উঠিস একটু দরকার আছে।।
আমিঃ কি দরকার..?
মিমঃ এতোকিছু জানার দরকার নেই যা বলছি তাই করবি মনে থাকে যেন।।
আমিঃ আচ্ছা এখন তাহলে আমি যাই..?
মিমঃ ওকে যা আর বাসায় গিয়ে কিন্তু পড়তে বসবি।।
আমিঃ আর কিছু না বলে মাথা নাড়িয়ে চলে আসলাম ওদের বাসা থেকে।।
এরপর বাসায় এসে সোজা নিজের রুমে চলে এলাম।। রুমে এসে আগে মিম আপুর দেওয়া পড়াগুলো কমপ্লিট করে নিলাম (কি রাগি মেয়ে জানেনই তু বলা যায়না যদি পড়া কমপ্লিট না করি তাহলে কাল কি না কি করে)।। তারপর আরও কিছুক্ষণ পড়াশোনা করে উঠে পরলাম।। কিছুক্ষণ মোবাইল টিপানোর পর আম্মু এসে রাতের খাবারের জন্য ডাক দিয়ে গেলেন।। আর দেড়ি না করে মোবাইলটা রেখে নিচে চলে এলাম।। এসে দেখি আম্মু আব্বু দুজনেই খাবার টেবিলে বসে আছেন।। আমিও গিয়ে একটা চেয়ার টেনে ওদের পাশে বসে পরলাম।।
আব্বুঃ পড়াশোনা কেমন চলছে তোমার..?
আমিঃ জি ভালোই চলছে।।
আব্বুঃ মোবাইল আর আড্ডা একটু কমিয়ে ভালো করে পড়াশোনা কর।।
আমিঃ আচ্ছা (মাথা নিচু করে)।।
আব্বুঃ হুম এখন চুপচাপ খাউ।।
আমিঃ আর কিছু না বলে চুপ করে খেতে লাগলাম।।
খাওয়া শেষ হলে আবার নিজের রুমে চলে এলাম।। রুমে এসে আর দেড়ি না করে ঘুমিয়ে পরলাম?।।
সকালবেলা
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম।। তারপর ব্যাগ ঘুছিয়ে বের হয়ে গেলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।। প্রায় ১০ মিনিট হাটার পর ভার্সিটি এসে পৌছলাম।। ভার্সিটি গেট দিয়ে ঢুকতে যাব তখনই কে যেন আমার গালে ঠাসস করে একটা চড় বসিয়ে দিল।।
Loading.......
গল্পটা কেমন হল জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।। আপনাদের উৎসাহ পেলে নেক্সট পার্ট তারাতাড়ি নিয়ে আসব?।।
#সিনিয়র_মিস
#writer_Tamim
#part_2
#collected
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম।। তারপর ব্যাগ ঘুছিয়ে বের হয়ে গেলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।। প্রায় ১০ মিনিট হাটার পর ভার্সিটি এসে পৌছলাম।। ভার্সিটি গেট দিয়ে ঢুকতে যাব তখনই কে যেন আমার গালে ঠাসস করে একটা চড় বসিয়ে দিল।।
চড় খেয়ে সামনে তাকিয়ে তু আমি অবাক কারণ এ আর কেউ না মিম আপু?।। এদিকে মিম আপু আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন যা দেখে আমার হার্টবিট বেড়ে গেল।। উনি এইভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেন আমি কি করেছি?।।
মিমঃ ওইই তোকে গতকাল না সকালে ঘুম থেকে তারাতাড়ি উঠতে বললাম।। তারপরও তুই কীভাবে আমার কথা অমান্য করলি? (কলার চেপে ধরে)।।
আমিঃ আআপু কিকি ককরছেন ছাড়ুন সবাই দেখছে তু? (ভয়ে তোতলাতে তোতলাতে)
মিমঃ দেখুক তবুও ছাড়ব না আগে বল সকালে তারাতাড়ি উঠলি না কেন..? জানিস আমি সকাল থেকে তোর জন্য ওয়েট করে ছিলাম।। কিন্তু তুই আসছিস না দেখে অবশেষে আমি একাই চলে এলাম।।
আমিঃ সরি আসলে ঘুম থেকে উঠতে পারি নি তাই (আমায় থামিয়ে)
মিমঃ কেন পারবি না হুম..? আমি না গতকাল বলে দিলাম তারাতাড়ি উঠতে?।।
আমিঃ গতকাল তু আপনি এটাও বলেছেন যে আমায় আর কখনোই মারবেন না তাহলে আজ মারলেন কেন?..? (কাদো কাদো গলায়)
মিমঃ ওকে এইবারের জন্য মাফ করে দিলাম যা।। নেক্সট টাইম যাতে আর আমার কথার বরখেলাফ না হয়।।
আমিঃ কিছু না বলে চুপ করে থাকলাম।।
মিমঃ এখন ক্লাসে যা আর ভার্সিটি ছুটি হলে গেইটের কাছে দাড়িয়ে আমার জন্য ওয়েট করবি ওকে।।
আমিঃ আচ্ছা বলে সেইখান থেকে সোজা ক্লাসে চলে এলাম।।
এসেই বন্ধুদের পাশে বসে পরলাম তখনই রনি বলে উঠল,,
রনিঃ কিরে মিম আপু আজ তোকে মারল কেন..?
