আমরা পরিবারে ৪ জন সদস্য ছিলাম
বাবা মা আমি আর আমার বোন,,
আমি বাবা আর বোন আমরা ৩ জনই খুব খিচুড়ি পাগল।
এখন কথা হলো কি খিচুড়ি ভূনা পাতলা নাকি সবজি খিচুড়ি।।
আমরা সব ধরনেরই খিচুড়ি পছন্দ করি।।
সপ্তাহে ৩ বার আমাদের খিচুড়ি চলে।।
ডাউলের ভিতর মুশরি ডাউল আর এংকার ডাউল। অন্য কোনো ডাউল চলবে না খিচুড়িতে।।
তারপর নতুন সদস্য যোগ হলো আমার নানা ভাই আমার স্যার মহাশয়।।
ওমা ওনি দেখি আমাদের ফেল করিয়ে দিবে দিনে ৩ বারই খিচুড়ি দেও কোনো সমস্যা নাই।
সমস্যা শুধু এক যায়গায় তা হতে হবে ভূনা,,,, কোনো পাতলা চলবে না।।
তাতে যদি খাসি মহিস গরু মুরগি ডবল থাকে তাও পাতলা খিচুড়ি তার মুখে যাবে না।।
কি ক্লেংকারি জীবনের প্রথম বিয়ের পর কত শখ করে মুরগী দিয়ে পিকনিক করি খিচুড়ি।।
আমি কি জানি নতুন মেহমান এসব পাতলা খিচুড়ি খাই না?
ভালোবেসে শখ করে নিয়ে গেছি প্লেটে,,,
সেকি কান্ড আমায় বলো নিয়ে যাও আমি খাবো না।।
আমি বললাম খান অনেক মজা হয়েছে।
আমি বেছে বেছে গোস্ত আনছি??
তারপর ইয়া বড় বড় চোখ হাজির আমি তো ভয় পাইছি,,,
বললেই হতো আগে পিকনিকের আপনি এমন খিচুড়ি খান না?
খিচুড়ি রান্নার উপকরণ :
চাউল
ডাউল (যে যেমন ডাউল পছন্দ করে)
পেয়াজ মরিচ,
আদা,রসুন,জিরা বাটা।
গোটা এলাচ দারচিনি
তেল
হলুদ গুড়া
লবন
:
রান্নার কৌশল :
প্রথমে একটি কড়াই বসিয়ে দিব তারপর কড়াই গরম হলে পরিমান মত তেল দিব
তেল গরম হলে পেয়াজ কাঁচা মরিচ দিয়ে একটু ভেজে তার মধ্যে পরিমান মতো লবন,,হলুদ গুড়া দিব, আদা বাটা রসুন বাটা জিরা বাটা দিয়ে সামান্য পরিমান পানি দিয়ে কসিয়ে নিব।
তারপর কসানোর মাঝে ধুয়া চাউল ডাউল দিয়ে ভালো ভাবে বেজে নিবো
তারপর চাউলের পরিমান করে পানি দিব।।
তারপর নেড়েচেড়ে আমাদের খিচুড়ি রান্না হয়ে যাবে।।
খিচুড়ির সাথে ডিম ভাজা কিংবা আলুভর্তা ডিম ফ্রাই।
আলহামদুলিল্লাহ সেই টেস্ট ??