ঠাসসসস ঠাসসসস এত অপমানের পরও তুই আসছিস আমাকে প্রপোজ করতে । আসলেতো তোর বাবা মায়েরই ঠিক নেই না হলে এতো অপমানের পরও আমার সামনে আসিস (মাওয়া)
ঠাসসসস করে ৪ টা দিলাম, তুই আমাকে বলস ভালো কথা শেষ পযন্ত তুই আমার বাবা মাকে নিয়ে কথা বললি। ।যা আজকে থেকে আর তোকে বিরক্ত করবো না তুই থাক তোর মতো (আমি)
এই বলে চলে আসলাম বাসায় আর বাসার এসে কাউকে কোন কিছু না বলে রুমে এসে পুরোনো দিনের কথা ভাবতে লাগলাম
২ বছর আগের ফ্লাশব্যাক...
এই আতিক ওঠ (মা)
মা আরেকটু ঘুমাই এতো সকালে ডাকতেছো কেন (আমি)
কি এখন এতো সকাল ১১ বাজে আজকে না তোর HSC এর রেজাল্ট দিবে তাড়াতাড়ি ওঠ (মা)
কি আগে উঠাবা না আমাকে আসলে কালকে রেজাল্টের টেনসন করতে করতে দেরিতে ঘুমিয়ে ছিলাম তো তাই এতক্ষন ঘুমিয়েছি (আমি)
আমি বুঝেছি তো তাইতো তোকে এতোক্ষন ডাকি নাই আচ্ছা এখন তারাতারি ফ্রেশ হয়ে আয় (মা)
ওকে মা (আমি)
তারপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজের জন্য বের হলাম।যেতে পরিচয়টা দিয়ে নিই আমি কাব্য আহসান আতিক ।আমার বাবা একজন বড় বিজনেসম্যান। আমি বাবা মায়ের তিনমাত্র সন্তান।বড় দুভাই আছে।বড় জন বিবাহিত। আর বাবা মাকে নিয়েই আমার পরিবার। আমি এবার HSC দিছি। আর আজকেই রেজাল্ট দিবে। পরিচয় দিতে দিতে কলেজে চলে আসলাম। কলেজে আমার বন্ধুরা ( সিয়াম, সাকিব, হাবিব, দূজয়) একসাথে বসলাম।সবার মুখে চিন্তার ছাপ রেজাল্ট নিয়ে।
দোস্ত রেজাল্ট ভালো হবে তো (দূজয়)
ইনাশাআল্লাহ ভালো হবে (সিয়াম)
তাই যেন হয় ভাই (হাবিব)
এই আযান দিতেছে (সাকিব)
হুম চল নামায পড়ে আসি।রেজাল্ট তো দিবে ২ টায় (আমি)
হুম চল (সবাই)
তারপর সবাই মসজিদে গিয়ে নামাজ পরে কলেজে গেলাম রেজাল্ট আনতে । রেজাল্ট শুনে তো আমি খুশিতে লাফ দিলাম কারন আমি golden A+ পেয়েছি। আমার বন্ধুরাও সবাই ভালো রেজাল্ট করেছে। আর আমি বাবা মাকে ফোন করে সব জানিয়ে দিলাম।তারাও অনেক খুশি।তারপর আমি বাসায় চলে আসলাম। আমি বাসায় যেতেই বাবা মা আমাকে মিষ্টি খাইয়ে দিলো।আর আমি পা ছুয়ে ছালাম করলাম।তারপর বাবা বলল, অনেক বড় হ বাবা।
তোমাদের দোয়া থাকলে আমি অনেক বড় কিছূ করতে পারব (আমি)
আমাদের দোয়া সব সময় তোর সাথে থাকবে (মা)
হুম আমাদের দোয়া ও তোর সাথে আছে কিন্তূ (বড় ভাই-ভাবি একসাথে)
হুম ভাইয়া ভাবি আমি জানিতো ( দুজনের পায়ে সালাম করে আমি)
তারপর...
চলবে..
