আমরা প্রায়ই বলি অমুকের মুখের গঠন খুবই সুন্দর। এখানে সুন্দর বলতে আমি ফর্সা রঙ কে বুঝাচ্ছি না। বরং চোখ, মুখ, নাক, কানের সুন্দর অবস্থানে সৃষ্ট মুখের গঠনকেই বুঝি। আশ্চর্যের বিষয়, এই সুন্দরতাকে পরিমাপ করার জন্য গণিতের একটি সূত্র রয়েছে! বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেছেন যে, দুই চোখের মধ্যবর্তী দূরত্ব, কপালের দৈর্ঘ্য, কপাল থেকে মুখের দূরত্বের অনুপাত যখন প্রায় ১.৬ হয়, তখন সেই মুখকে সুন্দর মনে হয়। এই অনুপাতকেই বলা হয় গোল্ডেন রেশিও।
এই গোল্ডেন রেশিও শুধু মানুষের মুখেই নয়, প্রকৃতির সব সুন্দর জিনিসেও পাওয়া যায়। ফুলের পাপড়ির বিন্যাস থেকে শুরু করে শামুকের খোলের আকৃতি, সূর্যমুখীর বীজের সাজানো অবস্থা— সবকিছুতেই এই গোল্ডেন রেশিওর ছাপ দেখতে পাওয়া যায়।
কেন গোল্ডেন রেশিওকে সুন্দর মনে হয়?
এর পেছনে সঠিক কারণ এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্য। তবে ধারণা করা হয়, মানুষের মস্তিষ্ক এই অনুপাতকে স্বাভাবিক ও সুন্দর মনে করে। হয়তো কোনো এক সময় এই অনুপাতে সাজানো জিনিসগুলো আমাদের জন্য বেঁচে থাকার জন্য উপকারী ছিল।
গোল্ডেন রেশিও আরও কোথায় পাওয়া যায়?
- শিল্প ও স্থাপত্য: অনেক বিখ্যাত শিল্পী ও স্থপতি তাদের কাজে গোল্ডেন রেশিও ব্যবহার করেছেন।
- প্রকৃতি: শামুকের খোল, সূর্যমুখী, পাইন কোন, গ্যালাক্সি— সবকিছুতেই এই অনুপাতের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়।
- লোগো ও ডিজাইন: অনেক বিখ্যাত কোম্পানির লোগোতেও গোল্ডেন রেশিও ব্যবহার করা হয়।