মনে করুন, আপনি ফ্রিজ থেকে এই মাত্র একটা পানির বোতল বের করে টেবিলে রাখলেন। কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই দেখবেন বোতলের গায়ে বিন্দু বিন্দু পানি জমতে শুরু করেছে। আচ্ছা, আমি যদি এখন আপনাকে প্রশ্ন করি, বলেন তো বোতলের গায়ে এই পানি কোথা থেকে এলো? নিশ্চয়ই বোতল ছিদ্র হয়ে পানি বাইরে বের হয়ে আসেনি। তাহলে এই পানি এলো কোথা থেকে?
কি চিন্তায় পড়ে গেলেন? অত ভাবাভাবির কিছু নেই মশাই!
আসলে আমরা পানি বলতে শুধু তরল পানিকেই বুঝি। আরো এক ধরনের পানি আছে যা বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। তার নাম জলীয় বাষ্প । এই জলীয় বাষ্পের কারণেই মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা, তুষারপাত সবই হয়। এখন, সদ্য রাখা পানির বোতলের চারপাশে আছে বাতাস। বোতল ঠান্ডা হওয়ার কারণে বোতলের চারপাশের বাতাস বোতলের পানির তুলনায় গরম থাকে। এই গরম বাতাসে থাকা জলীয় বাষ্প যখন ঠান্ডা বোতলের গায়ে স্পর্শ করে তখন বাতাসের মধ্যে থাকা পানি জমতে শুরু করে এবং তা বোতলের গায়ে জমা হয়। তারমানে ঠান্ডা বোতলের গায়ে আমরা যে পানি দেখি তা আসলে বাতাসের পানি, বোতলের মধ্যকর পানি নয়! এই প্রক্রিয়ার একটা খটমট নাম আছে- তার নাম পানির ঘনীভবন। এই ঘনীবভনই বাতাসে ভাসমান পানিকে ধরে জমাট বাধায়ে বোতলের গায়ে ফেলে।
Adeel Hossain
242 Blog posts