বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমুহ

Comments · 3 Views

বিবাহের কতিপয় সুন্নত সমূহঃ
১) মাসনূন বিবাহ সাদা সিধে ও অনাড়ম্বর হবে, যা অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় ??

বিবাহের কতিপয় সুন্নত সমূহঃ 

১) মাসনূন বিবাহ সাদা সিধে ও অনাড়ম্বর হবে, যা অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি মুক্ত হবে এবং তাতে যৌতুকের শর্ত বা সামর্থের অধিক মহরানার শর্ত থাকবেনা ।( তাবারানী আউসাত, হাদিস নং- ) 

 

২) সৎ ও খোদাভীরু পাত্র- পাত্রীর সন্ধান করে বিবাহের পূর্বে পয়গাম পাঠানো । কোন বাহানা বা সুযোগে পাত্রী দেখা সম্ভব হলে, দেখে নেয়া মুস্তাহাব । কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটা করে পাত্রী দেখানোর যে প্রথা আমাদের সমাজে প্রচলিত তা সুন্নতের পরিপন্থী ও পরিত্যাজ্য । বুখারী হাদিস নং- ৫০৯০, ইমদাদুল ফাতাওয়া- ৪ ২০০) 

 

 ৩) শাউয়াল মাসে এবং জুমুয়ার দিনে মসজিদে বিবাহ সম্পাদন করা । উল্লেখ্য, সকল মাসের যে কোন দিন বিবাহ করা যায়িজ আছে ।( মুসলিম ১৪২৩/ বায়হাকী ১৪৬৯৯) 

 

৪) বিবাহের খবর ব্যাপকভাবে প্রচার করে বিবাহ করা এবং বিবাহের পরে আকদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকদের মাঝে খেজুর বন্টন করা । বুখারী/ ৫১৪৭) 

 

৫) সামর্থানুযায়ী মোহর ধার্য করা ।( আবু দাউদ/ ২১০৬) 

 

৬) বাসর রাতে স্ত্রীর কপালের উপরের চুল হাতে নিয়ে এই দোয়া পড়াঃ “ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা খয়রাহা ওয়া খয়রা মা জাবালতুহা আলাইহি ওয়াওযুবিকা মিন শার্রিহা মিন শার্রিমা জাবালতাহা আলাইহি ”( আবু দাউদ/ ২১৬০) 

 

৭) স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি করবে, তার পর যখনই সহবাস এর ইচ্ছা হয়, তখন প্রথমে নিম্নোক্ত দু’আ পড়ে নিবেঃ “ বিসমিল্লাহ্ । আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা । ”( মুসলিম/ ১৪৩৪) উপরোক্ত দোয়া না পড়লে শয়তানের তাছীরে বাচ্চার উপর কু- প্রভাব পড়ে । অতঃপর সন্তান বড় হলে, তার মধ্যে ধীরে ধীরে তা প্রকাশ পেতে থাকে এবং বাচ্চা নাফরমান ও অবাধ্য হয় । সুতরাং পিতা মাতাকে খুবই শতর্ক থাকা জরুরী) 

 

৮) বাসর রাতের পর স্বীয় আত্মীয় স্বজন, বন্ধু- বান্ধব, শুভাকাংখী এবং গরীব মিসকীনদের তাউফীক অনুযায়ী ওলীমা খাওয়ানোর আয়োজন করা( মুসলিম/ ১৪২৭) 

 

৯) কোন পক্ষ যেওরের শর্ত করা নিষেধ এবং ছেলের পক্ষ থেকে যৌতুক চাওয়া হারাম( আহসানুল ফাতাওয়া৫/১৩) 

 

১০) কনের ইযন এর জন্য স্বাক্ষীর কোন প্রয়োজন নাই । সুতরাং ছেলের পক্ষের লোক ইযন শুনতে যাওয়া অনর্থক এবং বেপর্দা । সুতরাং তা নিষেধ । মেয়ের কোন মাহরুম বিবাহের এবং উকীল হওয়ার অনুমতি নিবে ।( মুসলিম/ ১৪২১) 

 

১১) শর্ত আরোপ করে বর যাত্রীর নামে বরের সাথে অধিক সংখ্যাক লোকজন নিয়ে যাওয়া এবং কনের বাড়ীতে মেহমান হয়ে কনের পিতার উপর বোঝা সৃষ্টি করা আজকের সমাজের একটি জঘন্য কু- প্রথা, যা সম্পূর্ন রুপে পরিত্যাগ করা আবশ্যক ।( মুসনাদে আহমাদ/ ২০৭২২, বুখারী/ ২৬৯৭) 

 

১২) ওলীমায় অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা খুব উচু মানের খানার ব্যবস্থা করা জরুরী নয় । বরং সামর্থানুযায়ী খরচ করাই সুন্নত আদায়ের জন্য যথেষ্ট । যে ওলীমায় শুধু ধনী ও দুনিয়াদার লোকদের দাওয়াত দেওয়া হয়, দ্বীনদার ও গরীব গরীব- মিসকিনদের দাওয়াত দেওয়া হয়না, সে ওলীমাকে হাদিসে নিকৃষ্টতম ওলীমা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে । সুতরাং এ ধরনের ওলীমা আয়োজন থেকে বিরত থাকা উচিত( আবু দাউদ/ ৩৭৫৪) আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুন্নত মোতাবেক বিবাহ করার তৌফিক দান করুন । আমীন            আমি আবারও বলছি।   

