আমি বরাবরই বৃষ্টিকে পছন্দ করি,, ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে।
বৃষ্টির ফোটাকে অনুভব করতে,,
তা ও ছোট বেলায় তেমন বৃষ্টিতে ভিজতে পারিনি আমি,,,
কারন হচ্ছে বাবা
ভয় পেত যদি সর্দি জ্বর হয়।
কিন্তু আমার কিন্তু সহজে অসুখ বিসুখ হতো না।।
তবুও ভয় পেত আমায় নিয়ে।
সকাল বিকাল দুপুর নেই বৃষ্টি হলেই বাবা নিজে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি চলে আসতো।
এই বাড়ি চলে আসার ভয় নিয়ে আমি কখনো বৃষ্টিতে ভিজতে নামতাম না।
আমার ছোট বোন আবার তা না টুক করে দৌড় দিতো আর বাবা আসলে মার বা বকা খেতো।
আমি মনে হয় ৩য় বা ৪র্থ ক্লাসে পড়ি
আমার নানু বাড়ি আবার আমার দাদা বাড়ি পাশাপাশি ২ মিনিটের রাস্তা।
একদিন তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে আমি তখন নানু বাড়ি নানু বাড়ির পিছনে নানুদের খালি যায় গায় বৃষ্টির পানি জমাট বাধতে ছিলো
আমি আর আমার ছোট বোন আর চাচা তো বোন মিলে সেই ভিজা আর পানিতে খেলতে ছিলাম।
হঠাৎ দূর থেকে বাবা কে খেয়াল করলাম চুপ করে ওদের কিছু না বলে।
উঠে এসে পিছন দিয়ে বাড়ি চলে এসে গোসল খানায় গোসল করি।
বাবা বুঝতেই পারিনি আমি ও বৃষ্টিতে ভিজেছি।
বোন তো বকা খেয়েছে।
ও আবার আমার নাম বলেনি জানে আমি আবার মারবো তাহলে।
যখন বড় হলাম ৮ম/৯ম এ পড়ি তখন বাটন ফোন দিলো।
বৃষ্টি আসতে দেড়ি বাবার কল আসতে দেড়ি হয় না।।
আখি মা বৃষ্টিতে ভিজতে যায় ও না।লাখিরেও নামতে দিও না।।
আচ্ছা বাবা,,,
আমার আর বৃষ্টিতে তেমন ভিজা হয় না।
বাবার ভালোবাসার কাছে বৃষ্টিকে হার মানতে হয় বারংবার।
মাঝে মধ্যে বাবার অনুমতি নিয়েও আমি বৃষ্টি বরন করেছি গায়ে।
কতই না মজা আনন্দ বৃষ্টিতে ভিজতে।
পৃথিবীর নিয়ম মেনে আজো বৃষ্টি হয়।
বাতাস বয় শীতল।
বৃষ্টি আবহাওয়া দেই মেঘ।
কিন্তু বাবা তোমার কল তো আসে না।।
তোমার আখি তো আজও ভিজতে যাবে তার ইচ্ছে হচ্ছে বৃষ্টি ভিজতে।।
তুমি কেনো আসতেছো না।।
কেনো বলতেছো না
আখি মা বৃষ্টিতে নেমো না।।
এ বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর হবে।।
দেখো বাবা ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।।
তোমার মেয়ে তবুও বৃষ্টি ভিজতে নামছে না।।
মিস ইউ বাবা
বড্ড একা তুমি ছাড়া
তবুও আল্লাহ ফায়সালা মেনে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।।।।