বিড়াল প্রেমীর গল্প

Comments · 4 Views

বিড়ালের শখ অনেক মানুষের।

-- আপনার বিড়াল আমার বিড়ালের সঙ্গে ইয়ে-টিয়ে করছে। আপনি প্লিজ গিয়ে আপনার বিড়ালকে নিয়ে আসেন। থামান আপনার অসভ্য বিড়ালকে। এখুনি যান! 

 

দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে তর্ক করার গলায় অনবরত কথা গুলো বলেই চলছে কেউ একজন। সমুদ্র বেজায় চেতে গেলো। নাইট প্লাস মর্নিং ডিউটি করে সকালে না খেয়ে গ্যাস্ট্রিকে পেট পুড়িয়ে দিয়ে কেবল ঘুমে তলিয়ে গিয়েছে সে। একের পর এক বেল বাজার শব্দে তার কাঁচা ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছিল পাক হানাদার বাহিনীর গ্রেনেডের আওয়াজ৷ কাঁচা ঘুম ভাঙ্গলেই তার মাথার দুইপাশে চিনচিন ব্যথা করে। তার উপর পাঁচতলার পুলিশের মেয়ের অবিরাম ঝগড়াটে কথাবার্তা সব মিলে বেজায় ক্ষুব্ধ সমুদ্র। সে ভরাট গলায় বলে উঠে, " কি বলতে চাচ্ছো? আমি কিছু বুঝতে পারছি নাহ "

 

আয়না এবার বর্জ্রকণ্ঠে বললো, বুঝতে পারছেন না মানে কী? এতো সোজা কথাটুকুও না বোঝার তো কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।"

 

সমুদ্র বিরক্ত কণ্ঠে বলে, " তোমার সহজ কথাও বেজায় জটিল।" 

 

পার্সোনাল এটাক টাকে আয়না গায়ে মাখালো না। সে তেজি গলায় বলে, " আপনার সঙ্গে আলাপ জুড়াতে তো আসিনি আমি। গিয়ে নিজের বিড়ালকে সামলান। 

 

-- নিজেকেই সামলাতে জানি না আবার বিড়াল সামলাতে যাব কেন?

 

একথাতেই যেন আয়না রেগে বোম হয়ে গেলো। সে বলে উঠে, " যদি বিড়াল সামলানোর ইচ্ছাই না থাকে তবে দত্তক নিয়েছেন কেন? কোনো দায়িত্ব ও পালন করেন না৷ আপনার বিড়াল সারাদিন এই বিল্ডিং ওই বিল্ডিং টইটই করে ঘুরে আর যতো অকাম-কুকাম করে বেড়ায়।"

 

সমুদ্রের এবারে কিছুটা টনক নড়ে। গম্ভীর হলো ও। সে বলে উঠে, " কি করেছে আমার বিড়াল? 

 

আয়না আগুন কন্ঠে বললো, " নিজে গিয়ে দেখে আসেন।"

 

--" কই যাব?"

 

--" চারতলার সানসেটের দিকে যান।"

 

সমুদ্র ভীষণ বিরক্তিকর চাউনিতে তাকিয়ে রইল কিন্তু দ্রুত আপদ বিদায় করার উসিলায় সে হাঁটা শুরু করে চারতলার উদ্দেশ্যে। সানসেটের সম্মুখ প্রান্তে গিয়ে দাঁড়াতেই সমুদ্রের নজরে এলো তার বিড়াল পাঁচতলার মেয়েটার পার্সিয়ান সাদা ধবধবে মেয়ে বিড়ালটার সঙ্গে ম্যা--টিং এ ব্যস্ত। 

 

সমুদ্র এবারে পেছন ফিরে আয়নার দিকে তাকায়। আয়না রাগে ফুঁসছে, পারলে এক্ষুনি গিয়ে তার বিড়ালকে টেনে বের করবে টাইপ অবস্থা । সমুদ্রের হাসি পেলে বেশ৷ 

 

সে গলা খাকানি দিয়ে বলে উঠে, " অন্যের সুখে জ্বলা খুব বাজে একটা অন্যায়।"

 

--"কিহ!"

 

--"জ্বি ম্যাডাম।"

 

আয়নাকে পাশ কেটে চলে যেতে ধরলে, সে বলে উঠে, " আপনি তারমানে কিছুই করবেন না?"

 

--" কি করতে পারি আমি?"

 

--" আপনার বিড়াল কে ট্রেনিং দিতে পারেন নি?"