পর্বঃ ০১
#অহংকারী_চাচাতো_বোন#অহংকারী_চাচাতো_বোন?♀️
#আতিক_আহসান_লিমন
পর্বঃ ০২
______অনুমতি ছাড়া কপি নিষেধ_____
হুম আমাদের দোয়া ও তোর সাথে আছে কিন্তূ (বড় ভাই-ভাবি একসাথে)
হুম ভাইয়া ভাবি আমি জানিতো ( দুজনের পায়ে সালাম করে আমি)
আমার পক্ষ থেকে একটা সামান্য গিফ্ট তোর রেজাল্টের জন্য ( হাতে একটা চাবি দিয়ে ভাবি। আর ভাবি আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করে তাই তুই করেই বলে)
এটা কিসের চাবি (আমি)
এটা একটা বাইকের চাবি। তোর ভাইয়ের আমাকে দেওয়া জমানো টাকা দিয়ে এটা কিনেছি (ভাবি)
এটার কি দরকার ছিলো ভাবি আপনার ভালোবাসাই তো আমার কাছে সব (আমি)
তা আমি জানিরে ভাই তবুও আমার ভাই এতো ভালো রেজাল্ট করবে আমি কিছু দিব না তা তো হয়না আর এটা আমি একা কিনিনি তোর ভাই ও টাকা দিছে (ভাবি,আমার মাথায় হাত বুলিয়ে)
আরে আরে আমার ভাই কোথায় (মেঝ ভাই, ঘরের মধ্যে ঢুকতে ঢুকতে)
আরে তোমার আসতে এতো দেরি হলো কেন (পায়ে সালাম করে আমি)
আর বলিস না আমার সব বন্ধুদের ট্রিট দিয়ে আসতে হয়েছে তোর রেজাল্টের জন্য (মেঝ ভাইয়া)
ওহ আচ্ছা (আমি)
তা এখন বল তুই আমার কাছে কি চাস (মেঝ ভাইয়া)
আরে আমার কিছু লাগবে না (আমি)
না না তা বললে তো হবে না তোর কিছু নিতেই হবে বল কি চাই (মেঝ)
যা চাইবো তা দিবে তো (আমি)
আমি বলছি তো দিব তোর যা চাই বল (মেঝ)
ওকে আমার আর একটা ভাবি চাই (আমি)
মা দেখো ও কি বলে (মেঝ)
ও তো ঠিকই বলছে এখন বিয়েটা কর বাবা (মা)
ভাইয়া এটা কিন্তু ঠিক না তুমি বলছো আমি যা চাইবো তুমি তাই দেবে (আমি)
ওকে মা যাও আমি বিয়ে করবো (মেঝ ভাইয়া,বলেই রুমে চলে গেলো)
ওকে ঠিক আছে তাহলে এখন বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে দেখছি (বড়)
হুম তাই করো (বাবা)
তারপর বিয়ের ব্যবস্থা করা হলো ১৫ দিন পর।বিয়ের অনুষ্ঠানের সবকিছুর ব্যবস্থা করতেছে বড় ভাই ও আব্বু । আমিও মাঝে করে সাহায্য করি।তবে বিয়ের ৭ দিন বাবা এসে বলল, বাবা আমরা সবাই তো এখন ব্যস্ত আছি।তুই একটু তোর চাচা চাচিকে নিয়ে আয় বাস স্টেশন থেকে
ওকে বাবা (আমি)
আচ্ছা তাহলে তাড়াতাড়ি যা তারা কাছাকাছি এসে পড়েছে (বাবা)
হুম যাচ্ছি (আমি)
তারপর আমি গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম বাস স্টেশনে। গিয়ে বাস এখনো আসে নাই।তাই কতক্ষন বসে অপেক্ষা করে একটা দোকানে গিয়ে একটা স্প্রিট কিনে খেয়ে বোতলটাকে দিলাম পা দিয়া একটা লাথি।বোতল টা গিয়ে পরলো একটা মেয়ের গায়ে।মেয়েটির তাকিয়ে তো আমি অবাক। কারণ মেয়েটা মানুষ নাকি সবুজ ড্রেস পড়া এক পরি, টানা টানা চোখ তার ঊপর কাজল,সবুজ রঙের একটা হিজাব।আমিতো ক্রাস খেলাম তাই মেয়েটার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে আছি।কিছুক্ষন পর মেয়েটি আমার সামনে এসে ঠাসসসসস আমাকে একটা দিয়ে দিলো তারপর বলতে শুরু করলো, তুই আমার গায়ে বোতল মারলি কেন?
