ভাষাগত দক্ষতা হলো এমন একটি ক্ষমতা, যা মানুষকে বিভিন্ন ভাষায় সঠিকভাবে কথা বলা, শোনা, লেখা এবং বুঝতে সক্ষম করে। এটি ব্যক্তির যোগাযোগ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং বিভিন্ন সামাজিক, পেশাগত ও শিক্ষামূলক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাষাগত দক্ষতা মূলত চারটি অংশে বিভক্ত: শোনা, কথা বলা, পড়া, এবং লেখা।
শোনা এবং কথা বলার দক্ষতা সাধারণত প্রথমে বিকশিত হয়। শিশু বয়সে মানুষ কথা শুনে এবং তা অনুকরণ করে ভাষা শেখে। পরে পড়া এবং লেখা শেখার মাধ্যমে ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকে। ভাষাগত দক্ষতা বিকাশের জন্য ব্যাকরণ, শব্দভাণ্ডার এবং উচ্চারণের জ্ঞান অপরিহার্য।
একাধিক ভাষায় দক্ষতা থাকা ব্যক্তিকে বলা হয় দ্বিভাষিক বা বহুভাষিক। এই দক্ষতা মানুষকে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন করতে সাহায্য করে এবং বৈশ্বিক পরিবেশে কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম করে। আধুনিক যুগে ভাষাগত দক্ষতা চাকরির বাজারে অত্যন্ত মূল্যবান, বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানিতে।
সার্বিকভাবে, ভাষাগত দক্ষতা কেবল পেশাগত জীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনের সম্পর্কগুলোতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি মানুষের চিন্তাশক্তি উন্নত করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং সৃজনশীলতাকে জাগ্রত করে।