বিয়ের সপ্তম দিনই যখন ডিভোর্স পেপার হাতে বাপের বাড়ি উঠেছিলাম, বাবা তখনই স্ট্রোকই করে বসেছিলেন। একটুও না ঘাবড়ে সোজা হসপিটালে নিয়ে বাবাকে ভর্তি করিয়ে ছিলাম নিজেই। ছোট ভাইটা কথা না বলে চুপ করে চেয়ারে বসে ছিল, আর আমি..... হসপিটালের সিলিংয়ের সাদা কাবার্ড দেখতে দেখতে ভাবছিলাম দোষ কি ছিল আমার।
বিয়ের প্রথম রাতেই বুঝেছিলাম, আমার স্বামী বা শাশুড়ির কারো পছন্দই আমি ছিলাম না। শাশুড়ী তো বরন পর্যন্ত করতে আসেন নি, পরে শুনেছিলাম চাচী শাশুড়িরা খুব জোরাজুরি করে ধরে এনে বরণ করিয়ে ছিলেন। ঘোমটা মাথায় দিয়ে এক বুক আশা নিয়ে বসে ছিলাম বাসর ঘরে, চারদিকে নানান ফুলের মোহনীয় ঘ্রাণ, আবছা আলো সব মিলিয়ে একটু আগের বরণের ঘটনা ভুলে চুপ করে বসে ছিলাম কারো আশায়। কিন্তু সেই আশাটাও ভেঙ্গে গেল যখন চুপচাপ আরিফ এসে শুয়ে পড়লো ওপাশ ফিরে। ঘরে যে সে ব্যাতিত অন্য কেউ আছে সেটা যেন দেখলই না সে। প্রথমে অবাক হলেও একটু পরে প্রচন্ড আত্মসম্মানে এসে লাগলো ব্যাপারটা। কতক্ষন চুপ করে বসে ঘোমটা উঠিয়ে দেখলাম, ভাবলাম হয়তো খুব ক্লান্ত তাই এভাবে ঘুমিয়ে গেছে, কিন্তু পরে আবার ভাবলাম, একবার একটা কথা বলারও কি এনার্জি ছিল না উনার। হঠাৎ বুঝতে পারলাম এই অপমানটা চোখের নোনা জল হয়ে টপটপ করে পড়ছে গাল গড়িয়ে। মাস্টার্সের মাঝামাঝিই বাবা যখন আরিফের কথা আমাকে বলল তখন বাবাকে বলেছিলাম, " বাবা এত তাড়াতাড়ি বিয়ে কেন করবো আমি, পড়াশোনাটা তো আগে শেষ করি!" বাবা সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছিল,
" আচ্ছা মা তুই কেন এত গোঁ ধরতেছিস বল তো, বিয়ের পরে পড়বি, আরিফ খুব ভাল ছেলে। মুনীয়া মা আমার তুই আর না করিস না।"
মা ছাড়া বাবার কাছে মানুষ হওয়ার কারণে খুব দূর্বল ছিলাম তার উপরে৷ তাই চোখ বন্ধ করেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম বিয়েতে। বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে তিন দিন দেখা হয়েছিল কিন্তু আমার শাশুড়ী আসেন নি একদিনও। বিয়েতেও শুধু আরিফ আর ওর কয়েকজন বন্ধু এসেছি, ফ্যামিলির কেউই আসে নি। বাবা প্রশ্ন করতেই ওর এক বন্ধু হেসে বলেছি,
" আরে তালই সবার ভাইরাস জ্বর তাই আসে নাই, চিন্তার কিছুই নাই।"
বাবাও নিশ্চিত হয়েছিল সুন্দর এক আশ্বাস পেয়ে।
পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে যখন ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরের উদ্দ্যেশে বের হলাম তখনও আরিফ ঘুমাচ্ছে। আমাকে রান্না ঘরে দেখেই আমার শাশুড়ী বললেন,
তুমি ভাল করে তৈরী হয়ে নেও আমাদের কিছু আত্মীয় আসবে তোমাকে দেখতে।"
মনে মনে ভাবলাম যাক মহিলা আমার সাথে কথা তো বলেছেন। মাথা ঝাকিয়ে হ্যাঁ বোধক জবাব দিলাম, নাস্তার পরে আমার খালা শাশুড়িরা এসে হাজির । বিশাল এক গ্যাং মনে হয় কুড়ি পঁচিশেক মানুষ হবে। প্রথমে ঘোমটা সরাতেই সবাই মোটামুটি একদম নিরব হয়ে গেল, একটু পরেই শুরু হলো ফিসফিসানি। " এ কি বিয়ে করেছে আমাদের আরিফ, এ দেখি পাতিলের তলির চেয়ে কালো " ভিড়ের মধ্যে দিয়ে কে যেন বলে উঠলো। " রাতে তো অন্ধকারে এরে খুঁজেও পাওয়া যাবে না, আর বাচ্চাকাচ্চা হলেও তো মায়ের মতনই হবে" আবার আরেক জনের মন্তব্য। এসব মন্তব্য শুনে প্রথমে কান্না পেলেও পরে খুব হাসি পাচ্ছিল, বিয়ের দ্বিতীয় দিনই এরা হবু বাচ্চা নিয়ে চিন্তা করতেছে। আড়চোখে শাশুড়ী মায়ের দিকে তাকাতেই উনার চোখে এক আদিম হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ দেখলাম, চক্ষ দুটো জ্বলছে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে উনি খুব উপভোগ করছেন ব্যাপারটা। হঠাৎই যেন মাথায় ভুত চেপে গেল, লোক লজ্জা সব ভুলে মাথায় ঘোমটা একটু সরিয়ে উঠে দাঁড়ালাম, প্রচন্ড জিদ নিয়ে বললাম,
