খুব সুন্দর শিক্ষনীয় ঘটনা

Comments · 3 Views

হযরত উমার (রাঃ) এর শাসন আমল, একদিন দুজন লোক এক বালককে টেনে ধরে নিয়ে আসল তাঁর দরবারে। উমর (রাঃ) তাদের কাছে জানতে চ??

যা দেখে আমি রাগান্বিত হই এবং একটি পাথর নিয়ে তার দিকে মারি, পাথরটি তার মাথায় লাগে এবং সে মারা যায়। উমর (রাঃ) দুভাইকে বলেলন, তোমরা কি এ বালককে ক্ষমা করবে? তারা বলল,না, আমরা তার মৃত্যূদণ্ড চাই উমর (রাঃ)

 

বালকটির কাছে জানতে চাইলেন, তোমার কি কোন শেষ ইচ্ছা আছে?

 

বালকটি বলল, আমার আব্বা মারা যাওয়ার সময় আমার ছোট ভাইয়ের জন্য কিছু সম্পদ রেখে যান, যা আমি এক যায়গায় লুকিয়ে রেখেছি। আমি তিন দিন সময় চাই, যাতে আমি সেই জিনিস গুলো আমার ভাইকে দিয়ে আসতে পারি। আমার কথা বিশ্বাস করুন। উমর (রাঃ) বললেন, আমি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি যদি তুমি এক জন জামিন জোগাড় করতে পার, যে নিশ্চয়তা দেবে যে তুমি ফিরে আসবে? বালকটি দরবারের চারদিকে তাকাল এত মানুষের মধ্যে কেউই তার জামিন হল না। সবাই নিচের দিকে তাকিয়ে রইল। হঠাত্ দরবারের পেছন থেকে একটি হাত উঠল। কার হাত ছিল এটি? প্রখ্যাত সাহাবী আবু যর গিফারী (রাঃ), তিনি বললেন, আমি তার জামিন হব। চিন্তা করুন জামিন মানে হল, যদি বালকটি ফিরে না আসে তবে আবু যর গিফারী (রাঃ) এর শিরচ্ছেদ করা হবে। সুতরাং বালকটিকে ছেড়ে দেওয়া হল। এক দিন গেল, দ্বিতীয় দিনেও বালকটি আসল না,

 

তৃতীয় দিনে দুভাই আবু যর গিফারী (রাঃ) এর কাছে গেল। আবু যর (রাঃ) বললেন, আমি মাগরিব পর্যন্ত অপেক্ষা করব। মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে আবু যর গিফারী (রাঃ) দরবারের দিকে রওনা হলেন। মদিনার লেকজন তাঁর পেছন পেছন যেতে লাগল। সবাই দেখতে চায় কি ঘটে। আবু যর (রাঃ) একটি বালকের ভুলের কারণে আজ জীবন দিচ্ছেন। হঠাত্ আজানের কিছুক্ষণ আগে বালকটি দৌড়ে আসল। লোকেরা সবাই অবাক হল। উমর (রাঃ) বললেন, হে বালক তুমি কেন ফিরে এসেছ? আমি তো তোমার পিছনে কোন লোক পাঠাইনি। কোন জিনিসটা তোমাকে ফিরিয়ে আনল? বালকটি বলল, আমি চাই না যে, কেউ বলুক একজন মুসলিম কথা দিয়েছিন কিন্তু সে তা রাখে নি তাই আমি ফিরে এসেছি।

 

 উমর (রাঃ) আবু যর (রাঃ) কে বললেন, হে আবু যর তুমি কেন এই বালকের জামিন হলে? আবু যর (রাঃ) বললেন, আমি দেখলাম একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন, আমি চাই না যে, কেউ বলুক একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন ছিল কিন্তু কোন মুসলমান তাকে সাহায্য করে নি। এ কথা শুনে দুই ভাই বলল, আমরাও চাই না যে কেউ বলুক একজন মুসলমান ক্ষমা চেয়েছিল কিন্তু অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করে নি। তারপর বালকটি মুক্তি পেল।

Comments
Read more