সাইমা: এভাবে এগিয়ে আসছেন কেন?
রাফি: ডায়েরীটা পড়ব।
সাইমা: এটা আমার পারসনাল ডায়েরি।
রাফি: তাতে কি হয়েছে দাও
এই সুযোগে আমি দিলাম এক দৌড়। ছোট বেলা থেকেই খুব ভালো দৌড়াতে পারতাম। আর এভাবে দৌড়াবো রাফি ভাবতেও পারিনি। এক দৌড়ে রুমের বাইরে এসে পড়েছি। পাশের রুমে যেয়ে পালানোর চেষ্টা করলাম। পাশের রুমে একটা জায়গায় ডায়েরীটা লুকিয়ে ফেলেছি। এবার বাইরে এসে রাফির সামনে দাড়ালাম। ও এখনো আমাকে ধরার জন্য দৌড়াচ্ছে। অবশেষে নিজে ইচ্ছেই ধরা দিলাম।
রাফি: বাবা এত জোড়ে দৌড়াতে পারো আগে জানতাম না।
সাইমা: আমি ছোট থেকেই ভালো দৌড়াতে পারি। একবার স্কুলে খেলায় দৌড়ানোর জন্য ফার্স্ট হয়েছিলাম।
রাফি: তাহলে আমার আমাকে দেখে এভাবে পালালে কেন?
সাইমা: এই রাগ করেন না প্লিজ শোনেন রাসুলুল্লাহ (সা) ও হযরত আয়েশা( র) মাঝে মাঝে দৌড় প্রতিযোগিতা করতেন। কিন্তু আপনাকে বললে তো করবেন না তাই আমি একটু চালাকি
রাফি: ওওও তাই নাকি(রেগে)
সাইমা: আপনি কথায় কথায় এত রাগ করেন কেন? আমার কিন্তু একদম ভালো লাগেনা
রাফি: আচ্ছা ডায়েরীটা দাও
সাইমা: আপনি হেরে গেছেন। যে দিন জিতে যাবেন সেই দিন দিবো। হিহিহি
রাফি : ঠিক আছে।
এই বলে রুমে চলে গেলো। আমার মাথায় আবার একটা দুষ্টু বুদ্ধি এলো। আমিও পড়তে না বসে রুমে গেলাম।
রাফি: আর কিছুদিন পর এক্সম আর তুমি না পড়ে কি করছো এখানে?
সাইমা: পড়তে মন বসে না। চলেন একটু ছাদে যায়।
রাফি: আবার বাইনা প্রতিদিন রাতে ছাদে যাওয়া নিয়ে পাগলামো করো কিসের জন্য আমি তো একদিনও যায় না।
সাইমা: না যেয়ে আপনি একটা সুন্নত কাজ করছেন না।
রাফি: মানে ?
সাইমা: হাদিসে পড়েছিলাম নবীজি সারাদিন ব্যস্ত থাকতেন। ফাঁকে ফাঁকে স্ত্রীদেরকে সময় দিতেন। তবে রাতের বেলায়, চারদিক নীরব হয়ে এলে, তিনি আয়েশা রা-এর সাথে ঘুরতে বের হতেন। হাঁটতে হাঁটতে কথাবার্তা বলতেন (বুখারী)।
তাই আমিও একটু রাতে আপনার সাথে সময় কাটাতে চাই। কিন্তু আপনি কাটান না।
রাফি:
সাইমা: যাবেন কি? শুধু আজকের জন্য। যদি ভালো না লাগে আর কোন দিন জোড় করবো না।
রাফি: চলো
এর আগে ছাদে আর একদিন এসেছিলাম। কিছু সময় পরেই চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আজ অনেক সময় থাকার ইচ্ছে আছে।
চারিদিকে নিরব পরিবেশ। হালকা হালকা বাতাস হচ্ছে। চাঁদের আলোয় আশে পাশের সব কিছুই অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে। আকাশটাও অনেক পরিষ্কার। মাঝে মাঝে কিছু মেঘ দেখা যায়। টবে অনেক গুলো ফুল গাছ লাগানো। এর আগে দেখিনি।
অনেক ফুল ফুটেছে। ভালোই লাগছে দেখতে
রাফি: এই গাছ গুলো অনেক দিন আগে লাগানো। বেশ সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটেছে তাইনা
সাইমা: জ্বি। তা তো ফুটবেই। দেখতে হবে না কার বর লাগিয়েছে। হিহিহি
।
চারিদিকে নিরব পরিবেশ। হালকা হালকা বাতাস হচ্ছে। চাঁদের আলোয় আশে পাশের সব কিছুই অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে। আকাশটাও অনেক পরিষ্কার। মাঝে মাঝে কিছু মেঘ দেখা যায়। টবে অনেক গুলো ফুল গাছ লাগানো। এর আগে দেখিনি।
অনেক ফুল ফুটেছে। ভালোই লাগছে দেখতে
রাফি: এই গাছ গুলো অনেক দিন আগে লাগানো। বেশ সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটেছে তাইনা
সাইমা: জ্বি। তা তো ফুটবেই। দেখতে হবে না কার বর লাগিয়েছে। হিহিহি
রাফি: তুমি অনেক দুষ্টু
সাইমা: হুম আপনার জন্যইহাহাহা
রাফি: ভাবছি আরো কিছু ফুল গাছ কিনে লাগাবো।
সাইমা: অনেক গুলো গোলাপ লাগাবেন। আর যখন গোলাপ ফুল ফুটবে সেই ফুল দিয়ে আমাকে প্রোপজ করবেন।
রাফি: কত্ত শখ দেখো এত কষ্ট করে ফুল গাছ লাগাবো আমি, যন্ত নিবো আমি আর সেই ফুল দিয়ে তোমাকে প্রপোজ করবো। ইহহহ কত্ত শখ