" বিয়ের আগে তো আমাকে দেখেই এনেছেন আপনারা, তখন গায়ের রং দেখেন নি। আর আর সাদা কালো সব আল্লাহর সৃষ্টি এটা নিয়ে এত কথার তো কোন প্রয়োজন দেখছি না আমি।"
আমার এটুকু কথাতেই যেন ভিমরুলের চাকে ঢিল পড়ার মতন হলো, সবাই নানান কথা বলতে লাগল। কেউ বলল, " আস্ত একটা বেয়াদব মেয়ে, বাপ মা শিক্ষা দেয় নি বড়দের সাথে কি করে কথা বলতে হয় সেটার" কেউ বা আবার আমার শাশুড়ীকে বলল, " তোমার বউয়ের এত রোয়াব দুই দিনেই মুখে মুখে তর্ক করা শুরু করছে, দিন তো আরো পড়েই আছে।" এত সব কিছুর রেজাল্ট পেলাম সন্ধ্যায়, আরিফ হুড়মুড়িয়ে ঘরের ঢুকেই আমার খোঁপার মুঠ চেপে ধরে বলল,
" কালির ঘরের কালি, খালি টাকার জন্য তোরে বিয়ে করেছি না হলে তোরে আমার ঘরের পাপোশও বানাতাম না। যা এক্ষুনি আমার মা খালাদের পায়ে ধরে মাফ চাইবি, যদি মাফ না চাস কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবো! "
সজোরে আরিফের হাত আমার চুল থেকে সরিয়ে জলন্ত চোখে তাকিয়ে বললাম,
" মাফ চাইবো কোন দুঃখে আমি কি করেছি, আমাকে সবার সামনে এমন অপমানের কারণ কি? "
আমার এমন রুপ দেখে আরিফ এক লাথি দিয়ে দরজস খুলে বেরিয়ে গিয়েছিল ঘর থেকে। বাকি যে পাঁচদিন ছিলাম ওই বাড়িতে প্রতিটা দিন মনে হয়েছে নিজেই নিজেকে শেষ করে দেই এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে। শেষের দিন তো আরিফ নিজেই এসে একটা খাম হাতে দিয়ে বলল,
" তোর মতন মেয়ের সাথে আমার সংসার করা সম্ভব না, তুই আমারে মাফ কর, তোর কারণে সংসারে এত এত অশান্তি। তোর সাথে সংসার করলে আমার যে বাচ্চা হবে সেটাও তোর মতন কয়লা হবে। চামড়ার এই রং তারপরেও এত এত তেজ।"
" আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে মাফ করার জন্য, আর হ্যাঁ আবারও বলে গেলাম গায়ের রঙটা এতটা ফ্যাক্ট না যতটা আপনারা এটাকে ফ্যাক্ট বানাচ্ছেন।"
এক কাপড়ে চলে এসেছিলাম ডিভোর্স পেপার হাতে নিয়ে, তারপর এই হসপিটালে বসে আছি। এত এত ধাক্কা গত কয়েকদিনে খেয়েছি, এখন আর কোন কিছুতেই বিচলিত করতে পারছে না যেন আমায়। নিজেকে নিজেই কেমন জানি না শক্ত করে ফেললাম, বাবা সে যাত্রায় অনেক নাকাল পোহায়ে সুস্থ হলেন, নিজেও আবার পড়াটা শুরু করলাম। ক্লাস, টিউশনি এসবের মাঝে ডুবে যেয়ে সেই সাতটা দিনের কথা ভুলে যেতে চাইলাম আমি। এমবিএ টা শেষ করেই একটা ব্যাংকে ক্যাশিয়ার পোষ্টে জয়েন করলাম, বাবা বার বার বলতেন,
" মুনিয়া মা আমি খুব অন্যায় করেছি তোর সাথে, আমাকে ক্ষমা করে দিস। "
বাবার কথা শুনে আমি বারবার ভাবতাম আসলেই কি দোষ বাবার, উনি তো আমার সুখের জন্যই নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছেন। আসলে দোষ কারো না দোষ আমার কপালের, আর এই নিয়তি মেনে নিয়েছিলাম। সারাদিন কাজ করে রাতে পড়তাম বিসিএসের পড়া, এমন করেই জীবন থেকে চলে যাচ্ছিল একেকটা দিন। ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নিয়াজ এসে একদিন ডেস্কে দাঁড়িয়ে বললেন,
" মুনীয়া একটা পাখির নাম সেটা কি জানেন?"
