পারোনা৷
সাব্বিরঃ স্যার আসিক আমাদের মারা প্ল্যান করেছিলো,, ওই কোল্ড ড্রিলস এর বোতলে বিষ আছে,,, আর যখনই আমি ওটা আসিক কে খেতে বলি হয়তো ও কিছুটা আন্দাজ করে নিয়েছিলো আমি সব জেনে গিয়েছি তাইতো কোমড় থেকে পিস্তল টাও বের করে লোড করে নিয়েছিলো,,, হয়তো আর কয়েক সেকেন্ড সময় পেলেই আমাদের মাথা ফুঁটো করে দিতো,,
মাহবুবুর রহমানঃ কিহহহ এই কে আছো তাড়াতাড়ি এসো,,
সাব্বিরঃ স্যার না না এঁকে তো আমি জেলে বা পুলিশ এর কাছে হস্তান্তর করবো না একে আমি নিয়ে যাবো স্যার আমার গোপন আস্তানায়,,,
মাহবুবুর রহমানঃ ঠিক আছে নিয়ে যাও,, আমি তাহলে এটা সিক্রেট রাখবো তাইতো??
সাব্বিরঃ হ্যা,,
সাব্বির আর কিছু না বলে আসিক এর সামনে বসে পিস্তল ভাঁজ দিয়ে আসিক এর মুখে কয়েকটা আঘাত করে তারপর,,সাব্বিরঃ সালা তুই যদি এই স্কুলের শিক্ষক সাহস তবে আমি এই স্কুল এর হেডমাস্টার বুঝলি,, তুই তো বেকা ভেবেছিস গুলি লোড করার শব্দটা আমি শুনতে পারবো না?? সত্যি মাস্টার মাইন্ড তুই গুলি লোড করার সময় ইচ্ছে করেই কাঁচের বোতল জোরে শব্দ বকরেছিলি,,,এখন চল তোর শরীরে চামড়া গুলো আমি গরুর মতো ছিঁলবো৷, হা হা হা,,,, স্যার আসছি,,
সাব্বির কথাটা বলেই আসিক কে একটা বিশাল কাঁঠের বাক্সে সম্পূর্ণ উলঙ্গ ভাবে তুলে নিয়ে চলে আসে,,,, সাব্বির চলে যেতেই মাহবুবুর রহমান একটা শান্তির নিশ্বাস ফেলে কারণ সাব্বির এর রাগী আগুন ঝড়ানো চোখ দেখে মাহবুবুর রহমান খুবই ভয় পান,, আর একটু আগেই ওর কান্ড দেখে আরো ভয় পেয়ে যান তিনি,, সাব্বির আসিক কে নিয়ে বাঁহিড়ে আস্তেই একটা হেলিকপ্টার সাব্বির এর সামনে ল্যান্ড করে সাব্বির হেলিকপ্টার এর উঠে বসে আর আসিক এর বাক্স টা ঝুলিয়ে দেয় হেলিকপ্টার এর সাথে,, সাব্বির হেলিকপ্টার এ বসে তাকায় পাইলট এর দিকে,, পাইলট মুচকি হাঁসছে,,
সাব্বিরঃ লুইস গুড জব, তুমি আমাকে না বললে তো আমি খেয়েই নিতাম কোল্ড ড্রিংস,,
লুইসঃ বস এসব এর কামাল তো আপনার নিজেরই খুব দক্ষতার সাথে একটা স্পাই ড্রোন বানিয়েছেন,,,,
সাব্বিরঃ হি হি হি হি শুনো আমাদের বগুড়া যেতে হবে নিউ মিশন এ স্টিফেন কে চলে আস্তে বলো,,,
লুইসঃ ওকে বস,,
সাব্বির আর কোনো কথা বলে জানালা দিয়ে বাঁহিড়ে তাকায়,,, পাখির মতো আকাশে ভাসছে ও,,,, এমন সময় সাব্বির এর ফোন বেজে ওঠে,,
সাব্বিরঃ হ্যালো,
মাহবুবুর রহমানঃতেমাকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম তোমার অস্ত্র গুলো বগুড়া সদর এর সেনা নিবাস থেকে সংরক্ষণ করে নিও কেমন,,
সাব্বিরঃ ওকে স্যার,,
সাব্বির ফোন কেঁটে দিয়ে লুইস কে বলে,,
সাব্বিরঃ লুইস সোঁজা আমাদের আড্ডা খানায় চলো,, আসিক এর একটা ব্যাবস্হা না করে আমি মিশনে যাবো,,
লুইসঃ ওকে বস,,
একটু পর হেলিকপ্টার ল্যান্ড করে ১০ তলা বিল্ডিং এর ছাঁদে ,, সাব্বির আগেই হেলিকপ্টার থেকে নেমে চেয়ারে গিয়ে বসে,, লুইস হেলিকপ্টার এর ইঞ্জিন বন্ধ করে আসিক কে বাক্স থেকে টেনে বের করে নিয়ে এসে সাব্বির এর সামনে ছুঁড়ে মারে,, সাব্বির একটা বিদেশি চাইনিজ কুঁড়াল হাত নিয়ে আসিক এর চুলের মুঠি টেনে দাঁড় করায় তারপর,,
সাব্বিরঃ সত্যি করে বল তোকে বিষ দিতে কে বলেছিলো কোল্ড ড্রিংস এ???
আসিকঃ হি হি হি বলবো না সালা যা করার করে নে,,
সাব্বির আসিক এর কথা শুনো,,, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এক কোঁপ বসিয়ে দেয় আসিক এর ডান পায়ে,, মহূর্তে আসিক এর সব গুলো নখ কেঁটে পড়ে যায়,,আসিক চিৎকার করে উঠে,,সাব্বির খিল খিল করে হেঁসে বাম পায়ে কোঁপ দেয়,,এবার পুরো পায়ের পাতাই আলাদা হয়ে যায় আসিক এর শরীর থেকে,,, আসিক আবারো চিৎকার করে উঠে,, কিন্তু ১০ তলার ছাঁদে থাকায় কেউ ওর চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলো না,, সাব্বির খিল খিল কে হেঁসে আসিক এর জিহ্বা প্লাস দিয়ে টেনে বের করে নিয়ে আসে তারপর,, দাঁতে দাঁতে কামড়িয়ে বলে,,
সাব্বিরঃ বলবি নাকি তোকে আরে ভয়ংকর কষ্ট দিবো বল?? যদি বলিস তবে ছেঁড়ে দিবো,, বল তেকে কে হুকুম করেছিলো???
আসিকঃ আহহহহ বলছি আমি স্যার বলছি প্লিজ আমাকে আর কষ্ট দিবেন না আমি বলছি,,,
সাব্বিরঃ হি হি হি এই তো ভালো ছেলে মুক খুলে ফেলো এখন তাড়াতাড়ি কে তেকে বলেছিলো আমাদের কোল্ড ডিংস এ বিষ মেশাতে???
আসিকঃ স্যার আমি তাকে চিনি না আমি কোল্ড ড্রিংস নিতে যাওয়ার সময় একটা অচেনা নাবার থেকে ফোন আসে আমিও রিসিভ করি,, তখন সেই অচেনা লোক আমাকে বলে,, আমি যেন আপনাদের কোল্ড ড্রিংস এ বিষ মিশিয়ে দেয় আর এই কাজের জন্য ওরা আমাকে ১০০ কোটি টাকার ব্যালক চেক দিবে আর সেটা যেন আমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কালো পোশাক পরিহিত ছেলের থেকে নিয়ে নেয়