রাস্তায় বড় গর্ত আছে সেখানে কাদা পানিয়ে ভর্তি
হঠাৎ করে একটা গাড়ি এসে গর্তের উপর দিয়ে গাড়ি চালাই দেয় আর কাদা পানি গুলো পুরা সার্টে ছিটকে পড়ে
আমি : ঐ অন্ধের ঘরের অন্ধ দেখে শুনে গাড়ি চালাতে পারিস না
তারপর গাড়িতে আবার পিছে আসে এবার ইচ্ছা করে গর্তে গাড়ি চালায়, আবার আমার সার্ট পেন্ট কাদায় ভরে যায়,তারপর গাড়ির গ্লাস খুলে,
যে গাড়িতে ছিলো সে হলো আমার মামাতো বোন মানহা
আর বলতে শুরু করে
মানহা : ঐ ছোটলোকের বাচ্ছা, তুই আমাকে অন্ধ বললি তোর সাহস তো কম না
আমি : গাড়ি চালাচ্ছেন তো ভালো কথা দেখে শুনে চালালে কি হয়,দেখেন আপনার জন্য আমার জামা কাদায় ভরছে
মানহা : এহহহহহহ,যে কাপড় চোপড় মনে হয় আসছে বড়লোকের বেটা, তোর ঐ কাপড় চোপড় না আমার বাসায় কাজের লোকেও পড়ে না,
আমি :( চুপ হয়ে আছি,,,,,,,,,,,,)
মানহা : তোর সাহস তো কম না, আমাকে অন্ধ বলতেছিস দাড়া দেখাচ্ছি,বলে গাড়ি থেকে নেমে আমাকে ঠাসসসসসসস,ঠাসসসসসসসস
দুটো চড় দেয়, আর বলে
মানহা : Next Time যদি মুখে মুখে কথা বলিস না তাহলে তোর এমন হাল করবো যে তুই চিন্তাও করতে পারবি না, ছোটলোকের বাচ্চাবলে গাড়ি করে চলে গেলো,আর আমি বাসায় চলে যাই গিয়ে
আম্মু : কিরে তোর এ হাল কেন?
আম্মুকে সব বলি
আম্মু : যা বাদ দে, তারা বড়লোক আর আমরা কোথায়,তুই তো সবই জানিস, তুই চেন্জ করে বার্সিটি যা
আমি : ঠিক আছে,
তারপর চেন্জ করে বার্সিটি গেলাম,
সেখানে দুই হারামি তানভির আর রাহিব অপেক্ষা করতেছে
আমি তাদের কাছে গেলাম,
রাহিব : এতো দেরি কেন?
আমি : আর বলিস না (তারপর সব বললাম)
তানভির : ভাই দেখ ওরা হচ্ছে বড়লোক আর আমরা হচ্ছি মধ্যবিত্ত তাই এদের সাথে না লাগাটাই ভালো,
আমি : ঠিক বলছোস চল ক্লাসে যাই,(একটা কথা বলতেই ভুলেগেছি আমি আর মানহা একই ডিপাডমেন্ট ও ইয়ারে পড়ি,সাথে তানভির আর রাহিবও)
ক্লাস শেষ করে চলে গেলাম ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতে, সেখানে গিয়ে বটগাছের নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছি,তবে আমরা একা না,সাতে আরো দুই ফ্রেন্ড আছে, মেঘা আর আনিকা
মেঘা : অন্তর তুই বার্সিটিতে অনেক দিন ধরেই আছিস তোর কোনো মেয়ে পছন্দ হইছে
আমি : হ্যা হইছে তো,মেয়েটা না সেই, কখন যে তারে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলি আল্লাহ জানে
তানভির : কেরে সে?