রিক্সাওয়ালার ছেলে ???

Comments · 4 Views

একথা বলে নীলা মুখ ভেঙচি কেটে ক্লাসের দিকে চলে গেলো,, আমি হাসতে হাসতে উল্টো দিকে রওনা হলাম,,।

ও হ্যা,, আগে আসনে ??

আমি সাতার কাটছিলাম,, কিছুক্ষণ পর নীলা একটা লুঙ্গি আর একটা সার্ট হাতে নিয়ে পাড়ে এসে হাজির হলো,,।

 

আমিঃ কি রে,, সার্ট টা আমার খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে,,

 

নীলাঃ সর তো,,

 

আমিঃ সত্যি করে বল এটা কার,,

 

নীলাঃ কার আবার,, তোর,, মনে নাই,, একদিন এখানে গোসল করে শার্ট রেখেই চলে গেছিলি,,

 

আমিঃ ওহহ মনে পড়ছে,,

 

নীলাঃ ভাবছিলাম তোকে আর দিবো না,, আমার কাছেই রাখবো,,

 

আমিঃ তুই কি করবি,,??

 

নীলাঃ আমার বরকে পরিয়ে দিবো,, হারামি,, নে উঠে আয়,,

 

আমিঃ আর একটু,,

 

নীলাঃ লাত্তি খাবি কিন্তু,,,

 

আমিঃ উঠছি,,

 

কি আর করার,, পাড়ে পেত্নী দাঁড়িয়ে আছে,, না উঠলে খবর খারাপ হয়ে যাবে,, তাই আর দেরি না করে উঠে পড়লাম,,।

 

উঠে এসে শার্ট খুলে রাখলাম,,আর নীলার হাত থেকে গামছা নিয়ে মাথা মুছতে লাগলাম,, এরপর গা মুছে লুঙ্গিটা পরে নিলাম,, মনে হচ্ছে লুঙ্গিটা ওর বাবার,,।

 

আমিঃ নে ময়না,, এবার আমার জামা কাপড় ধুয়ে নে,,

 

নীলাঃ এই বাদর এই,, আমায় কি তোর বউ পায়ছিস,,

 

আমিঃ শুধু এই কাজের জন্য হলে হতে পারে,,

 

নীলাঃ আমার বয়ে গেছে সর,,

 

আমিঃ তুই সর,, লাগবে না ধোয়া,,

 

তারপর আমি ধুয়ে নিলাম,, নীলা এসে শুধু আমার শার্ট ধুয়ে নিলো,, তারপর দুজনে নীলার বাসায় এসে আমার শার্ট প্যান্ট রোদে দিনু,,।

 

নীলাঃ ক্লাস করবি,,??

 

আমিঃ হয়,, এই লুঙ্গি পরে ক্লাস করবো,,

 

নীলাঃ তাহলে থাক আমি বইগুলা নিয়ে আসি,,

 

একথা বলে নীলা স্কুলে চলে গেলো,, আমি নীলার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে রইলাম,, একটু পর বই নিয়ে এসে হাজির হলো মেডাম,,।

 

আমার বই নিয়ে আমি রওনা হলাম,, নীলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসার দিকে হাটতে লাগলাম,, এই লুঙ্গি পরে ক্লাসের বই নিয়ে হাটতে একটা লজ্জাও লাগছিলো,,।

 

কিন্তু কিছু করার নেই,, বই না নিয়ে গেলে রাতে পড়বো কেমনে,, তাই বই সাথে নিতেই হলো,,।

 

কিছুক্ষণ হাটার পর বাসায় এসে পৌছলাম,, দরজা দিয়ে ঢুকতেই আম্মু আমার এমন অবস্থা দেখে বুঝে গেলো,,।

 

আম্মুঃ আজকেও নিশ্চয়ই নদীতে গোসল করছিস,,??

 

আমিঃ আমি কি আর সাধে করছি,,

 

আম্মুঃ তোকে না নিষেধ করছি,,

 

আমিঃ আরে আম্মু,, আমার দোষ নাই,, সব ওই নীলা পেত্নীর দোষ,,

 

আম্মুঃ এখন তো ওর দোষ হবেই,,

 

আমিঃ ও আমায় ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দিছে,,

 

আম্মুঃ মিছা কথা একদম বলবি না,,

 

আমিঃ সত্যি বলছি,,

 

আম্মুঃ হুম,, তুই যে কত সত্যির বান্দা সেটা আমার খুব ভালো করে জানা আছে,,।

 

আমিঃ ধুরু,, কেউ আমায় বিশ্বাস করে না,,।

 

এমন বিরক্তিকর ভাব নিয়ে ঘরের দিকে চলে গেলাম,, ঘরে এসে বইগুলো টেবিলে রাখলাম,, আর খাটের উপর সুয়ে পড়লাম,,।

মিছা কথা একদম বলবি না,,

 

আমিঃ সত্যি বলছি,,

 

আম্মুঃ হুম,, তুই যে কত সত্যির বান্দা সেটা আমার খুব ভালো করে জানা আছে,,।

 

আমিঃ ধুরু,, কেউ আমায় বিশ্বাস করে না,,।

 

এমন বিরক্তিকর ভাব নিয়ে ঘরের দিকে চলে গেলাম,, ঘরে এসে বইগুলো টেবিলে রাখলাম,, আর খাটের উপর সুয়ে পড়লাম,,।

