জমিদার বাড়ির মেয়ে

Comments · 5 Views

চারিদিকের শীতময় আবহাওয়া
মধ্যে, সুয়েটারের পকেটের ভিতরে
হাত ঢুকাই, রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আর
মনে মনে ভাবতেছি...

কিন্তু সিলেট যে যামু....পকেটের

মধ্যে তো মাত্র দুইটা পাঁচ টাকার কয়েন

ঝনঝন করতেছে।

এই দুইটা কয়েন দিয়ে কেমনে সিলেট যামু।

এই সব ভাবতেছি আর সাত সকালে

রাস্তা দিয়ে হাঁটতেছি।

রাস্তার সাইট দিয়ে বাস, ট্রাক,

মাইক্রো সাঁ সাঁ করে ছুঁটে যাইতেছে।

আহা আজ যদি আমি বাসের কন্টাক্টার

হইতাম... কী আরামছেই না সিলেট

যাইতে পারতাম।

ফাঁডা কপাল আমার.... খালি দুইডা

পাঁচ টাকার কয়েন পকেটে নিয়ে ঘুরতেছি।

ছোটবেলার কিছু অভ্যাস এখনো

আমার মধ্যে বিরাজমান।

তবে সব চাই বেশি যেই জিনিসটা

ছোটবেলা থেকে আমার ভিতরে কাজ করে

সেটা হলো..

ধরুণ আমি আকাশ দিয়ে একটা প্লেন উঁড়ে যাচ্ছে,

আর আমি নিচে থেকে হা করে প্লেনটাকে

উঁড়ে যাইতে দেখতেছি।

ঠিক সেই মুহূর্তে আমার মনে হতো,

বড় হয়ে যেমনেই হোক আমি তো

একট প্লেন কিনমুই কিনমু।

আর সারাদিন আকাশে বাতাসে

উঁড়ে বেরামু।

 

আবার মনে করেন আমার আপেল খাইতে

মন চাইছে...কিন্তু কেউ আমারে সেই

সময়ে আপেল কিনে দেই নাই।

ঠিক সেই মুহূর্তে মনে হতো, আমি

যখন বড় হমু... তখন আপেল এর

দোকান দিমু... আর সারাদিন বসে বসে

আপেল খামু।

আর যদি আপেল এর দোকান দিতে না পারি,

তাহলে যেই মেয়ের বাপের আপেল এর দোকান

আছে।

সেই মেয়েকে বিয়ে করমু তারপরে সারাদিন

খালি আপেল আর আপেল খামু।

 

আবার মনে করেন সাপের ছবি

দেখতেছি... হঠাৎ যখন নায়ক

সাপ হয়ে যেতো...

তখন মনে হতো.... আহা আমিও

যদি সাপ হইতে পারতাম...

তাহলে আমার ও একটা সুুন্দরী নাগিনী

থাকতো।

 

আবার যখন কটকটি ওয়ালা আসতো,

তখন মনে হতো বড় হয়ে কটকটি ওয়ালা হমু।

আর সারাদিন কটকটি খামু।

হাওয়াই মিঠা ওয়ালা আসলে মনে হতো

বড় হয়ে হাওয়াই মিঠা ওয়ালা হমু।

 

এক কথায় আমার যাই ভালো লাগতো

আমি সেটাই হইতে চাইতাম।

 

আর এই অভ্যাসটাই এখনো,

আমার ভিতরে আছে ।

এত বড় যে হইছি তাও ঐ

ছোটবেলার আরমান, আর এখন এর

আরমান কোন টার কোন পরিবর্ত নাই।

 

এখনো যদি....

দামি কোন গাড়িতে চড়ে কাউকে

যাইতে দেখি তাইলেই মনে হয়...

হেতের তো খালি এই একটাই

গাড়ি আছে।

আমি তো একদিন এর থেকে ও

দামি দামি গাড়ি বানানোর একটা

কোম্পানি দিমু।

Comments
Read more