অসমাপ্ত ভালোবাসা

Comments · 3 Views

নীরার কথা শোনার সাথে সাথেই নিলয় নীরার চুলের মধ্যে হাত দিয়ে চুল মুঠো করে ধরে নীরার ঠোটেগলায় পাগলের মতো কামড়াতে

নীরা: আমি যেতে পারবো না

 

নিলয় নীরার দিকে রাগি চোখে তাকালো

 

নীরা:; যাচ্ছিতো চলেন...

 

নিলয় নীরাকে ঘরে এনেই বসিয়ে দিলো

 

নীরা: আরে আরে কি করছেন আপনি আপনি এই কাজ টা করতে পারেন না

 

নিলয়: মাই ডিয়ার নীর পাখি আমি সব করতে পারি

 

পর্ব : ৭

 

নীরা: আরে আরে কি করছেন আপনি আপনি এই কাজ টা করতে পারেন না

 

নিলয়: মাই ডিয়ার নীর পাখি আমি সব করতে পারি

 

নীরা: কাজ টা কিন্তুু ভালে করছেন না আমি কিন্তুু চিৎকার করবো

 

নিলয়: নীর পাখি তোমার এই মাথায় যে কি ঘুরপাক খায় আমি বুঝি না ভাবছো??

 

নীরা: কি বুঝছেন আপনি???

 

নিলয় : এই যে আমায় ট্রাপে ফেলে বাসায় থেকে বের করে তুমি পালাবে এখান থেকে তাই এ ব্যবস্থা

 

নীরা: তাই বলে আপনি আমার পায়ে শিকল পড়িয়ে রাখবেন আমি পালাবো না সত্তিআমাকে বিশ্বাস করেনসত্তি বলছি

 

নিলয়: জানি তো তুমি পালাবে না নীরু আমি তোমাকে অনেক বিশ্বাস করি জানো তাইতো তোমার পায়ে শিকল পরিয়ে দিলাম

 

নীরা: আপনি খুব বাজে একটা লোক এ্যা

 

নিলয়: নো ড্রামা ওকে তুমি যে ড্রামা করার মেয়ে না আমি খুব ভালো করেই জানি আে শোনো এ বাড়ির চারদিকে সিসি ক্যামেরা ফিট করা আছে আর তার লাইভ আমি আমার এই ট্যাবে দেখতে পাবো সো পালানোর চেষ্টাও করোনা so don't be smart undastand???

 

.

 

নীরা: পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে লোক আপনি আমি আপনাকে খুন করবো

 

নিলয়: তোমার হাতে খুন আমি সেদিনই হয়েছি যেদিন তোমায় আমি প্রথম দেখেছি সো আমার জন্য একদম চিন্তা করো না আমি জলদি ফিরে আসবো নিজের খেয়াল রেখো জান ( নীরার কপাল এ চুমু দিয়ে যেতে শুরু করলো)

 

নীরা: জান মাই ফুটবাসায় এসে দেখবেন আমি নেই পালাতে না পারলেও কিছু একটা করবই

 

নীরার কথা শুনে নিলয় অচিরেই নীরাকে বিছানার সাথে ধরে নিজের ঠোঁটে নীরার ঠোঁটে চেপে ধরে টানা দশ মিনিট নিয়ে কিস করে নীরা এই অনুভুতি আগেও পেয়েছে নীরা আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলে নিলয় নীরার ঠোট ছেরে নীরার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে নীরা চোখ বন্ধ করে আছে কিন্তুু চোখ দিয়ে পানি পরছেনিলয় নীরার চোখে চুমু খেয়ে বললো

 

নিলয়: নীর পাখি এখান থেকে পালানো তো দুরের কথা কিছু করার চিন্তা মাথাতেও আনবা না কারন এখন তোমার ওপর তোমারই আর কোনো অধিকার নাইতোমার ওপর অধিকার টা আমার তুমি জান আমার। আর আমার জান টার যেনো কোনো ক্ষতি না হয় সেটা তুমি খেয়াল রাখবে একটা আঁচর ও যেনো না পরে তা না হলে আমি যে কি করবো তুমি চিন্তাও করতে পারবে না বালিসের নিচে ফোন আছে আমার টাকায় কেনা বাবার টাকায় না ওন করে নাও আমি ফোন দিবো বোরিং লাগলে টিভি দেখো আর কিছু লাগলে তিশাকে ডেকো এর বিপরীত কিছু হলে কপালে দুঃখ আছে বলে দিলাম