এভাবে অনেক সময় গল্প করলাম। আকাশ ভরা তারার। মিটিমিটি জ্বলছে। অসাধারণ পরিবেশে দুইজন আছি।
_____________________________________________
দিন দিন নিজের প্রতি উদাসীন হয়ে যাচ্ছি। এর জন্য হয়তো মাথা ব্যাথা করে এমন। মাথার চুল গুলোও অনেক বড়। ঠিক মতো শুকায় না। কি করবো বুঝতে পারছিনা। ফজরের নামাজের পর অনেক সময় ধরে
বইতে কিছু একটা খুঁজে চলছি। অনেক সময় পরে কাঙ্খিত সেই বিষয়ের লেখা পেয়ে গেলাম।
অনেক সুন্দর করে লেখা
?মহিলাদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হল : ১ মহিলারা চুল লম্বা রাখবে। হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন রা চুল লম্বা রাখতেন। ২ এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে। ৩ চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরতবশতঃ কামানোরও অনুমতি রয়েছে। অতএব চার আঙ্গুল পরিমাণ কাটা যাবে-এ কথা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়; বরং চুল বেশি বড় থাকলে যেমন কোমর সমান চুল থাকলে চার আঙ্গুলের বেশি পিঠের মাঝামাঝি করে কাটা জায়েয। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল খাটো করতে পারবে। এর জন্য সময়েরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আর কেউ নাজায়েয পরিমাণ কেটে ফেললে বা বিজাতীয় অনুকরণে চুল কেটে করে ফেললে তাওবা ইস্তিগফার করতে হবে। [সহীহ বুখারী ২/৮৭৪; জামে তিরমিযী
আবার আর এক পেজে লেখা
?নারীদের চুলে বেণি বা ঝুঁটি গেঁথে মাথা বাঁধা উত্তম। চুল বেশি বা লম্বার আন্দাজ যেন পরপুরুষ না করতে পারে, সেদিকে লক্ষ রাখা নারীর কর্তব্য। কারণ নারীর সুকেশ এক সৌন্দর্য, যা পরপুরুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘শেষ জমানার আমার উম্মতের মধ্যে কিছু এমন লোক হবে, যাদের নারীরা হবে অর্ধনগ্ন। তাদের মাথা কৃশ (খোঁপা) উটের কুঁজের মতো হবে। তোমরা তাদের অভিশাপ করো, কারণ তারা অভিশপ্ত।’
চুল বেশি দেখানোর উদ্দেশ্যে কৃত্রিম চুল বা পরচুলা ব্যবহার করা হারাম। স্বামী চাইলেও তা মাথায় লাগানো যাবে না। হজরত ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা) অভিসম্পাত করেছেন ওই সব নারীর ওপর, যারা পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে পরচুলা লাগাতে বলে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৩৭)
খেজাবের বিধান সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নারীরা কালো খেজাব ছাড়া অন্যান্য খেজাব দিয়ে চুল রাঙাতে পারে। ফ্যাশনের জন্য চুল ছোট ছোট করে কাটা বৈধ নয়। তবে চুলের অগ্রভাগ এলোমেলো হলে সামান্য কাটতে পারে। কিন্তু না কাটাই উত্তম। কেননা বেশি চুল নারীর সৌন্দর্য।
ভ্রু প্লাক ও নকশা আঁকা স্বামী চাইলেও কপালের পশম চাঁছা ও ভ্রু প্লাক করা জায়েজ নেই। কেননা এর দ্বারা আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন করা হয়, যার অনুমতি ইসলামে নেই। এভাবে মুখে বা হাতে সুই ফুটিয়ে নকশা আঁকা বা ট্যাটু করা বৈধ নয়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, ‘আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক ওই নারীদের ওপর, যারা দেহাঙ্গে উল্কি উত্কীর্ণ করে এবং যারা করায়, যারা ভ্রু চেঁছে সরু (প্লাক) করে ও যারা সৌন্দর্য বৃদ্ধির মানসে দাঁতের মধ্যে ফাঁক সৃষ্টি করে এবং যারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৮৮৬)
#পর্ব-১০
মনে হচ্ছে দরজায় কেউ দাঁড়িয়ে আছে। পিছনে ফিরতেই সেই একই ঘটনার মুখে পড়লাম। রাফি দাঁড়িয়ে আছে। আমার হতে ডায়েরী। কিন্তু এবার দরজার মুখে
রাফি: তুমি অনেক দুষ্টু