হুম জানি। "
" পাখিটার চোখ খুব বড় বড় ঠিক যেমন আপমার চোখ।"
সেই প্রথম হয়তো কারো মুখে নিজের প্রশংসা শুনেছিলাম,৷ বাসায় যেয়ে আয়নাতে ভাল করে দেখতে লাগলাম আসলেই কি আমার চোখ বড়বড়। এমন করেই নিয়াজ আর আমি আস্তে আস্তে যেন কাছাকাছি চলে আসতে লাগলাম। বিসিএসের ফরেন গ্যাজেটে যেদিন নাম এসেছিল আমার সেদিন মনে হয় আমার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছিল নিয়াজ। হাতে হাত রেখে বলেছি, " ও গো কাজল কালো নয়না তোমারে শুধাই, বাঁধবে নাকি আমার সনে তোমার রাত্রি দিন, সেটা যে শুধাই "। এই পৃথিবীতে মনে হয়েছি এই একটা মানুষই আছে যে কি না আমাকে আমার গায়ের রঙ দেখে নিয়, ব্যক্তি আমিকে ভালবাসে চিরন্তন। সেই ভয়ানক সাতদিন ভুলে আবার শুরু করলাম জীবনের নতুন অধ্যায়। আসলেই নতুন করে জীবনকে দেখতে শুরু করলাম, যেহেতু ফরেন গেজেটের ক্যাডার ছিলাম, প্রথমেই পোষ্টিং দিল সুইডেনের স্কটহোমে, বিয়ের তিন মাসের মাথায়ই চলে গেলাম, এর পরে জীবনের গাড়ি ঘুরতে লাগলো আর আমিও দৌড়াতে লাগলাম, কখনও বার্লিনে, কখনও বা ডারবানে। নিয়াজের এ নিয়ে কখনও আপত্তি ছিল না তার এক কথা এই উসিলায় সে দুনিয়া ঘুরে দেখতে চায়। পিউ যখন আমার পেটে আটমাসের তখন আমি সিডনিতে, নিয়াজের হাত ধরে বলেছিলাম,
___ " আচ্ছা আমাদের বাচ্চাটা যদি কালো হয় তখন কি তুমি রাগ করবে? "
আমার গালটা নিজের দুহাতের মুঠোয় পুরে নিয়াজ বলেছিল,
___ " আমার চোখে পৃথিবীর সেরা সুন্দরী হলে তুমি, যদি আমার বাচ্চাটা আমার মতন ধলা মুলা হয় তাহলেই বরংচ বেশি খারাপ লাগবে বুঝলে কৃষ্ণকলি।"
সেদিন আবারও একবার মনে হয়েছিল আসলেই পৃথিবী অসম্ভব সুন্দর।
না মেয়েটা একদম আমার মতন হয় নি, তার বাবাকে খারাপ লাগিয়ে একদম বাবার মতন দুধে আলতা গায়ের রঙ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল। যেতে যেতে নয়টা বছর চলে গিয়েছে পিউ পৃথিবীতে আসার পরে। আমার এই ভয়াবহ জবের কারণে নিয়াজ চাকরি ছেড়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসা শুরু করেছে, মেয়েকে সামলানো, বাসা দেখাশোনা সবই ও করে। আর আমি মেহমানের মতন মাঝে মাঝে বেড়াতে আসি। এমন করেই দিন যাচ্ছিল। আমার শশুর অসম্ভব অসুস্থ, বিয়ের পরে সাধারণ শশুর বাড়ির সাথে এতটা যোগাযোগ রাখতে পারি নি। তাই নিয়াজদের বাসার লোকদের চিনি অতটা বেশি না। নিয়াজ আর পিউ আমার শশুরের অসুস্থতার কারণে দুদিন আগেই বাংলাদেশ পৌছে গেছে, আমি আটকে গেছিলাম অফিসের জরুরি কাজে। দুদিন পরে যখন সিডনি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটা ফ্লাইটে মালয়েশিয়া পৌছালাম তখন মোটামুটি বিদ্ধস্ত অবস্থা, আট ঘন্টা পয়ত্রিশ মিনিটের ফ্লাইটে মোটামুটি আট হাজার বার ঝাকি দিয়েছে। মাত্র দুই ঘন্টার ট্রানজিট মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজের