এক নামে কম বেশি সবাই চেনে তাকে। সারা আর কখনো বাংলাদেশ ফিরতে চায় নি কিন্তু ভাগ্য তাকে ইউকে থেকে বাংলাদেশে টেনে নিয়ে এসেছে। সারা বাংলাদেশ এসেছে দুইটা কারনে প্রথম একটা ইমারজেন্সি অপারেশন করতে। দ্বিতীয় তার ছেলে মেয়েদের বাংলাদেশ টা ঘুরে দেখাবে। সারা সাথে তার এসিস্ট্যান্ট হিয়া এবং তার বন্ধু মাহিন নিয়ে এসেছে।সারা Airport থেকে বেরিয়ে দেখে মাহিন এর বাবা মা শিহাব মির্জা ও রোহেনা মির্জা ওদের রিসিভ করতে এসেছে। সারা এখন আপন মানুষ বলতে শুধু এরাই আর সবাই সারা কে ভুল বুঝে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। মাহিন এর বাবা মা সারা কে নিজের মেয়ের মত ভালবাসে।রোদ আর রোদ্রি মাহিন এর বাবা মা কে দেখে সারা কোল থেকে নেমে গুটি গুটি পায়ে দৌড়ে গিয়ে ওদের পা জড়িয়ে ধরে। সারা ওদের পিছন থেকে সাবধান করছে।
.
সারা : বাবারা আস্তে পরে যাবে তো।
.
মাহিন এর বাবা মা ওদের কোলে নিয়ে সারা মুখে চুমু দিয়ে বলে।
.
শিহাব মির্জা : কেমন আছে আমার দাদু ভাইরা?
.
রোদ : আমলা বলো আথি দাদু ভাই।তুমি তেমন আথো?
.
শিহাব মির্জা : ভালো ছিলাম না কিন্তু এখন ভালো আছি তোমাদের দেখে। সারা মা তুই কেমন আছিস?
.
সারা : বাবা আমি ভালো আছি।তোমরা ভালো আছো। ঠিক মত মেডিসিন নিচ্ছো তো।( সারা মাহিন এর বাবা মা কে বাবা মা বলে ডাকে। )
.
রোহেনা মির্জা : তা তো দেখেই বুজে গেছি কেমন ভালো আছিস। চেহারা কি হাল করেছিস একবার দেখেছিস? আর তোকে কোথাও যেতে দেবো না।
.
সারা : মা তুমিও না কোথায় কতদিন পর এলাম একটু আদর করবে তা না শুরু হয়ে গেলো