডিলটা হলো, সেখানের প্রফিট থেকে আগে অর্ধেক সাইড করবে। বাকি অর্ধেক সবার সামনে শো করবে। " 

শাহাদাত এবার দাঁড়িয়ে পড়লেন গাড়ির জন্য। নিজাম আবার অনুগত ভৃত্য এর মতন মাথা নাড়ালো। এরপর অনেকটা মিনমিনে সুরে বলল,

___ " স্যার, ম্যাডাম একটু আগে কল দিয়েছিলেন আমাকে। আপনি কই সেটা জানতে! আমি বলেছি আপনি মিটিংয়ে ব্যস্ত।"

এটুকু বলেই সামনের গাড়ির দরজাটা খুলে ধরলো ও। শাহাদাতের কিছু বলতে যেয়েও, চুপ করে গাড়িতে উঠে নিজেকে এলিয়ে দিলেন নরম সিটের মধ্যে। 

শ্রাবনীর সাথে শাহদাতের পরিচয় ভার্সিটির কোন এক অনুষ্ঠান থেকে। সেই পরিচয় প্রনয়ে যে কখন রুপ বদলিয়েছিল সেটা মনে হয় ওরা দুইজনই টের পায় নি। ক্লাসের শেষে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে অথবা কোন পার্কে চলতো ওদের প্রেম পর্ব। কখনও রেস্তোরায় গেলে দুজনেরই মাস শেষে হাত টানাটানি পড়ে যেতো। তখন জীবনে টাকা ছিল না কিন্তু, শান্তির যেন কোন কমতিই ছিল না। গাছের নিচে বসে শ্রাবনী শাহাদাতের কাঁধে মাথা দিয়ে ছোট্ট একটা সংসারের স্বপ্ন বুনতো। কিভাবে সংসার সাজাবে, শাহাদাত দেরিতে আসলে তাকে কি কি শাস্তি দেবে, আরো কত কি! সেসব দিনের কথা ভেবে ওর শুধু বুক চিরে এক দীর্ঘশ্বাসই আসে। আসলেই মানুষ সময়ের সাথে কতোই না বদলে যায়। এত বড় একটা ফ্লাটে থাকে কিন্তু এখনও শাহাদাতের চোখে শ্রাবনীর সেই ছোট্ট সংসারটার ছবিইই ভেসে ওঠে। 

লিফটের দরজা খুলতেই শাহাদাত দেখলো ফ্লাটের দরজাটা হাঁ করে খোলা। ওর দামি হাত ঘড়িরটা তখন জানান দিচ্ছে, মধ্যরাত পার হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুক্ষন আগেই। এত হাই সিকিউরিটির ফ্লাটে থাকার কারনে ওর মনে আশংকা না আসলেও, শংকা এসে ভিড় করলো। এত রাতে মেইন দরজা খুলে রাখার কারণ কি? ঘরে ঢুকেই শাহাদাত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। অন্ধকারে শ্রাবনী চুপ করে সোফায় বসে আছে। রুমের আলো জ্বালতেই ও সরাসরি শাহাদাতের দিকে তাকালো, কেন জানি না শাহাদাতের মনে হলো সেই তীক্ষ্ণ চাউনি ওকে এফোঁড়ওফোঁড় করে দিয়ে যাচ্ছে৷ একটু গলা খাকারি দিয়ে বলল, 

___ " কি ব্যাপার রাত দুপুরে এমন হাট করে দরজা খুলে বসে আছো কেন? চোর ডাকাতের অভাব আছে নাকি দেশে? "

___ " আসলেই অভাব নেই, কিন্তু এসে নেবেটা কি আমার থেকে? সবচেয়ে দামি জিনিসটাই তো চুরি হয়ে গিয়েছে আমার থেকে। "

শ্রাবণী কান্না ভেজা কন্ঠে বলল। শাহাদাত চোখ মুখ কুঁচকে, কোন উত্তর না দিয়েই ওর রুমের দিকে চলে গেল। পিছনে শ্রাবনী ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো। এই শাহাদাতকে কি ও ভালোবেসে ছিল। কই না তো, আগে শ্রাবনী ছাড়া অন্য কেউ ওর জীবনে ছিল না। আর এখন...... এসব ভাবতেই আবারও চোখের পানি উপচিয়ে ওর গাল বেয়ে পড়তে থাকলো। গত সাত বছর ও আছে শাহাদাতের সাথে, কিন্তু এই থাকার চেয়ে না থাকাটাই যেন উত্তম। এভাবে তো বেঁচে থাকার কোন মানেই নেই। আজকেই কথা বলতে হবে শাহাদাতের সাথে। 

