সংস্কৃতির অংশ হিসেবে গান অনেক কাল থেকেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে । কারণ মানুষ ভাষা সৃষ্টির হবার আগেই সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, রাগ-অনুরাগ প্রকাশ করার জন্য স্বর ব্যবহার করত । সেটা গান হয়তো ছিল না । কিন্তু ছন্দ এবং সুর এই দুইটির সমন্বয়ে উচ্চারণ করা হলে তাকে গান হিসেবে আমরা ধরতে পারি । একটা আলাদা অনুভূতির নাম হচ্ছে গান । ভাষায় সে অনুভূতির কথা বোঝানো যায় না । এটা প্রাণের গভীরের ব্যাপার ।
মানুষের মনের ভাব যখন কথার মাধ্যমে সুর-তাল-লয় মিলিয়ে উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে গান বলে । গান মানুষের স্নায়ুচাপ কমায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় । সঙ্গীত মানুষকে সম্প্রদায়ের অনুভূতি দেয় । বর্তমানে অনেকে গান গাওয়াকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে ।
বিভিন্ন প্রোগ্রামে, অনুষ্ঠানে, পিকনিক,বিয়ে সবখানে গানের কদর রয়েছে । পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে জমজমাট করতে সংগীত এক অনন্য ভূমিকা পালন করে । যদি আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথাই বলি তখন্ও এই সংগীতের অবদান কতটুকু তা না বললেই নয় । শিল্পীরা তাদের গানের মাধ্যমে সকলের মনে দেশপ্রেমের চেতনা বাস্তবায়ন করছিল । এছাড়াও বিশ্বের সকল দেশের সামনে বাংলাদেশ নামক এই ছোট্ট রাষ্ট্রের কথা তুলে ধরেছিলেন ।