আমরা কথায় কথায় বলিনা চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে দেবো! আসলে এইটা একদমই ফালতু কথা না। এর পিছনে একটা লজিক আছে এবং এর একটা বায়োলজিক্যাল কারণও আছে।
সাধারণত কোন মানুষের সন্তান হয় তার পরবর্তী প্রজন্ম। এটাকে বলা হয় বায়োলজিকাল প্রজন্ম। মনে করুন আপনার দাদা হল প্রথম প্রজন্ম আপনার বাবা দ্বিতীয় প্রজন্ম এবং আপনি তৃতীয় প্রজন্ম। এভাবে এক সময় আপনার ছেলেপেলে নাতিপুতি ধরে 14 নম্বর প্রজন্ম পর্যন্ত যাবে। মানে আপনি আপনার বাবার মত আপনার বাবা আপনার দাদার মতো। একইভাবে দাদা তার বাবার মত। এরকম করে চৌদ্দ পুরুষ পর্যন্ত বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। অর্থাৎ 14 তম পুরুষ পর্যন্ত সকল আচার-আচরণ, দেহের উচ্চতা, গঠন, গায়ের রং একই রকম থাকে। ১৫ নম্বর প্রজন্ম থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য হয়।
তাই আমরা মজার ছলে যদিও বলি চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে দেবো কিন্তু আসলে চৌদ্দগুষ্টি মানে ওই বংশের সকল বৈশিষ্ট্য মিটায় ফেলার কথা বলা হচ্ছে।
এটা সবথেকে বেশি আমরা ফসলের ক্ষেত্রে দেখতে পাই। যারা ফসল ইনব্রিড করে তারা এভাবে প্রজননের মাধ্যমে এমন একটি প্রজন্ম খুঁজতে থাকে যাতে ফসলের বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ চেঞ্জ হয়ে যাবে এবং নতুন একটি বৈশিষ্ট্য আবির্ভাব ঘটবে। তারপর সেই নতুন ফসল কে একটা আলাদা জাত হিসেবে বাজারে পাঠানো যাবে। আমি নতুন নতুন ধান বা অন্যান্য ফসলের জাত বাজারে আসে। যেমন ব্রি-ধান-28 এরকম একটি ধানের নাম।