বোর্ডিং পার্স হাতে নিয়ে যখন বিজনেস ক্লাসে ঢুকবো তখন হঠাৎ ইকোনমি ক্লাসের একদম সামনের সিটে এক মুখের দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। অন্য পাশের এক জোড়া চোখও বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। পিছনে লোক দাঁড়িয়ে আছে দেখে বিমান বালা নম্রভাবে আমাকে সামনে এগোতে বলল। চুপ করে নিজের সিটে বসতেই যেন, অতীতের সেই সাতটা দিন আবারও আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজের সেই দুই ঘন্টার ফ্লাইট আমার কাছে যেন দুইশ বছরের দূরত্ত্বের মতন লেগেছে। বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন ল্যান্ড করতেই যাত্রীরা মোটমুটি আস্তে আস্তে নামা আরাম্ভ করলো। আমি ইচ্ছা করেই সবার পরে নামলাম যাতে আরিফের মুখোমুখি না হতে হয়। ল্যাগেজ রিসিভ করে যখন ট্রলি ঠেলে বেরোতে যাবো তখনই পেছন থেকে ডাক দিল,
" শোনেন, আপনি মুনীয়া না!"
" হ্যাঁ আমি মুনীয়া, আরো একটা বড় পরিচয় আমি আপনার সাতদিনের বউ ছিলাম"।
নিজেকে খুব শক্ত করে উত্তর দিলাম। আরিফ আরো এগিয়ে এসে বলল,
" মালয়েশিয়া থাকো বুঝি আমিও ওখানেই কাজ করি, আর হ্যাঁ এখনও দেখি আগের মতনই অহংকারী আছো।"
পিউ আর নিয়াজ এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক্সিট পয়েন্টে, আমি এখান থেকেই দেখতে পারছি ওদের, আরিফ আবারও বলল,
" গায়ের রং তো এখনও আগের মতনই আছে, বিয়েসাদি কিছু হয়েছে না কি কারো গলায় ঝুলতে পারো নি এখনও। আমি বিয়ে করেছি ধবধবে ফর্সা এক মেয়েকে। "
এসব শুনতে শুনতে বেরিয়ে এলাম এয়ারপোর্ট থেকে। সামনে আরিফের ধবধবে বউ আর সাথে তার কালো শ্যামলা কিন্তু মিষ্টি একটা মেয়ে। লোকটার কথা শুনে আবারও হাসি পেলো, মনে হলো অনেকক্ষন শুনেছি এবার কিছু বলার পালা। ঘুরে স্থির হয়ে আরিফের দিকে তাকিয়ে বললাম,
" আমার গায়ের রঙ যেমন কালো এখনো আছে, আপনি তেমনই অভদ্র এখনও আছেন। কাউকে তুমি করে বলাটা অভদ্রতা। আর আমি মালয়েশিয়া থাকি না, আমি অস্ট্রেলিয়ায় থাকি। বাংলাদেশ এম্বাসিতে জব করি হাই কমিশনার আমি। আর সর্বোশেষ প্রশ্নের উত্তর আমি কারো গলায় ঝুলি নি, বরং আমাকেই জোর করে গলায় ঝুলিয়েছে একজন, আর হ্যাঁ আমার মেয়েটা কিন্তু আপনার মেয়ের মতন শ্যামলা না ধবধবে ফর্সা ওই যে আমার মেয়েটা। কিন্তু মজার কথা জানেন মেয়ের বাবার খুব খারাপ হয়েছিল কেন মেয়ে আমার গায়ের রঙ পেল না। বয়স তো কম হলো না সময় আছে চেঞ্জ হন। "
এটুকু বলেই সোজা হাঁটা শুরু করলাম নিয়াজ আর পিউর দিকে, পিছনে পড়ে রইল এক নীচু মনের মানুষ যাকে মানুষ বলাও অন্যায় হবে হয়তো। সব কিছু বিসর্জন দিয়ে বাঁচা যায় কিন্তু আত্মসম্মান ছাড়া মানুষের মেরুদণ্ডটাই যেন ভেঙ্গে যায়। আমি আমার আত্মসম্মান বিসর্জন কখনো দেই নি দেবোও না।