আমিঃ আরে উনার কথা শুনি নাই বলে মারছে?।।
শুভঃ তা কি এমন কথা বলেছিলেন মিম আপু যা তুই শুনলি না..?
আমিঃ এতোকিছু বলতে পারব না আমার ভালো লাগছে না একটু চুপ থাক তু তোরা? (একটু রেগে)।।
আমার কথা শুনে ওরা বুঝে গেছে আমি রেগে আছি তাই সবাই চুপ হয়েগেল।। কিছুক্ষণের মধ্যে ক্লাসে স্যার চলে আসলেন আর ক্লাস করাতে শুরু করলেন।। এইভাবে একটা একটা করে সবকটা ক্লাস শেষ করে ক্লাস থেকে বের হয়ে আসলাম।।
বাহিরে এসে বন্ধুদের নিয়ে ভার্সিটির গেট দিয়ে বের হতে যাব তখনই পিছন থেকে কে যেন আমায় নাম ধরে ডাক দিক।। পিছনে ফিরে তু আমি অবাক, কারণ এতো একটা মেয়ে আর এই মেয়েটাই গতকালের সেই মেয়েটা?।। মানে যার কারণে মিম আপু গতকাল আমায় চড় মেরেছিলেন।। কিন্তু এই মেয়েটা এইখানে কেন আর আমায়ই বা কেন ডাকছে?..?
মেয়েটাঃ কি হল সেই কখন থেকে যে ডাকছি শুনতে পান না..?
আমিঃ না মানে কিসের জন্য ডাকছেন বলুন..?
মেয়েটাঃ সরি কাল আমার জন্য মিম আপুর কাছ থেকে আপনাকে চড় খেতে হল? (মাথা নিচু করে)।।
আমিঃ না ঠিক আছে এইখানে সরি বলার কি আছে।। আর এমনিতেও মিম আপু আমায় সবসময় মারেন।।
মেয়েটাঃ কেন কেন মিম আপু আপনাকে সমসময় মারেন কেন উনি আপনার আত্নীয় কেউ হোন নাকি?..?
আমিঃ এই রে খাইছে এখন একে কি বলি।। না মানে আসলে দোষ করলে মারেন তাই বললাম আর কি।।
মেয়েটাঃ ওহহ আচ্ছা।। বাই দ্যা ওয়েহ আমরা এতক্ষণ ধরে কথা বলছি কিন্তু একে অন্যের নামই জানা হল না।। আমার নাম ইমা আর আপনার..?
আমিঃ জি আমার নাম তামিম।।
ইমাঃ তু আমরা এইভাবে আপনি আপনি করেই কথা বলব নাকি..?
আমিঃ তু কি বলব..?
ইমাঃ যেহেতু দুজন এক ক্লাসে পড়ি তাহলে তুমি করে বলব কেমন..?
আমিঃ কিন্তু
ইমাঃ কোনো কিন্তু নয় যা বলেছি তাই?।।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে বলব।।
ইমাঃ আচ্ছা এখন তাহলে আমি গেলাম কাল দেখা হবে বাই (বলেই চলে গেল)
ইমা চলে যাওয়ার পর আমি যেই না পা বাড়াতে যাব তখনই সামনে তাকিয়ে যাকে দেখলাম তাকে দেখার পর ভয়ে সমস্ত শরীর কেপে উঠল।। কারণ সামনে মিম আপু দাড়িয়ে আছেন আর আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন?।। মনে হচ্ছে এখনই এসে আমায় মেরে ফেলবেন।। তার এমন রুপ দেখে ভয়ে আমার হাত পা কাপতে শুরু করল।।
মিমঃ ঠাসস, ঠাসস লুচ্চা কোথাকার মেয়ে দেখলেই কথা বলতে মন চায় তাইনা..? তোকে গতকাল নিষেধ করার পরও তুই আমার কথা শুনলি না তোর তু দেখছি খুব সাহস বেড়ে গেছে? (আমার কাছে এসেই কথাগুলো বললেন মিম আপু)।।