আধুনিক জেনেটিক্স হলো বিজ্ঞানীর জন্য এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে জীববিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয় বংশগতির মলিকুলার ভিত্তি নিয়ে। এই শাস্ত্রের মূল ভিত্তি ১৮৬০-এর দশকে গ্রেগর মেন্ডেলের আবিষ্কৃত বংশগতি সূত্রের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তবে ডিএনএ (DNA) আবিষ্কারের পর থেকে আধুনিক জেনেটিক্সে বিপ্লব ঘটেছে।
ডিএনএ হলো জীবের জিনগত উপাদান, যা সমস্ত শারীরিক বৈশিষ্ট্য এবং জীবনধারণের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। আধুনিক জেনেটিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো জিনোম সিকোয়েন্সিং, যা ডিএনএ-তে থাকা জিনের সঠিক ক্রম নির্ধারণ করে। এর ফলে, মানুষের জেনোম প্রজেক্টের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা মানব দেহের পুরো জিনগত মানচিত্র জানতে পেরেছি।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে জেনেটিক রোগ শনাক্তকরণ, ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের চিকিৎসা, এবং পিতা-মাতার বংশগত তথ্য বিশ্লেষণ করে শিশুর জিনগত রোগের ঝুঁকি পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, জিন এডিটিং প্রযুক্তি, যেমন ক্রিসপার (CRISPR), ব্যবহারের মাধ্যমে জিনে নির্দিষ্ট পরিবর্তন আনাও সম্ভব হচ্ছে।
তবে, জেনেটিক্সের এই অগ্রগতি নৈতিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জিনগত হেরফের নিয়ে উদ্বেগ, বিশেষত "ডিজাইনার বেবি" ধারণা, এখনো বিতর্কের বিষয়। তবুও, আধুনিক জেনেটিক্স চিকিৎসা ও গবেষণায় এক বিশাল সম্ভাবনা উন্মোচন করছে।