শাহাদাত সবে মাত্র শাওয়ার নিয়ে বের হয়েছে। পানির ফোঁটা এখনও চুলের আগায় চিকচিক করছে ওর৷ এমন সময় শ্রাবনী দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই, শাহাদাত ওর দিকে সরাসরি তাকালো। কিন্তু শ্রাবনীর চোখ পড়লো ওর গলার নিচের কালচে লাল দাগটার দিকে। চোখ ভরা পানি আর মুখে বাঁকা হাসি, বেশ ভয়াবহই লাগতে লাগলো ওকে। 

___ " আচ্ছা তুমি অন্য মেয়েদের কাছে কেন যাও, আমার কি কম আছে বলো তো? আমার জন্য এখনও কত ছেলে পাগল তুমি জানতে চাও? "

শ্রাবনী কথা গুলো বলেই, তাকিয়ে রইল ওর দিকে। 

___ " আমাকে আমার মতন থাকতে দেও, তুমি তোমার মতন থাকো। পারসোনাল লাইফে ইন্টারফেয়ারেন্স আমি পছন্দ করি না শ্রাবনী৷ সেটা নিশ্চয়ই তুমি জানো! "

___ " আমি আমার দোষ জানতে চাই শাহাদাত? নাকি আমার ক্ষেত্রে তুমি অক্ষম?"

নিজের পুরুষত্বের প্রতি প্রশ্ন শুনেই শাহাদাত ছুটে গিয়ে শ্রাবনীর বাহু শক্ত করে চেপে ধরলো। হিসহিসিয়ে বলল, 

___ " আমার পুরুষত্ব... তাই না? আগে পাগল ছিলাম তোমার মতন মেয়ে মানুষের জন্য৷ বিয়ের পর থেকে কয়দিন আমার ইচ্ছা মতন তোমাকে ধরতে দিয়েছো আমায়? আজ মুড নেই,তো কাল ঘুমে সমস্যা, ফিগার নষ্ট হয়ে যাবে আর কত এক্সকিউজ দিয়েছো, সেটা কি ভুলে গিয়েছ তুমি? দিনের পর দিন অন্য ঘরে ঘুমিয়েছো, শুধু মাত্র টাকার জন্য। শ্রাবনী আজকে আমি লাখ লাখ টাকা তোমার হাতে এনে দেই। এই আমাকে তো তোমার দরকার নেই, শুধু দরকার হলো টাকার। " 

এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে থামলো শাহাদাত। মুখে বিজয়ীর হাসি টেনে বলল, 

___ " এখন তুমি আর আমাকে টানতে পারো না শ্রাবনী। তোমাকে দেখলে আমার ঘেন্না হয়। ঘরে একটা বউয়ের দরকার, সেটা আছো এতটুকুই তোমার আমার সম্পর্ক। এর বেশি আমার কাছ থেকে আশা করো না ভুলেও।"

শ্রাবনী যেন বিশ্বাসই কর‍তে পারছে না শাহাদাতের কথাগুলো। ওর মনে হচ্ছে এই মানুষটাকে ও চেনে না। নিজের শরীর সম্পর্কে ও বরাবরই সচেতন। কিন্তু তাই বলে ব্যাপারটা আসলেই এতদূর অব্দি গড়াবে সেটা ওর কল্পনার বাইরে ছিল। 

___" আমি কি তোমার জন্য কিছুই করি নি?তোমার জীবনে আমার কি কোন ভূমিকাই নেই? "

কান্নাভরা গলায় প্রশ্ন করলো শ্রাবনী। এবার বেশ জোরেই হাসলো শাহাদাত৷ টিশার্ট হাতে নিয়ে গায়ে গলাতে গলাতে বলল, 