 

নিলয় অফিসে চলে গেলো নীরা চুপটি করে বিছানায় বসে পরলো

 

নীরা: তোর সাহস কি করে হয় আমার সাথে এমন করারআমাকে কি তোর মানুষ বলে মনে হয়না নাকি তোর কি ধারনা আমি তোকে ভয় পাইবেয়াদব ছেলে যখন তখন আমায় কিস করা এভাবে শিকল পায়ে পরাতে পারলি খচ্চর পোলা আটকে রাখবি রাখতোর জীবনটা আমি তেজপাতা করে না দিছি তো আমার নাম নীরু না এ what নীরু নীরা আমার নাম নীরা নীরা না আল্লাহ্ দুনিয়াতে এত ছেলে থাকতে তুমি আমার কপালে এই গুন্ডাকে গুছিয়ে দিলে আমার বোঝা শেষ তুই রাক্ষস সত্তি কনোদিনও আমায় ছারবি না আল্লাহ্ পথ দেখাও কি করলে আমি এই রাক্ষস টার কাছ থেকে মুক্তি পাবো ফোন এর কথা বললোনা কই ফোনটেনশনে পরছিলাম আমি?

 

নীরা: আমি তো

 

নিলয় : চুপ্ একদম চুপ্ কোন সাহসে তুমি আমার কথা অমান্য করো? u ideat girl

 

জানো আমি কিভাবে বাসায় আসছি??? ভাবছি যে

 

নীরা: বাসা থেকে পালিয়েছি??

 

নিলয়; সে চিন্তা মাথাতেও এনো না যদি সত্তি এমন কিছু করো তো মনে রেখো তোমার মাবাবা সেই কাজ এর শাস্তি পাবে

 

নীরা: কি বলছেন কি আপনি হ্যা যেদিন যাবো আপনার সামনে দিয়েই যাবো চোরের মতো পালাবো না বরং আপনি নিজেই আমায় এ বাসা থেকে বিদায় দিবেন চ্যালেন্জ

 

নিলয়: চ্যালেন্জ??? চ্যালেন্জ দেখাও আমারে ( বলেই রুমের সব জিনিসপত্র ভাঙতে শুরু করলো)

 

নীরা: কি করছেন টা কি? থামুন ( নীরা বিছানা থেকে নেমে এসে)

 

নিলয়: একদম কাছে আসবি না তোর ওপরের রাগ টা এগুলোর ওপর তুলছি হাতের কাছে আসলে কিন্তুু

 

নিরা নিলয়ের কথা শুনেই দুধাপ পিছিয়ে গেলো কারন নিলয় যে রেগে আছে ওকেও ভেঙে ফেলতে পারে

 

নীরা: সবই যখন ভাঙলেন এটা বাকি থাকবে কেন???( ফুলটব এগিয়ে দিয়ে)

 

নিলয় নীরার হাত থেকে নিলয় ফুলদানি টা নিয়ে ফ্লোরে আছার দিয়ে হনহন করে বাথরুমে চলে গেলো

 

তিশা: মামুনি আমার জন্যই আজ ভাবির ওপর দিয়ে এই সুনামি টা চলে যাচ্ছে না জানি ভিতরে কি হচ্ছে

 

নিলয়ের মা: কাজ টা তুই মোটেই ভালো করিস নিছেলেটার যা রাগ মেয়েটার কোনো ক্ষতি যেনো না করে ফেলে

 

তিশা: না মা ভাইয়া এমন কিছু করবে নাকারন ভাইয়া ভাবিকে অনেক ভালোবাসে

 

এদিকে নীরা আস্তে আস্তে ফ্লোর পরিস্কার করতে থাকেএর মধ্যে নিলয় বাথরুম থেকে বের হয়ে নীরাকে ফ্লোর পরিস্কার করতে দেখে আবার রেগে যায় হেচকা টান দেয় নীরাকে নীরা টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে নিলে নিলয় নীরাকে ধরে নেয় আর নীরা ভয় পেয়ে নিলয়কে শক্ত করে জরিয়ে ধরেনিলয় নীরার থেকে ঝট করে নিজেকে ছারিয়ে নিয়ে নীরাকে বিছানার ওপর ধপ করে বসিয়ে দেয়

 

নিলয়; সাহস কি করে হয় তুমি কাচ পরিস্কার করতেছো??? যদি হাত কেটে যায় তখন কি হবে হ্যা

 

নীরা : আমি তো রুম পরিস্কার

 

নিলয়: তোমাকে বলছি আমি ফ্লোর পরিস্কার করো? যেটা বলি সেটা তো করো না আর সব কাজে ওস্তাদি করতে কে বলছে???