 

--" একটা বয়সের পর কেউ কোনো বাঁধ মানে না। সবার সুখ উপভোগ করার অধিকার আছে। "

 

তার একথায় যেন মেয়েটাকে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে৷ পারলে তার গ--লা টি--পে ফেলতে পারলে আরাম পায়। 

 

--" আপনার বিড়াল একদম আপনার মতো বে--য়াদব। যেমন মালিক তেমন তার পেট। "

 

" তোমার বিড়ালই বেশি আগ্রহী। বারান্দা থেকে মিউমিউ করে ডেকে আমার বিড়ালকে সি-ডি-উস করেছে। তা নাহলে আমার বিড়ালের এত্তো ঠ্যাকা পরেনি।"

 

আয়না যেন আরোও রেগে বোম বনে যায়৷ সমুদ্র বলে উঠে, " ওরা নিজেরাই একসময় ঠিক চলে আসবে৷ আমাকে আর ডিস্টার্ব করবে না৷ ওলরেডি মাথা ব্যথায় ম--রে যাচ্ছি। আমার তো ঘরে বা উপরতলায় কোনো বৌ ও নেই যে চা বানিয়ে দিবে৷ গেলাম৷ "

 

সমুদ্র একপ্রকার বিরক্তি নিয়ে বাসায় ফেরে। আজকে সে বাসায় একা। খাবার ও নেই বাসায় কোনো। ঘুমও পূর্ণ হলো না। সন্ধ্যায় আবার যেতে হবে চেম্বারে।বাসায় ঢুকেই বাথরুমে যায় সে, মুখে পানির ঝাপ্টা দিতে। 

 

 এমন সময় আবার বেল বাজলো। সে দরজা খুলে দিতে পাঁচতলার পুলিশ আংকেলদের বাসার কাজের মেয়ে ট্রেতে করে চা-নাশতা হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সমুদ্র হাল্কা হাসলো। চা আর আলুর চপ খেতে খেতে ফেসবুকে ঢুকতে চাইলো। কিন্তু কোনো এক বিশেষ কারণে সে ফেসবুকে লগইন করতে পারছে না। কিছুটা হতভম্ব হলো। ম্যাসেঞ্জারে ঢুকতেই দেখে তার আনসীন করে রাখা বেশ কিছু মেয়েদের ম্যাসেজ সীন করে রাখা। নিশ্চয়ই কেউ তার ম্যাসেঞ্জারে ঢুকেছে। নাকি হ্যাক হলো আইডি! মাথায় কিছু ই ঢুকছে না। সে এম্নিতেই ফেসবুক চালানোর তেমন সময় পায় না। তার আইডি হ্যাক করে কি লাভ? কোনো ভাবেই যখন সে আইডিতে ঢুকতে পারেনি দ্রুত তার এক ফ্রেন্ডকে কল দিয়ে জানায়। 

 

ঘন্টা খানেক পর তার ওই ফ্রেন্ড কল দিয়ে বলে, অন্য ডিভাইস থেকে কেউ তার ফেসবুকে ঢুকে লগ ইন করে আছে। ডিভাইস নেইম স্যামসং***। সে রিকোভার করে দিয়েছে। পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে আইডি ব্যাক দিল। 

 

সমুদ্র বললো, " কে সেই ব্যক্তি খুঁজে বের করতে পারবি?"

 

--" তোর গোপন প্রেমিকা নাকি?"

 

--" ফাইজলামি বন্ধ কর তো!!

 

ওপাশ থেকে তার ফ্রেন্ড হাসতে হাসতে বলে, "৷ তোর ফ্রেন্ডলিস্টের মেয়েদের ইনবক্সের চ্যাট ম্যাসেজের খোঁজ নেয় হ্যাকার। তা-ইলে নিশ্চয়ই মন রিলেটেট সফটওয়্যার প্রবলেম ডাক্তার সাহেব৷ "

 

সমুদ্র কিছুই বলে না। চুপ করে শুনে যায়। গভীর রাতে বারান্দায় বসে গিটার বাজায়। আজ বাসাটা কেমন বিষন্নতায় ঘেরা৷ পরিবার ছাড়া এক মুহুর্ত তার ভালো লাগে না। গিটারে টুংটাং সুর বাজাতেই কারো কথা ব্যাপক ভাবে মনে পড়ে তার। সে আবারো ফেসবুকে ঢুকে। তারপর লগ ইন ইনফরমেশন সেটিংসে গিয়ে দেখে কিছুক্ষন আগেই সেইম ডিভাইস থেকে পুনরায় তার আইডিতে লগ ইন করেছে। সে বিষ্ময়কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তার বন্ধু রিকোভার করে দেওয়ার পর ও কেন আবার হ্যাকার তাকে বিরক্ত করছে৷ কোনো কিছু ডিমান্ড না করে, তাকে ডিস্টার্ব না করে নিশ্চুপ পসেসিভ প্রেমিকার মতো আইডির তদারকি করছে কেন? এতো রাতে তার ফ্রেন্ডকে ডিস্টার্ব করতে ইচ্ছে করলো না। ম্যাসেঞ্জারে গিয়ে তার এক জুনিয়র ডক্টরের ইনবক্সে টেক্সট পাঠালো, " কেমন আছো?" মেয়েটা অনলাইনে নেই। সে আসলে হ্যাকার কি করে সেটা দেখতে চাচ্ছিলো। দুই মিনিটের ব্যবধানে তার ওই ম্যাসেজ ডিলিট হয়ে যায়৷ সে মনে মনে ভাবে এ কেমন হ্যাকার যে মেয়েদের সাথে ইনবক্সে কথা বলতে দেয় না।

