বাংলাদেশের সুশীল সমাজ নেতৃত্বের পরিবর্তনে মিশ্র কিন্তু সাধারণত আশাব্যঞ্জক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। অনেক কর্মী এবং সংগঠন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে, এটিকে দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং স্বচ্ছতার অভাবের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলি মোকাবেলার সুযোগ হিসাবে দেখে। মুহাম্মদ ইউনূসের মতো সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্তি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, কারণ সততা এবং সামাজিক উদ্যোক্তাতার জন্য তার খ্যাতি সুশীল সমাজের গ্রুপগুলির সাথে ভালভাবে অনুরণিত হয়।
যাইহোক, সতর্ক আশাবাদ একটি ধারনা আছে। নতুন নেতৃত্বকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হলেও, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বল্প সময়ের মধ্যে অর্থবহ সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কিছু সুশীল সমাজের সদস্য রাজনৈতিক স্বার্থ এবং সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য প্রতিরোধের বিষয়ে উদ্বিগ্ন, যা অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, প্রতিক্রিয়াটি একটি প্রহরী আশার বিষয় ছিল, সুশীল সমাজের অনেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত কিন্তু সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা নিশ্চিত করার জন্য এটিকে জবাবদিহি করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের জনগণের জন্য এই সমর্থন টেকসই এবং বাস্তব উন্নতিতে অনুবাদ করা যায় কিনা তা নির্ধারণের জন্য আগামী মাসগুলি গুরুত্বপূর্ণ হবে।