 

নীরা কাছ থেকে নিলয়কে দেখছে নিলয়ের চোখে শুধু ওকে হারাবার ভয় নীরা লক্ষ করলো নিলয়ের ঠোটে রক্ত জমাট হয়ে আছেতখন নীরা নিলয়ের ঠোটে কামড় দিছিলো তাই এমন হইছে না চাইতেও নীরার হাত নীলয়ের ঠোটে চলে যায়

 

তিশা: ভাইয়া ভাইয়া দরজাটা খোল প্লিজ ভাইয়া ভাবি কে মারিস না

 

নিলয় গিয়ে দরজা খুলে দিলো তিশা রুমে ঢুকেই আগে নীরাকে দেখলো তারপর পুরা রুম দেখেই

 

তিশা: ভাইয়া কি করছিস তুই এগুলো( বলেই নিলয়ের দিকে তাকালো নিলয়কে ওই লুক এ দেখে আর কিছু বলার সাহস পেলো না) ফরিদা ফরিদা(কাজের মেয়ে)

 

ফরিদা: জ্বি আপা

 

তিশা: রুম পরিস্কার করে দাও ভাইয়া ভাবি চলো খেয়ে নিবে

 

নীরা: আমি এখন খাবো না তোমরা খেয়ে নাও

 

নিলয় : যা আসতেছি

 

তিশা চলে গেলো নিলয় নীরাকে বললো চলো খেয়ে নিবে

 

নীরা: কি বললাম শুনেন নাই

 

নিলয়: তুমি কি চাচ্ছ আমি আবার কিছু করি???

 

নীরা: না

 

নিলয় :: চলো

 

নিলয় আর নীরা খেতে গেলো

 

নীরা: আন্টি আমি বেশি কিছু খাবো না শুধু একটু খানি

 

নিলয় : ভাত খাবে নাকি ২ টো থাপ্পর খাবে?? কি খাবে জলদি বলো

 

নীরা আর কোনো কথা না বলে খাওয়া শুরু করলো খাচ্ছে আর নিলয় এর চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করছে

 

নিলয়ের মা: তোমাদের বাবা আজ আসবেন না জরুরি কাজ এ চিটাগাং যেতে হচ্ছে উনার শরীর টাও বেশ কিছুদিন ভালো যাচ্ছে না বারণ করলাম কিন্তুু আমার কথা শুনলো না

 

তিশা: মামুনি বাবাই কে বোঝাও এভাবে চললে তো খুব জলদি কিছু একটা

 

নিলয়: এতো কথা বলিস কেনো তুই যত ফালতু কথা চুপচাপ খা

 

বলেই নিলয় খাবার ছেড়েই উঠে পরলো আর বাড়ির বাহিরে চলে গেলো

 

নীরা: দেখলেন না খেয়েই চলে গেলো

 

নিলয়ের মা: ও যায় নি

 

নীরা: আপনি জানলেন কেমনে ও তো বেরিয়ে গেলো

 

তিশা: ভাবি ও আম্মুর কবরে গেছে

 

নীরা কিছু না বলে ও হাত ধুয়ে বাড়ির পিছনে চলে গেলো গিয়ে দেখে নিলয় সত্তি ওর মা এর কবরের পাশে বসে কাদছে নিলয় নীরাকে দেখেই উঠে হনহন করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে নীরা দাঁড়িয়ে থেকে নিলয়ের মা এর কবরের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে

 

এই ছেলেটা এমন কেনো নিজের কষ্টের কথা করো সাথে শেয়ার করতে চায় না নিজের মধ্যে কষ্ট চেপে রাখতে কে বলছে উনারে সব থাকতেও কেনো এতিমের মতে থাকেনাহ্ ভয় পেলে চলবে না উনাকে উনার সব কিছু ফিরিয়ে নিতেই হবে তার চেষ্টাই করতে হবে সারাটা বিকেল নীরা তিশা আর মা এর সাথে গল্প করে কাটালো বাহ্ এত্ত দামি ফোন

 

নীরার ওর মা এর কথা মনে পরে 

Comments
Read more