 

পরেরদিন থেকে তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হলো। দুইদিন ধরে আবহাওয়া রিপোর্টে জানান দিচ্ছিল সারাদেশে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত চলবে। সকাল বারোটার মধ্যে ঢাকা শহর বৃষ্টিতে ডুবে যায় এমন অবস্থা। তার মা-বোন খালা বাসা থেকে ফিরে এসেছে৷ তারা ভীষণ ব্যস্ততম সময় পাড় করছে। পরশুদিন বাসায় বিশাল বড় আয়োজন করে অনুষ্ঠান হবে। সমুদ্র পিএইচডি করতে অস্ট্রেলিয়ার চলে যাচ্ছে আর মাত্র পাঁচদিন পর। এজন্য ফ্যামিলি, ফ্রেন্ডস ও প্রতিবেশী সহ একটা ফেয়ারওয়েলের প্রোগ্রাম৷ সমুদ্রের ধ্যান ভাঙ্গে তার মায়ের কান্নায়। সে দ্রুত মায়ের কাছে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, "প্লিজ আম্মু, কাঁদবে না তো৷ আমি কি আজীবনের জন্য যাচ্ছি নাকি। আসা-যাওয়ার মাঝেই থাকব৷"

 

--" আমি সেজন্য কাঁদছি না। " বলে উঠে সমুদ্রের আম্মু৷ 

 

--" তাহলে কেন কাঁদছো?"

 

--" তোর বিয়েটা দিয়ে দিতে পারলে শান্তি পেতাম। পড়শুদিনের অনুষ্ঠানটা যদি তোর বিয়ের অনুষ্ঠান হতো তাহলে আমি মোটেও কাদঁতাম না। বাবা সত্যি করে বল তো, তোর পছন্দের কেউ নেই?"

 

--" ভালো লাগার একজন আছে। "

 

--" তাকে বলছিস কিছু? "

 

--" উহু। "

 

--" বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই? কালকেই তোদের বিয়ে পড়ায় দিব। "

 

সমুদ্র কাচুমাচু করে বলে, " ও একটু ছোট বয়সে৷"

 

মিসেস রোদেলা এবারে চিন্তিত হয়ে বলে, " কতো ছোট? ক্লাস সিক্স-সেভেনে পড়ে?"

 

--" ধুরু আম্মু কিসব বলো তুমি! "

 

--" তাহলে বিয়ে করে নিয়ে আয় তুই।"

 

--" কিভাবে? ও তো জানেই না কিছু। আমিও বুঝি নি আগে৷"

 

মিসেস রোদেলা হতাশ হয়ে বলেন, " বুঝিস নি কেন?"

 

--" দূরে যাব ভাবতেই বেশি বেশি টান অনুভব করছি। আগে এতোসব সমীকরণ বুঝি নি।"

 

তার মা অবাক নয়নে তাকালো ছেলের দিকে। কিছু বললো না৷ 

 

সমুদ্র বলে উঠে, " কান্না থামাও তো মা। তুমি কষ্ট পেলে আমি দুর্বল হয়ে পড়ি৷"

 

তার মা বলে উঠে, " আমাকে বৌমা এনে দে। দেখবি আমার সব কষ্ট ভ্যানিশ হয়ে গেছে। বাবা, তুই ওই নাবালিকা মেয়েটার সঙ্গে কথা বল না! দেখ মেয়ে রাজী কিনা।"

 

সমুদ্র ভ্রু কুচকে বলে, " কোন নাবালিকা?"

 

--" যার জন্য তোর টান অনুভব হয়৷ "

 

সমুদ্র মুখ ফসকে বলে ফেলে," মা ও সিএসই পড়ছে।"

 

তার মা মজা করে বললো, " সেকি তুই কোন ইঞ্জিনিয়ারের পাল্লায় পড়লি রে বাবা! "

 

সমুদ্র না হেসে পারলো নাহ। মা এতো দুষ্ট কবে থেকে হলো?