সরি আসলে আমি আপনাকে দেখতে পাই নাই (আমি)
চুপ তোর মতো বখাটে ছেলেদের কাজই তো এইসব (মেয়েটি)
আরে আপনি ভুল ভাবছেন (আমি)
আমি এখন একজনকে খুজতে এসেছি নাহলে তোর খবর ছিলো যত্তসব ফালতূ পোলা (মেয়েটি এইবলেই হাটতে লাগলো)
আরে আরে (আমি)(কিছু না শুনেই চলে গেলো)
কি আজব মেয়েরে বাবা, দেখতে সুন্দর কিন্তু রাগী আর অহংকারি (আমি বলতে বলতে বাস কাউন্টারের দিকে যেতে লাগলাম)
গিয়ে দেখি কাকা কাকি দাড়িয়ে আছে ।আমি গিয়ে তাদের পায়ে সালাম করলাম।তার দুজনেই বলল,বেঁচে থাক বাবা আমাদের দোয়া সব সময় তোর সাথে থাকবে।
হুম চাচ্চু (আমি)
মাওয়া তোকে খুজতে গেছে ও তো এখনো আসছেনা (কাকি)
এই মাওয়া আবার কে? (আমি)
কে আবার আমাদের মেয়ে (কাকা)
ঐতো মেয়েটা এসে গেছে (কাকি)
কোথায় (আমি)
পিছনে ঘুরে তাকিয়ে তো আমি অবাক........
Waiting for next part.....
॥#অহংকারি_চাচাতো_বোন
#আতিক_আহসান_লিমন
পর্ব ০৩
/
/
!
পিছনে ঘুরে তো আমি অবাক কারণ মেয়েটি হলো একটু আগে যে মেয়েটার সাথে কথা কাটাকাটি হলে সে। তাহলে কি আমার ক্রাসই হলো আমার চাচাতো বোন মাওয়া। যাক ভালোই হলো (মনে মনে এসব ভাবছি) তখনই মাওয়া বললো , ঐ তুই এখানে কেন বখাটে ছেলে কোথাকার এখন আবার আমার পিছু নিয়েছিস
আরে আপনি (আমি)
কি যাতা বলছিস তুই কি চিনোস ওকে ( আমাকে থামিয়ে দিয়ে কাকি)
হুম একটু আগে ও আমার সাথে ঝগড়া করেছে (মাওয়া)
যাক বাবা ঝগড়া করলো সে দোষ দিলো আমার (মনে মনে আমি)
কি বলছিস এসব ও এরকম করতে পারে না তোর মনে হয় ভুল হচ্ছে (কাকা)
কি আমি বলছি তোমাদের তাও বিশ্বাস হয় না ও কে যে ওর জন্য তোমরা আমাকে বিশ্বাশ করছো না (মাওয়া)
কারণ ও হচ্ছে তোর চাচাতো ভাই আতিক (কাকা)
আচ্ছা বাবা তুই বলতো কি হয়েছিলো একটু আগে (আমাকে ঈশারা করে কাকি)
আসলে কাকি তারপর কাকিকে সব খুলে বললাম
দেখছিস বলছি না কিছু mistake হয়েছে ( মাওয়াকে ইশারা করে কাকা)
ওহ আচ্ছা (মাওয়া)
ওকে এখন চল তাহলে আতিক বাসায় যাই (কাকি)
তারপর গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে লান্চ করে বাসার বাহিরে আসলাম ফ্রেন্ডদের ও আসতে বললাম কারন বাসায় এতো মানুষের মাঝে ভালো লাগছিলো না। সবাই চলে আসলো আমাদের ক্লাবে যেখানে সবাই আড্ডা দেই।তারপর সবাই সেখানে আড্ডা দিতাছি কিন্তু আমার আড্ডায় মন বসতেছে না শুধু মাওয়ার মুখটা ভেসে উঠছে।আর ভাবতেছি কি করে মানুষ এতো সুন্দর হতে পারে ।ওকে তো আমার ১ম দেখায় ভালোলেগে ছিলো এখন কি তাহলে ভালোবেসে ফেলেছি। না এ হয় না সে তো আমার ১ বছরের সিনিয়র।(ও আপনাদের তো বলাই হয়নি মাওয়া এইবার অনাস ২য় বষে উঠেছে আর আমি উঠবো)