 

আমাদের মাটির বাড়ি তাই মাটিই আমাদের একমাত্র এসি,, কারেন্ট ছিলো,, কিন্তু চার মাসের বিল পরিশোধ করতে পারি নাই বলে লাইন কেটে দিছে,,।

 

লাইন লাগাতে অনেক টাকা লাগবে,, তাই আর লাগানোর ক্ষমতা হয়ে উঠে নাই,, সেজন্য ওভাবেই আছে,,।

 

একদিন আমি এসব কিছু ঠিক করে দিবো,, আমার বাবা মাও একদিন মাথা তুলে বাচতে পারবে,, বড়লোকদের মতো ঘুরবে,,।

 

আমি যখন লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করবো,, তখন আম্মু আব্বুকে অনেক সুখে রাখবো,, একটুও কষ্ট পেতে দিবো না,, আর এই কষ্টের ভিতর থাকতেও দিবো না,,।

 

একবার শুধু আমি লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পায়,, তারপর দেখাবো আমার বাবাও সবার মতো চলতে পারে,, কারো থেকে কম নয়,, কারো পাট খেটে খেতে হবে না,,।

 

সুয়ে সুয়ে এসব ভাবছিলাম,, এরমধ্যে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বলতে পারবো না,,।

 

হঠাৎ আম্মুর ডাক কানে ভেষে আসলো,, একটু ভালো করে শুনতেই বুঝলাম আম্মু খাওয়ার জন্য ডাকছে,, পেটে তো খিদা ঠিকি লাগছে,, কিন্তু চোখে বলছে আর একটু ঘুমা,,।

 

পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি,, এটা বেবে উঠে পড়লাম,, বাইরে এসে পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসলাম,,।

 

আমিঃ আব্বু কই,,??

 

আম্মুঃ কাজ করছে,,

 

আমিঃ এত দুপুরেও কাজ শেষ হয় নাই ,,?? কার কাজ করছে,,??

 

আম্মুঃ চেয়ারম্যানের,,

 

আমিঃ ওর কাজে কেনো যায় হ্যা,, গরুর মতো মানুষকে খাটিয়ে নেই,, আবার টাকা দেওয়ার সময়ও কম দেয়,,

 

আম্মুঃ বাবা,, কাজ না করলে আমরা খাবো কি,,

 

আমিঃ তাই বলে গরুর মতো খাটতে হবে,,??

 

আম্মুঃ শুধু আজকেই তো দেরি করছে,,

 

আমিঃ আমি জানি না,, আব্বুকে বলবা,, ওই চেয়ারম্যানের কাজে যপন আর না যায়,,

 

আম্মুঃ তা কি করে হয় বল,, কাজের মানুষ কাজে যাবে না,,??

 

আমিঃ রিক্সা আছে,, রিকশা চালাবে,,

 

আম্মুঃ রাস্তায় নাকি এখন তেমন ভাড়া হচ্ছে না,,

 

আমিঃ না হোক,, এত রোদে এভাবে সারাদিন কাজ করলে আব্বুর অসুখ হবে,,

 

আম্মুঃ আমি মানা করছি,, কিন্তু আমার কথা শুনলে তো,,??

 

আমিঃ আজকে আসুক,,

 

একথা বলে আমি খেতে লাগলাম,, খাওয়া দাওয়া করেঘরে গেলাম,, আরাম করার জন্য খাটে গা এলিয়ে দিলাম,,।

 

দুপুর গড়িয়ে বিকেল আসলো,, তবুও আব্বু আসলো না,, আমি বিকালে বের হলাম,, রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম,, এমন সময় সামনে দেখলাম,, একটা বৃদ্ধলোক রাস্তা পার হতে চাচ্ছে,,।

 

এক ধাপ এসে আবার পিছনে ফিরে যাচ্ছে,, আমাদের গ্রামের এটা সব থেকে বড় রাস্তা,, তাই এটাতে জাম বেশি,, ঠিক মতো পার না হতে পারলে খবর খারাপ হয়ে যাবে,,।

 

তো দেখলাম বৃদ্ধলোকটা রাস্তা পার হবার অনেক চেষ্টা করলো,, কিন্তু পারলো না,, একধাপ আসলে দুই ধাপ পিছনে যাচ্ছে,, বিষয়টা দেখে আমি থেমে থাকতে পারলাম না,,।

 

সাথে সাথে হেটে সেই বৃদ্ধলোকটার কাছে গেলাম,, কাছে গিয়ে লোকটার হাত ধরলাম আর বললাম,,।

 

আমিঃ দাদু,, চলেন আমি আপনায় রাস্তা পার করে দিচ্ছি,,

 

বৃদ্ধ লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসলো মনে হচ্ছে আমায় দোয়া করলো,, আমি এবার লোকটার হাতে ধরে আসতে আসতে এগিয়ে যেতে লাগলাম,,।

 

আমার দিকে দেখে কিছু কিছু গাড়ি থেমে গেলো,, ফলে আমি তাড়াতাড়ি পার

 হওয়ার সম্ভবনা পেলাম,, কিন্তু মাঝখানে আসতেই হঠাৎ একটা বাইক চলে আসলো,,।

আমাদের মাটির বাড়ি তাই মাটিই আমাদের একমাত্র এসি,, কারেন্ট ছিলো,, কিন্তু চার

Comments
Read more