___ " কেন থাকবে না অবশ্যই আছে। টাকা কামানোর জন্য চরম ভাবে পুশটা তুমিই তো আমাকে করেছিলে। আমার মা বাবার থেকে আলাদা করার কাজটাও তুমিই করেছো। তোমার ফ্যামিলিই তোমার কাছে সব আর আমি হতভাগা মায়ের মৃত্যুর খবরটাও পেয়েছিলাম তিনদিন পর। এই হচ্ছে আমার লাইফে তোমার ভূমিকা। আজ পর্যন্ত একটা বাচ্চা নেও নি তুমি শুধু দ্বায়িত্ব আর ফিগার নষ্টের ভয়ে। আমি কেন তোমাকে ভালোবাসবো শ্রাবনী।"

শাহাদাতের প্রশ্নের কোন উত্তর নেই শ্রাবনীর কাছে। কারণ ওর প্রতিটা কথা সত্যি। এতদিন এগুলোকে কোন পাত্তাই দিতো না শ্রাবনী। কিন্তু আজকে বুঝতে পারছে, এসব জিনিসগুলোই শাহাদাতে ওর থেকে যোজন যোজন দূরে নিয়ে গিয়েছে। 

___" আমাকে আমার মতন থাকতে দেও শ্রাবনী। এখান থেকে যাও। "

মাথা চেপে ধরে খাটের উপর বসে রইল শাহাদাত৷ 

 

শ্রাবনী বেরিয়ে যেতেই, ওর মনে হলো আজকে মন প্রচন্ড হালকা হয়ে গিয়েছে। এতদিনে জমানো ক্ষোভ আজকে ও উগড়ে দিতে পেরেছে। এই সমাজে সবাই শুধু নারীর চোখের পানিটাই দেখে। কিন্তু পুরুষদের বুকের রক্তক্ষরনটা দেখার মতন দৃষ্টি যেন এ সমাজের নেই৷ শাহাদাত জানে শ্রাবনী আর ওর সম্পর্কটা ঠিক হবার নয়। আবার সম্পর্ক চুকিয়ে দেবার মতনও হয়৷ এ সমাজে এমন অনেক শ্রাবনীরা আছে, যারা শুধু নিতেই শিখে গেছে। কিন্তু দেওয়ার বেলায় তারা যে অনেক কৃপন। কিন্তু ভালোবাসা যে দেনাপাওনার খেলা।

পরের দিন বেশ বেলা করেই শাহাদাতের ঘুম ভাঙ্গে। কিন্তু কেন জানি না ওর মনে একটা কামড় দিয়ে যায়। বিছানা ছেড়ে ডাইনিং রুমে আসতেই, মনে হয় কি যেন ঠিক নেই। তখন মনে পড়ে শ্রাবনী এসময় টেবিলে বাস্তা দেয়, বুয়ার সাথে কথা বলে। আজ সব এত নিরব কেন? ছুটে ও শ্রাবনীর রুমে যায়, দরজা খুলতেই দেখে পুরো রুম খালি। খাটের উপর একটা কাগজ বালিশ চাপা দেওয়া। শাহাদাত তাড়াতাড়ি কাগজটা হাতে নিয়েই দেখে, শ্রাবনীর হাতের লেখা। ও পড়তে শুরু করে৷ ছেলে মানুষের কাঁদতে নেই, তারপর শাহাদাতের চোখের কোনায় পানি চিকচিক কর‍তে লাগলো। 

" তোমাকে কোন সম্বোধন করার ভাষা আমার নেই। কাল রাতে তোমার করা প্রতিটি আরোপ সত্যি। আসলে ব্যাপারগুলো আমি জানতাম, কিন্তু তুমি যে এতটা ভয়াবহ ভাবে নিয়েছিলে। সেটা ছিল ধারনার বাইরে। তুমি তো বরাবরই চুপ ছিলে সব ব্যাপারে, তাই হয়তো কখনও জানাই হয় নি তোমার মনের কথা। আর হ্যাঁ আমি ছিলাম টাকা নিয়ে ব্যস্ত৷ আর তুমি.... বাজারের মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত। আমি কিন্তু সব দোষের দোষী হলেও, নিজেকে বিলিয়ে দেই নি কারো কাছে। যাই হোক আমি চলে যাচ্ছি তোমার জীবন থেকে। যদি নিজেকে কখনও শুধরে নিতে পারি তাহলে ফিরে আসবো৷ ভালোবাসার দেনা পাওনায় আমি শুধুই নিয়েই গিয়েছি। তোমাকে দিতে পারি নি কিছুই। পারলে ক্ষমা করে দিও ........... ভালো থেকো। "

 

Comments
Read more