দুই মাস হল বিয়ে করছি

প্রেমআর করার কোন উপায় নেই জান্নাত কে দেখার। গ্রামটা ঘুরে দেখা শেষে বাসায় ফিরি। বাসায় ফিরে রুমে রেস্ট নিচ্??

তাকিয়ে থাকতে পারলাম না করেন সেটা আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের ছোট বোন। আর পারবে আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি। নাকি আমাকে একটি রুমে নিয়ে গেল আর বলল..

 

–এটা আপনার থাকার রুম। যান ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নেই।

–তোমাকে ধন্যবাদ।

 

মেয়েটা ওয়েলকাম জানিয়ে চলে গেল। হঠাৎই আমার আমার ফোনে কল বেজে উঠলো। জান্নাত ফোন করেছে..

 

–তাহলে তুমি সিরাজগঞ্জ এসেই গেলে?

–তুমি কিভাবে জানলে?

–এখন থেকে তোমার প্রত্যেকটি কদম ই আমি দেখতে পাবো..

–মানে! কিভাবে?

–সেটা তো তোমাকে বলা যাবে না। আচ্ছা তুমি এখন লাল শার্ট পড়ে আছো না?

–তুমি এগুলো কি ভাবে বলছো?

–সব জানতে পারবে। এখন থেকে তুমি আমার নজরে নজরে থাকবে। তুমি কখন কি করছো সবকিছুই আমি জানতে পারবো।

–(আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিনা জান্নাত এগুলো কিভাবে জানি) আচ্ছা জান্নাত তুমি কি আমাকে একটু খুলে বলবে?

–সময় হোক সবকিছু জানতে পারবো...

–এটা আবার কেমন কথা? আমার সাথে লুকোচুরি খেলছো?

–যা মনে করবে তাই।

–তোমার জন্য এত কষ্ট করে আমি সিরাজগঞ্জে আসলাম আর তুমি..

–উফ এত কথা বলো না তো। এখন ফোন রাখলাম পরে কথা হবে বাই।

 

এটা বলে জান্নাত ফোনটা রেখে দিল। আমিতো বিছানার উপর বসে গেলাম। বিছানার উপর বসে ভাবছি (জান্নাত আমার উপস্থিতি বুঝলা কিভাবে? আর জানলেই বা কিভাবে আমি কি পোশাক পড়ে আছি? না ঘটনাটা কেমন জানি এলোমেলো লাগছে) এগুলা ভাবতে ভাবতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নিলাম। অনেকক্ষণ পর ইব্রাহিম আমার রুমে এসে আমাকে ডেকে বলল..

 

–হৃদয়! দুইটা কখনো গ্রামে আসিস নি আর আমিও অনেকদিন ধরে গ্রামে আসেন চল বাহিরে থেকে একটু ঘুরে আসি..

–আচ্ছা ঠিক আছে চল।

 

আমি আর ইব্রাহিম বাড়ি থেকে বের হতে যাবো এমন সময় মিম সামনে এসে দাড়িয়ে বলল..

 

–ভাইয়া কোথায় যাচ্ছিস?

–এইতো একটু বাহিরে ঘুরতে যাব কেন?

–তুই তো অনেকদিন যাবত গ্রামে আসিস না গ্রামের রাস্তাঘাট কি তোর মনে আছে?

–ওমমম না তো। আমাকে কথা একদমই মনে ছিল না।

–আচ্ছা যাওয়ার সময় সুজন কে সাথে নিয়ে যাস।

–আচ্ছা ঠিক আছে।

 

সুজল ইব্রাহিমের বড় চাচার ছেলে। কিন্তু বয়সে আমাদের ছোট। সুজন কে নিয়ে গ্রামে ঘুরছি। সত্যি গ্রামের দৃশ্য অনেক সুন্দর। আশেপাশে ক্ষেত-খামার আর তার মাঝখান দিয়ে রাস্তা। খুব মজা হচ্ছিল। চারপাশে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। সত্যি শহরের সাথে গ্রামের কখনো তুলনা হয়না। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ জান্নাতের একটা এসএমএস আমার ফোনে আসলো....

 

____________________চলবে?

 

পরবর্তী পার্ট খুব শীঘ্রই আসছে...

আজকের পার্ট টি কেমন লাগলো কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন

 

??#_বেস্টফ্রেন্ড_এর_বোন_যখন_গার্লফ্রেন্ড

 

#_পার্ট_০৩+০৪

 

#_লেখক_আবির_আহম্মেদ

 

সত্যি শহরের সাথে গ্রামের কখনো তুলনা হয়না। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ জান্নাতের একটা এসএমএস আমার ফোনে আসলো....

 

–বাহিরে ঘুরছ ঠিক আছে কিন্তু এলাকার অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকালে কিন্তু চোখ তুলে ফেলবো।

 

ও আল্লাহ! জান্নাত আমার প্রতিটা খবর কি হবে জানছে? জান্নাত এখন কোথায় আছে আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা। আর আমার খবর গুলো কিভাবে পাচ্ছে আমার তো মাথায় আসছেনা।

 

–আচ্ছা তুমি কোথায় আছো বলো তো?

–ঠিক সময় আসুক সবকিছু জানতে পারবে।

–তোমার জন্য এত কষ্ট করে আমি আসলাম আর আমার সাথে দেখাই করছো না।

–কিচ্ছু করার নাই অপেক্ষা করো। সবুরে মেওয়া ফলে হি. হি. হি....

 

কি আর করার কোন উপায় নেই জান্নাত কে দেখার। গ্রামটা ঘুরে দেখা শেষে বাসায় ফিরি। বাসায় ফিরে রুমে রেস্ট নিচ্ছি। এমন সময় দেখলাম মিম বারবার আমার রুমের সামনে দিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমি বুঝলাম না ব্যাপারটা কি মেয়েটা আমার রুমের সামনে দিয়ে এমন ঘোরাঘুরি করছে কেন। একটুপর ডিনারের জন্য ইব্রাহিম এসে ডেকে গেল। তারপর ডিনার শেষে রুমে এসে শুয়ে আছি। একটু পর আমার ফোনে মেসেজ আসলো...

 

–কি ব্যাপার সারাদিন রুমের মধ্যে শুয়ে বসে থাকো খারাপ লাগছে না?

–তুমি কোথায় আছ এখন? আর তুমি কিভাবে বুঝলে আমি রুমের মধ্যে বসে আছি?

–তোমাকে বলছিনা তোমার প্রত্যেকটা কদম এখন থেকে আমি দেখতে পাবো।

–তাহলে আমার সামনে আসছ না কেন?

–সঠিক সময় আসুক ঠিকই সামনে যাব। আচ্ছা তোমাকে যেটা বলার জন্য মেসেজ দিছি চলো কাল দেখা করি...


Jwel Rana

36 Blog posts

Comments