এগুলা ভাবতেছি তখনই সিয়াম একটা ধাক্কা দিলো
ওহ হ্যা কি বল কিছু বলবি (আমি)
কোন জগতে আছোস তুই (সিয়াম)
কেন এই জগতে (আমি)
সত্যি করে বল কি ভাবছিলি আর মিটি মিটি হাসছিলি (হাবিব)
কি হয়েছে বলতো (দূজয়)
আমার মনে হয় শালায় কারো প্রেমে পড়েছে (সাকিব)
না মানে আসলে সাকিব তুমি ভুলে যেও না আমি তোমার শালা না তুমি আমার সালা কারণ তোমার বড় বোন আছে (আমি)
শালা এখন যতই কথা ঘুরানোর চেষ্টা করো কোন কাজ হবে না (সিয়াম)
হুম সত্যিটা বল এখন (হাবিব)
তাহলে শোন আমার একজনকে ভালো লেগেছে (আমি)
কাকে (দুজয়)
আমার চাচাতো বোন মাওয়া কিন্তু সমস্যা হলো আমার ১ বছরের সিনিয়র (আমি)
আরে ভাই এটা কোন কথা হলো সিনিয়র হয়েছে তাতে কি তাই বলে প্রেম করা যাবে না (সিয়াম)
যাবে কিন্তু তবুও ভয় করে (আমি)
তোর মতো ফাযিল যদি বলে ভয় লাগে তাহলে আমরা করবো কি (সাকিব)
তা দেখতে কেমনআমাদের ভাবি (দুজয়)
[আমার কিছু পাঠক-পাঠিকা লাগবে যারা গল্প পড়তে পছন্দ করেন তারা রিকয়েষ্ট দিয়ে একটা মেসেজ দিবেন আর গল্পের মধ্যে ডিস্টাব করার জন্য দুঃখীত]
দেখতে পরির মতো কিন্তু অনেক অহংকারী ও রাগী (আমি)
ওদের সাথে এভাবে আড্ডা দিতে দিতে ৫ টা বেজে গেল সেই সময় ভাইয়ার ফোন। একবার তাকিয়ে রিসিভ করলাম।
কোথায় তুমি (ভাইয়া)
এই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাছি (আমি)
এখনই একটু বাসায় আসো তো (ভাইয়া)
কেন কোন সমস্যা ভাইয়া (আমি)
না এই একটু মাকেটে যাবা মাওয়ার কি কি যেন কেনা লাগবে (ভাইয়া)
ওহ আচ্ছা আসতেছি বলেই ফোন কাটলাম (আমি)
কি হলো কোথায় যাবি (সিয়াম)
এই একটু তোদের ভাবি কে নিয়ে মাকেটে যাব (আমি)
কেন (সাকিব)
তার কি যেন কেনা লাগবে (আমি)
ওহ যা তাহলে দেখ পটানোর চেষ্টা করিস (হাবিব)
আচ্ছা বলেই বাইক নিয়ে বাসা চলে আসলাম।বাসায় এসে দেখি মাওয়া আপু বসে আছে। আমি গিয়ে বললাম চলো আপু
দাড়া তোকে কিছু বলে নেই আগে (মা)
হুম বলো (আমি)
ওর সাথে কোন ফাজলামো করবিনা (মা)
মা আমি কি কখনো কারো সাথে ফাজলামো করেছি (আমি)
না তুমি তো ফাজলামো শুধু সবাইকে জ্বালিয়ে মারো (মা)
মাআআ (আমি)
হয়েছে আর ন্যাকামো করতে হবে না এখন যা (মা)
ওকে চলো (আমি)
আচ্ছা চল কাকি কি বলছে ওটা যেনমনে থাকে (মাওয়া)
সেটা দেখা যাবে (মনে মনে) হুম (আমি)
এই বাসার বাহিরে চলে আসলাম।তারপর বললাম কিসে যাবো
কেন তোর বাইকে যাবো কিন্তু ব্রেক মারবি না (মাওয়া)
আমি ঐ রকমের ছেলে না (আমি)
তারপর বাইক চালিয়ে মাকেটে আসলাম। তারপর আপুর প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে যেই বের হবো তখনি দেখি আমার বান্ধবিগুলা দাড়িয়ে আছে( এরা