স্মার্টফোন আসক্তি আধুনিক যুগের একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দ্রুতগতির প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহজলভ্যতার কারণে অনেক মানুষ স্মার্টফোনের প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এটি শুধু বিনোদন নয়, কাজ, শিক্ষা এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
স্মার্টফোন আসক্তি ঘুমের ব্যাঘাত, চোখের ক্লান্তি, এবং একাকীত্বের অনুভূতির মতো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর অতিরিক্ত সময় ব্যয় করলে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং মানসিক চাপ বাড়তে পারে। এছাড়াও, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এটি আত্মবিশ্বাসের অভাব ও অবসাদের কারণ হতে পারে।
এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন নির্দিষ্ট সময়ে ফোনের ব্যবহার সীমিত করা, ফোন থেকে বিরতি নেওয়া, এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় ফোন দূরে রাখা। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানো এবং ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি, যাতে প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলতে পারে, কিন্তু তার উপর আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না আসে।