বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যমূলক আইনের মুখোমুখি: রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখা এবং জরুরীভাবে জাতীয় ইস্যুগুলিকে সমাধান করা। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গণ-বিক্ষোভ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য, অন্তর্বর্তী সরকার অধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদ, আইন বিশেষজ্ঞ এবং প্রাক্তন কর্মকর্তাদের একটি বৈচিত্র্যময় মিশ্রণকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই বৈচিত্র্যময় রচনার লক্ষ্য যে কোনো রাজনৈতিক দলাদলির প্রতি পক্ষপাতিত্ব এড়িয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির উদ্রেক করা। ছাত্র কর্মী নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদের মতো তরুণ নেতাদের অন্তর্ভুক্তি একটি বিস্তৃত-ভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে।
একই সাথে, সরকারকে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং নিরাপত্তা উদ্বেগের মতো জরুরি বিষয়গুলিকে সমাধান করতে হবে। হাসিনার বিদায়ের ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা সহ সহিংসতা বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি স্থিতিশীল করা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করার জন্য সাংবিধানিক সংস্কার শুরু করা।
এই দ্বৈত বাধ্যবাধকতার ভারসাম্যের জন্য একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক পদ্ধতির প্রয়োজন, যাতে নিশ্চিত করা হয় যে সমস্ত ক্রিয়াগুলি ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি করার মাধ্যমে, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জন্য একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করবে বলে আশা করে।