সমুদ্র বিলাস কেন করা দরকার

সমুদ্র প্রশান্তি নিয়ে আসে

অনেকেই এ তথ্য নিশ্চয়ই জানেন যে পানি মনটাকে শান্ত ও সৃষ্টিশীল করে থাকে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়, যারা সমুদ্রের কাছে বাস করেন তাদের মধ্যে মানসিক চাপ কম থাকে এবং তাদেরা স্বাস্থ্যও বেশ ভালো। বিজ্ঞানও এ বিষয়ের জবাব দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটের-এর মনোবিজ্ঞানী ম্যাথিউ হোয়াইট জানান, এটা সত্যিই এক রহস্য। সমুদ্রের সৈকতে হাঁটা বা গ্রীষ্মে নদী ভ্রমণ কিংবা পানিতে ঝাঁপাঝাঁপিতেও মানসিক শান্তি মেলে। এর কিছু কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞ। ১. পানি মনটাকে মেডিটেশনের মেজাজে নিয়ে যায়। পরিবেশের অন্যান্য অংশ থেকে পানির কাছে গেলেই ভিন্ন অনুভূতির সৃষ্টি হয়। সমুদ্রের কাছে মানুষের মনে নানা আবেগের সৃষ্টি হয়। পানি, আবহাওয়া এবং পানির শব্দ সব মিলিয়ে মনে এক প্রশান্তি আসে। ২. মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ধীর করে দেয় পানি। পুকুরের পাশে আয়েশ করে বসে থাকা বা নিথর পানির দিকে তাকিয়ে থাকলে এ ঘটনা ঘটে। মস্তিষ্কের আরামের সঙ্গে চলে আসে নানা সৃষ্টিশীল চিন্তা-ভাবনা। ৩. মানুষের মনে সশ্রদ্ধ ভক্তি আনে পানি। সমুদ্রের বিশালতা কিংরা বিখ্যাত কোনো লেকে সাঁতার কাটলে এমন অনুভূতি আসে। প্রকৃতির বিশালতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জানে। স্রষ্টার প্রতি ভক্তি চলে আসে মনে। এতে মনে এক ধরনের তৃপ্তি চলে আসে। মানসিক চাপ কমে যায়। অভাববোধও দূর হয়। ৪. খেলাধুলাতেও নতুন কিছু যোগ করে। পানি মস্তিষ্কের সহজাত কর্মপ্রক্রিয়ার সঙ্গে মিশে যায়। পুকুর বা নদী বা সমুদ্র দেখলেই দিবাস্বপ্নের মতো মনে অনেক কিছু ভেসে আসে। ছেলেবেলার মতো আনন্দ করতে চায় মন। স্বাধীনতাবোধ অনুভূত হয়। এ সময় বহু সমস্যার সমাধান চলে আসতে পারে মনে। ৫. পানির স্পর্শ দেহের তাপমাত্রা সুষম পর্যায়ে নিয়ে আসে। আরামদায়ক অনুভূতি ছড়িয়ে যায়। পানি ভাসলে ওজনহীন শান্তিতে ছেয়ে যায় মন। পানির বিশাল উৎসের কাছে গেলেই এসব অনুভূতি স্পষ্ট হয় যদি খেয়াল করেন। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট


Hoimonti Shukla

137 Blog posts

Comments