নামাজ

নামাজে চোখ বন্ধ নিয়ে তথ্য

নামাজের সময় চোখ বন্ধ রাখলে কও ইহুদের অনুসরণ হবে।

 

কারন ইহুদীরা ইবাদতের সময় চোখ বন্ধ রাখতেন।

 

সর্ব প্রথম, কথা হলো শুধু শুধু প্রয়োজন ছাড়া চোখ বন্ধ করাকে,,মাখরুহ বলা হয়েছে।

 

তাই বলে এমন নয় যে চেখ বন্ধ করলে নামাজ ক্ষতিগস্ত হবে বা নামাজ থেকে আপনার সওয়াব কমে যাবে।

 

আর কিছু কিছু বক্তার কাছে চোখ বন্ধ করে ইবাদত করা মানে ইহুদিদের আমল।

 

কেননা ইহুদিরা যখন ইবাদত করে তখন তারা চোখ বন্ধ রাখে।

 

আমাদের প্রথমত ভাবতে হবে আমরা সবাই আল্লাহ সৃষ্টি। আসলে ইহুদিরা শুধু পথভূষ্ট হয়েছে।

 

এখন আপনাকে এটা ভাবতে হবে আমি চোখ বন্ধ করে কি শান্তি পাচ্ছেন।

 

নাকি চোখ খোলা রেখে শান্তি পাচ্ছেন।

 

সম্পন্ন টা নির্ভর করবে আপনি কোথায় কোন অবস্থানে নামাজ আদায় করছেন। এবং আপনার নামাজে মননিবেশ কেমন তার ওপর।

 

যেটাকে আরবিতে খুসু ও খুজু বলা হয়।এর মানে একাগ্র চিত্রে আল্লাহর ধ্যানে থাকা। 

 

আর এটায় হওয়া উচিত নামাজের মূল ফোকাস বা উদ্দেশ্য।

 

এ ধরেন আপনি নামাজে দাড়ালেন আর আপনার আশে পাশে অনেক কর্মকান্ড হচ্ছে অথবা আপনার সেজদার ১ হাত সামনে বাচ্চারা হাটাহাটি করছে। এরা কেউ খেলনা নিয়ে দুষ্টমি করে।

 

এছাড়া ডানে বামে এমন কেউ অনেক কর্মকান্ড হচ্ছে যে আমি সেজদা রত হয়েও আশেপাশের এসব কান্ডে আপনার নামাজ থেকে মনোযোগ কিছুটা সরে যাচ্ছে।

 

এ ক্ষেত্রে আলেমাগন রা বলে চোখ খোলা না রেখে চোখ বন্ধ রাখায় উত্তম।

 

কেননা আপনাকে যদি না এমন স্থান নামাজ আদায় করতে হয় যেখানে লোকালয় কোলাহল থাকে। যে সব কর্মকান্ড বাদ দিয়ে আপনি পুরোপুরি আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতে চান তাহলে চোখ বন্ধ রাখায় ভালো।

সুবহানাল্লাহ

 

তাই আমাদের কখনো এমন ধারনা করা যাবে না যে চোখ বন্ধ রেখে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না ।

 

হযরত মোহাম্মদ সাঃ নামাজ গুলোর দিকে তাকান

 

হুজাইফা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বণিত ওনি বলেন:

 

এক রাতে হুজাইফা রাঃ হুজুর সাঃ এর সাথে নামাজ পড়ার সৌভাগ্য পান

 

হযরত মোহাম্মদ সাঃ সূরা বাকারা দিয়ে নামাজ শুরু করলেন।

 

 

তখন হুজাইফা রাঃ ভাবলেন হইতো হযরত মোহাম্মদ সাঃ হয়তো ১০০ আয়াত পর্যন্ত পড়বেন। এবং তারপর রুকুতে চলে যাবে কিন্তু তারপর,,

 

হযরত মোহাম্মদ সাঃ সূরা পরতেই থাকলেন পরতেই থাকলেন।হু

 

তারপর তিনি ভাবলেন হয়তো হযরত মোহাম্মদ সাঃ একটি রাকাতেই সূরা পড়ে শেষ করবেন।

 

তারপর হযরত মোহাম্মদ সাঃ সম্পূর্ণ সূরা পড়লেন এবার হুজাইফা রাঃ ভাবলেন এবার নবীজি রুকুতে যাবেন।

 

কিন্তু না হযরত মোহাম্মদ সাঃ নতুন করে সূরা আল ইমরান পড়া শুরু করলেন।আর সূরা আল ইমরান সম্পূর্ণ করে শেষ করেন।

 

তারপর আবার ও হযরত মোহাম্মদ সাঃ সূরা নিসা পড়তে শুরু করলেন।

 

 

এ পর্যায়ে নবিজি শান্ত মনমূ্গ্ধকর সুরে সূরা তেলোয়াত করতে ছিলেন।

 

তারপর কিছু আয়াতপড়ে তারমধ্য কিছু তাসবি ও দোয়া ও করেন।

 

তারপর রুকুতে যান। রুকুতে গিয়ে ও হযরত মোহাম্মদ সাঃ অনেকক্ষন রুকুতে ছিলেন। 

 

রুকু শেষে সোজা হয়ে দাড়ালেন

এবং এখানেও অনেক টা সময় নিলেন যততটা সময় রুকুতে দিয়েছেন।

 

তারপর হযরত মোহাম্মদ সাঃ সেজদায় গেলেন।

 

সেজদায় হযরত মোহাম্মদ সাঃ বাকারা সূরা পড়ার মত সময় অতিবাহিত করলেন।

 

সুবহানাল্লাহ, 

 

হযরত আওউফ রাদিআল্লাহু আনহু ইরশাদ করেছেন,,

 

 

হযরত মোহাম্মদ সাঃ নামাজে তিনি পরিপূর্ণ একাগ্রতা খোজে পেয়েছেন।

 

হযরত মোহাম্মদ সাঃ পরিপূর্ণ মন নিয়ে নামাজের ইবাদতের মাঝে মশগুল হয়ে যেতেন।

 

এবং হযরত মোহাম্মদ সাঃ নামাজ ছিলো সরাসরি আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ ও মিরাজের এক জলজ্যান্ত উদাহরণ 

 

সুবহানাল্লাহ,,

 

 

নামাজ হচ্ছে বান্দার চাওয়া পাওয়া মাধ্যম আল্লাহর কাছে আকুল বিনিময়ের মাধ্যমে কিছু চেয়ে নেওয়া।

 

তাই নামাজ পড়ার সময় মন দিয়ে সূরা তেলোয়াত করতে করতে যদি চোখ বন্ধ হয় আর এই চোখ বন্ধ হওয়ার জন্য নামাজের কোনো সওয়াব নষ্ট হবে না।।

 

 

আমিন

https://youtu.be/_kInyJAuha8?si=D230ZW_NyqFZDMGV


Akhi Akter Mim

313 Blog posts

Comments