আম্মু, কেমন আছো তুমি.? আমাকে কি তোমার মনে পড়ে ? তোমার মেহমেদ কে ছাড়া তুমি কিভাবে আছো আম্মু?আমি তো তোমাকে ছাড়া একটুও ভালো নেই।
জানো আম্মু, আমি না প্রায় সময়ই রাতে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু তোমার মতো করে কেউ বকা দিয়ে আমায় খাইয়ে দেয় না।
ঘরটা আগের মতই অগোছালো করে রাখি। কেউ তোমার মত বকবক করে আমার ঘরটা আর গুছিয়ে দেয় না।
সকাল হলে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে কেউ আর বলে না,,"মেহমেদ, উঠ বাবা। সকাল ১০টা বাজলো তো, আর কত ঘুমাবি",,।
কেউ সকালের নাস্তাটা আর জোর করে খাইয়ে দেয় না। আমার পছন্দের খাবারগুলো আর কেউ বানিয়ে দেয় না।
আমার জন্মদিনে কেউ আর পায়েস বানিয়ে দেয় না আম্মু।তোমার মত করে কেউ আর যত্ন নেয়।
তোমায় বড্ড মিস করি আম্মু।
আমার জীবনে সবচেয়ে বড় শূন্যতা তৈরি করে তুমি কোথায় চলে গেলে আম্মু..? তুমি এতোটা সেলফিস কিকরে হতে পারলে আম্মু..?
জানো আম্মু, আমি না প্রতিটা রাতে কাদি, তোমার জন্য। বালিশটা ভিজে যায় আমার চেখের পানিতে।
কেন এমন করলে আম্মু..?কেন ছেড়ে চলে গেলে আমায়..?তুমি একটিবারও ভাবলে না, তোমায় ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো, কিভাবে বাচবো। কে করবে আমার দেখাশুনা??
তুমি তো চলে গেলে, আর আমায় ভাসিয়ে দিয়ে গেলে কষ্টের সাগরে।
তুমি প্রায় সময় বলতে আম্মু," আমি যখন থাকবোনা , তখন বুঝবি, পৃথিবীটা কত কঠিন"..
সত্যিই আম্মু আজ বুঝতে পারছি তুমি ছাড়া পৃথিবীটা অনেক কঠিন।
জানো আম্মু, আজ না তানহাকে ৪বছর পর দেখলাম।ও আজ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ম্যানেজার। আমার অফিসের বস।
তোমাকে কখনো বলিনি যে, আমি ওকে ভালোবাসি। কারন ও আমাকে ভালোবাসতো না।
কিন্তু আজ যখন ও আমাকে দেখল, খুব অস্থির ভাবে আমার খোজ নিচ্ছিল। যেন আমার জন্য একটা আলাদা অনুভুতি দেখতে পেলাম ওর মধ্যে।
আমি কোনোদিন ওকে বলতে পারলাম না আমার অনুভুতির কথাটা।
হয়তো না বলাই থেকে যাবে।
আমার না আর বাচতে ইচ্ছা হয় না আম্মু। মাঝে মাঝে নিজেকে শেষ করে দিতে মন চায়। কিন্তু পারিনা।
তুমি দোয়া করো আম্মু, খুব দ্রুত যেন আমার মৃত্যু হয়। আর বাচতে ইচ্ছা করে না। খুব একা লাগে নিজেকে।
যেখানেই থাকো, ভালো থেকো আম্মু।
তোমার মেহমেদ...
হাত দিয়ে চোখের পানি মুছলাম। ডায়রিটা বন্ধ করে টেবিলে রাখতেই কলিং বেল বেজে উঠলো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১১:৩৩ বাজে। এতো রাতে আবার কে এলো..
ভাবতে ভাবতে দড়জা খুলতেই ঠাসসসসসসস..
কেউ একজন স্বজোরে আমার গালে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিল......
চলবে.....
মামাতো বোন যখন অফিসের বস..♥
৪+৫ পর্ব...
লেখক: মেহমেদ হোসাইন শাকিল..$
ভাবতে ভাবতে দড়জা খুলতেই ঠাসসসসসসস..
কেউ একজন স্বজোরে আমার গালে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিল......
চোখ খুলে দেখি আমার নানু সামনে দাঁড়িয়ে আছে, চোখ দিয়ে অনর্গল পানি ঝরছে, কাঁদছে আর একটা রাগী লুক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,
আমি তো নানু দেখে পুরাই অবাক, নানুর ঠিক পেছনে তানহা দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। বোঝাই যাচ্ছে থাপ্পড় দে
ওয়ার বিষয়টায় সে মজা নিচ্ছে।
নানু হঠাৎ আমায় বলল--