 

হাসি হাসি ভাব নিয়ে বাসা থেকে বের হয় সে। উদ্দেশ্য হীন, ব্যস্ততা হীন ভাবে শহরের বৃষ্টি উপভোগ করতে চায় সে শেষবারের মতো৷ 

গ্যারেজে নামতেই পাঁচতলার পুলিশ আংকেলের ওয়াইভ আর তার মেয়ের সাথে দেখা৷ তারা দাঁড়িয়ে আছে। সমুদ্র সৌজন্যতার খাতির সালাম দেয়৷ 

 

আন্টি বলে উঠে, " আয়না ভার্সিটি যাবে কিন্তু এতো বৃষ্টি রিকশা সিএনজি কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। বাবা তুমি কোনদিকে যাচ্ছে? "

 

-- " শাহবাগের দিকে। "

 

আয়নার মা বলে উঠে, " আয়নাও তো ঢাকা ভার্সিটি যাবে৷ ওকে একটু নামিয়ে দিতে পারবে? ওর জরুরি ক্লাস আছে।"

 

--" পারব আন্টি। "

 

এই প্রথম সমুদ্র আয়নার পানে তাকিয়ে সুন্দর করে বলে উঠে, " আসো৷" 

 

আয়না সামান্য নড়েচড়ে উঠলো৷ 

 

সমুদ্র আন্টির দিকে তাকিয়ে বলে, " আন্টি পড়শু অবশ্যই আসবেন কিন্তু আপনারা সবাই৷ আংকেলকে আমি কল দিয়ে জানাব আরেকবার।"

 

--" নিশ্চয়ই আসব বাবা৷"

 

আয়না প্রশ্ন করে, পড়শুদিন কি মা? "

 

তার মা জবাবে বলে, " পড়শুদিন সমুদ্রের বাসায় আমাদের বিল্ডিংয়ের সবার দাওয়াত। "

 

আয়না বলে উঠে, " আমাকে তো জানায় নি৷"

 

সমুদ্র বললো, " ছোটদের সব বলা হয় নাহ৷"

 

সে স্পষ্ট টের পেল মেয়েটা রেগে যাচ্ছে। ঠোঁটের কোণায় হাসি ঝুলিয়ে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে। আয়না গিয়ে ফ্রন্ট সীটে বসে পড়ে। গাড়িতে ঢুকতেই সমুদ্র প্রশ্ন ছুঁড়ে, " তোমার বিড়াল কেমন আছে?"

 

আয়নার রাগের মাত্রা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেল। একে তো তাকে ছোট বলে পঁচালো তারপর এখন সে কেমন আছে তা জিজ্ঞেস না করে তার বিড়ালের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। হুহ্ যতোসব। ও বিরক্তির সুরে জবাব দেয়, " ভালোই৷"

 

--" প্রে-গন্যা-ন্ট হয়েছে?"

 

সমুদ্রের মুখে প্রে-গন্যা-ন্ট শব্দটা শোনা মাত্র তার কান থেকে ধোঁয়া বের হলো যেন৷ লজ্জায় ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকতে ইচ্ছে করলো। তবে সে মুখ ফিরিয়ে জানালার দিকে তাকায়। 

 

সমুদ্র আস্তে করে বলে, " তোমার কথা জিজ্ঞেস করিনি যে এতো লজ্জা পেতে হবে!"

 

আয়না জবাবে আরোও অন্যদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে জবাব দেয়, " জানি না৷"

 

--" কি জানো না?"

 

--" কিছুই জানি না৷" একটু জোরে উত্তর দিলো সে।

 

বাইরে তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো। গাড়ির সামনের কাঁচ ওয়াইপার দিয়ে পরিষ্কার করেও বৃষ্টির ফোটায় ভিজে যাচ্ছে গাড়ির কাঁচ মুহূর্তের মধ্যেই। এমন সময় সমুদ্র অডিও প্লেয়ার এ গান ছাড়লো। হিন্দি একটা বিব্রতকর লিরিকের গান। 

 

গানের লাইন যখন বাজছিল, " ম্যা পেয়াসি হু, মুছে ভার লে আপনি বাহু মেইন।" 

 

ওমন সময় লজ্জায় যেন আয়না মিইয়ে যাচ্ছিল। কেন যেন মনে হচ্ছিল তাকে ইন্ডিকেট করেই এই গান বাজাচ্ছে। কি অসভ্য লোক উনি! 

 

Comments
Read more