সবার ক্লাস শেষ হয় আর সবাই বটগাছ তলা চলে আসে। তারপর সবাই মিলে আড্ডা দেই..
–এই সুমন তোর বাবা কি অবস্থা এখন? (সুমনের বাবা হার্টের রোগী। হাসপাতালে ভর্তি আছে, সুমনের কোন বড় ভাই নেই তাই খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করে আর বাবা-মা কে দেখাশোনা করে। যার কারণে আমরা সবাই সুমনকে একটু বেশি ভালোবাসি)
–ঐ আগের মতোই রে(সুমন)
–আচ্ছা ডাক্তার কি বলছে? (হৃদয়)
–ডাক্তার বলছে সময় লাগবে কিন্তু নিশ্চয়তা নেই...(সুমন)
–মন খারাপ করিস না দোস্ত সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে (হৃদয়)
–দোয়া করিস দোস্ত (সুমন)
–আমরা তো সব সময় দোয়া করি। তোর মা-বাবাকে আমাদের মা-বাবা নয়? (হৃদয়)
–হ্যাঁ অবশ্যই (সুমন)
–তাহলে এমন কথা বললি কেন? (হৃদয়)
–সরি দোস্ত ভুল হয়ে গেছে আর বলবো না (সুমন)
–হুম ঠিক আছে। আচ্ছা মিলি আজকে মেকআপ করিস নাই নাকি? (হৃদয়)
–তুই আবার আমার মেকআপ নিয়ে কথা বলছিস (মিলি)
–আছে হৃদয় তোর মিলি পিছে না লাগলে কি পেটের ভাত হজম হয় না নাকি? (ইব্রাহিম)
–একদম ঠিক বলছিস। শালা সারাক্ষণ আমার পিছে লেগে থাকে (মিলি)
–হইছে এখন সাপোর্ট পাইয়া এত লাফালাফি করতে হবে না। তুমি যে মেকআপ ম্যান তা তো সবাই জানে। সারাক্ষণ মেকআপ নিয়ে ব্যস্ত হি. হি. হি.(হৃদয়)
–এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে হৃদয় (মিলি অনেক রাগ হয়ে বলল)
–আচ্ছা বইন ভুল হইছে মাফ কইরা দে (হৃদয়)
–হইছে এত ঢং করতে হবেনা (মিলি)
–বাবা না চাইলেও দোষ। আচ্ছা ঠিক আছে আজকের পর আর কোনদিন তোর কাছে মাফ চাইবো না (হৃদয়)
–আচ্ছা তোরা কি শুরু করলে বলতো? (ইব্রাহিম)
–আছে সবকিছু বাদ দে তো দোস্ত। খুব ক্ষুধা পাইছে চল ক্যান্টিনে যাই (সুমন)
–তোর খোদা লাগছে তুই মিলিয়ে নিয়ে যা। আমাদের ক্লাসের সময় হয়ে গেছে আমি আর ইব্রাহিম ক্লাসে গেলাম।(হৃদয়)
–এখন তোদের আবার ক্লাস আছে?(সুমন)
–ক্লাস না থাকলে কি আমি যাই?(হৃদয়)
–সবই বুঝি! না খাওয়ানোর ধান্দা শুধু (মিলি)
–ওই কি বললি তুই? তোদের আমি খাওয়াই না? প্রতিদিন যে ক্যান্টিনে বসে এটা ওটা খাস কি খাওয়ায়? (হৃদয়)