বিবাহের কতিপয় সুন্নত সমূহঃ 

১) মাসনূন বিবাহ সাদা সিধে ও অনাড়ম্বর হবে, যা অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি মুক্ত হবে এবং তাতে যৌতুকের শর্ত বা সামর্থের অধিক মহরানার শর্ত থাকবেনা ।( তাবারানী আউসাত, হাদিস নং- ) 

 

২) সৎ ও খোদাভীরু পাত্র- পাত্রীর সন্ধান করে বিবাহের পূর্বে পয়গাম পাঠানো । কোন বাহানা বা সুযোগে পাত্রী দেখা সম্ভব হলে, দেখে নেয়া মুস্তাহাব । কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটা করে পাত্রী দেখানোর যে প্রথা আমাদের সমাজে প্রচলিত তা সুন্নতের পরিপন্থী ও পরিত্যাজ্য । বুখারী হাদিস নং- ৫০৯০, ইমদাদুল ফাতাওয়া- ৪ ২০০) 

 

 ৩) শাউয়াল মাসে এবং জুমুয়ার দিনে মসজিদে বিবাহ সম্পাদন করা । উল্লেখ্য, সকল মাসের যে কোন দিন বিবাহ করা যায়িজ আছে ।( মুসলিম ১৪২৩/ বায়হাকী ১৪৬৯৯) 

 

৪) বিবাহের খবর ব্যাপকভাবে প্রচার করে বিবাহ করা এবং বিবাহের পরে আকদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকদের মাঝে খেজুর বন্টন করা । বুখারী/ ৫১৪৭) 

 

৫) সামর্থানুযায়ী মোহর ধার্য করা ।( আবু দাউদ/ ২১০৬) 

 

৬) বাসর রাতে স্ত্রীর কপালের উপরের চুল হাতে নিয়ে এই দোয়া পড়াঃ “ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা খয়রাহা ওয়া খয়রা মা জাবালতুহা আলাইহি ওয়াওযুবিকা মিন শার্রিহা মিন শার্রিমা জাবালতাহা আলাইহি ”( আবু দাউদ/ ২১৬০) 

 

৭) স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি করবে, তার পর যখনই সহবাস এর ইচ্ছা হয়, তখন প্রথমে নিম্নোক্ত দু’আ পড়ে নিবেঃ “ বিসমিল্লাহ্ । আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা । ”( মুসলিম/ ১৪৩৪) উপরোক্ত দোয়া না পড়লে শয়তানের তাছীরে বাচ্চার উপর কু- প্রভাব পড়ে । অতঃপর সন্তান বড় হলে, তার মধ্যে ধীরে ধীরে তা প্রকাশ পেতে থাকে এবং বাচ্চা নাফরমান ও অবাধ্য হয় । সুতরাং পিতা মাতাকে খুবই শতর্ক থাকা জরুরী) 

 

৮) বাসর রাতের পর স্বীয় আত্মীয় স্বজন, বন্ধু- বান্ধব, শুভাকাংখী এবং গরীব মিসকীনদের তাউফীক অনুযায়ী ওলীমা খাওয়ানোর আয়োজন করা( মুসলিম/ ১৪২৭) 

 

৯) কোন পক্ষ যেওরের শর্ত করা নিষেধ এবং ছেলের পক্ষ থেকে যৌতুক চাওয়া হারাম( আহসানুল ফাতাওয়া৫/১৩) 

 

১০) কনের ইযন এর জন্য স্বাক্ষীর কোন প্রয়োজন নাই । সুতরাং ছেলের পক্ষের লোক ইযন শুনতে যাওয়া অনর্থক এবং বেপর্দা । সুতরাং তা নিষেধ । মেয়ের কোন মাহরুম বিবাহের এবং উকীল হওয়ার অনুমতি নিবে ।( মুসলিম/ ১৪২১) 

 

১১) শর্ত আরোপ করে বর যাত্রীর নামে বরের সাথে অধিক সংখ্যাক লোকজন নিয়ে যাওয়া এবং কনের বাড়ীতে মেহমান হয়ে কনের পিতার উপর বোঝা সৃষ্টি করা আজকের সমাজের একটি জঘন্য কু- প্রথা, যা সম্পূর্ন রুপে পরিত্যাগ করা আবশ্যক ।( মুসনাদে আহমাদ/ ২০৭২২, বুখারী/ ২৬৯৭) 

 

১২) ওলীমায় অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা খুব উচু মানের খানার ব্যবস্থা করা জরুরী নয় । বরং সামর্থানুযায়ী খরচ করাই সুন্নত আদায়ের জন্য যথেষ্ট । যে ওলীমায় শুধু ধনী ও দুনিয়াদার লোকদের দাওয়াত দেওয়া হয়, দ্বীনদার ও গরীব গরীব- মিসকিনদের দাওয়াত দেওয়া হয়না, সে ওলীমাকে হাদিসে নিকৃষ্টতম ওলীমা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে । সুতরাং এ ধরনের ওলীমা আয়োজন থেকে বিরত থাকা উচিত( আবু দাউদ/ ৩৭৫৪) আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুন্নত মোতাবেক বিবাহ করার তৌফিক দান করুন । আমীন 

Comments
Read more