বাড়িওয়ালার বজ্জাত মেয়ে ???

আজ দীর্ঘ ১০ বছর পর নিজের দেশের মাটিতে পা রাখলাম। আমার বয়স যখন ১৪ বছর তখন আমি আমার আব্বু আম্মুর সাথে কানাডায় গিয়?

আজ দীর্ঘ ১০ বছর পর নিজের দেশের মাটিতে পা রাখলাম। আমার বয়স যখন ১৪ বছর তখন আমি আমার আব্বু আম্মুর সাথে কানাডায় গিয়েছিলাম।

আর আজকে আমি একা দেশে আসলাম।

 

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর (এয়ারপোর্ট)থেকে বেড়িয়ে একটা গাড়ি নিয়ে চলে আসলাম সিলেট উপশহর। সেখানে একটা বিলাসবহুল বাসায় উঠলাম।

বাসার দারোয়ানের সাথে আগে কথা বলে রেখেছিলাম,

 

বাসায় দারোয়ান আমাকে বাসার ভিতরে ২য় তলায় নিয়ে গেলেন এবং আমার রুমগুলো দেখিয়ে দিলেন।

 

আমি দারোয়ান আংকেল কে বললাম,

 

-আচ্ছা আংকেল এই বাসার নিচের তলায় কি আমাকে দেওয়া যায় না(জামিল)

 

-না বাবা আসলে এই বাসার মালিক নিচের ফ্ল্যাটে থাকেন। তাই তোমাকে এই উপরের ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন।(দারোয়ান আংকেল)

 

-ও আচ্ছা আংকেল এই নিচের ফ্ল্যাটে কে কে থাকেন।(জামিল)

 

-এইখানে মালিক, ওনার স্ত্রী আর তাদের দুইটা মেয়ে থাকে।

 

-ও। আচ্ছা আংকেল আপনি এখন আসতে পারেন।

 

-আচ্ছা বাবা, কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে বলবেন।

 

দারোয়ান আংকেল চলে গেলেন আর আমি আমার জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখলাম,

রুমে কাজ করতে করতে দেখি দুপুর পার হয়ে গেলো।

 

একটুপর আমার দরজায় কে যেনো ঠুকা মারলো, আমি উঠে গিয়ে দেখি বাড়িওয়ালার ছোট মেয়ে মানে আমার চাচাতো বোন নিশি আসছে হাতে খাবার নিয়ে।

 

-আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।(নিশি)

 

-ওয়ালাইকুম আসসালাম জ্বী তুমি কেমন আছো ।(জামিল)

 

-জ্বী ভাইজান ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন। (নিশি)

 

-এইতো ভালো আছি। আসো ভিতরে আসো।(জামিল)

 

-বাহ আপনার রুমতো দেখছি খুব সুন্দর।

 

-তাই তোমার ভালো লাগছে।

 

-হুম খুব ভালো লাগছে, এখন থেকে আমি আপনার রুমে আসবো কিন্তু, আমাকে তাড়িয়ে দিবে না।

 

-আচ্ছা তোমার যখন খুশি আসিও।

 

-এই নাও আমার আম্মু খাবার পাঠিয়েছে।

 

-আরে তোমার আম্মুকে কষ্ট করার কি আছে আমিতো আসার সময় হোটেলে খেয়ে আসছি।

 

-বাহ রে তুমি আজকে আমাদের মেহমান তাই তোমাকে খাবার দিলাম।

 

-হুম, তুমিতো দেখছি খুব পাকনা।

 

-ও তাই, আচ্ছা এখন যাই।(নিশি)

 

-হুম যাও (জামিল)

 

কি এতক্ষন হয়তো আমাদের কথা বুঝলেন না, চলুন আগে আমার পরিচয় দিয়ে দেই।

 

আমি কাব্য জামিল, বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে কানাডা থেকে লেখাপড়া করে আসছি, আর আগেও বললাম আমার বাবা-মা কানাডায় থাকেন,

 

আর দেশে আসার একটা কারন হলো আমার ভালোবাসার টানে আসলাম। আমার আব্বু বলেছেন আমার চাচাতো বোন মিমের সাথে না কি আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আর আব্বু বলেছেন যদি কাউকে বিয়ে করতে হয় তাহলে এই মিমকে বিয়ে করবো। আর বর্তমানে মিমের সাথে আমার প্রেম চলছে। আর যে বাসায় আছি সেইটা আমাদের আর চাচ্চুদের যৌথ বাসা।

 

আর নিশির বড় বোনের নাম মিম জান্নাত মৌ।

সবাই মিম বলে ডাকে কিন্তু আমি তাকে মৌ বলে ডাকি। মৌ বাবা-মায়ের অতি আদরের বড় মেয়ে।

অনেকদিন ফোনে কথা হয়েছে মৌয়ের সাথে কিন্তু আমাকে কখনো দেখিনি। মিম খুব কান্নাকাটি করেছে আমাকে দেখার জন্য কিন্তু আমি দেখা দেইনি। আমি অবশ্য মৌকে দেখেছি।

 

আজকে আমি দেশে আসার কথা ছিলো সেটা মৌ জানতো কিন্তু পরে আবার না করে দিয়েছি। বলেছি আরো কয়েকদিন পর দেশে আসবো, কিন্তু আমি ঠিকই দেশে আসছি।

 

বাকিটা গল্পে জানতে পারবেন।

 

নিশির দেয়া খাবার খেয়ে রুমে ঘুমিয়ে পড়লাম।

ঘুম থেকে উঠে দেখি আসরের আযান হয়ে গেছে তাই বাসা থেকে বেড়িয়ে মসজিদে গেলাম, সেখানে আসরের নামাজ আদায় করে আবার বাসায় চলে আসলাম।

 

কিছুই ভালো লাগছে না, যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকে আমি বিদেশে ছিলাম তাই বাংলাদেশের মাটির সাথে এখন মিশতে কি রকম লাগে। কিন্তু আমার প্রিয়তমা মৌকে এখনো দেখতে পেলাম না।

 

তাই মৌকে ওয়াটসাপে ফোন দিলাম, মৌ ফোন ধরেও বলতে৷ লাগলো।

 

-আমায় কষ্ট দিতে তোমার খুব ভালো লাগে তাই না। (মৌ)

 

-আমি কোথায় তোমাকে কষ্ট দিলাম। (জামিল)

 

-তাহলে আজকে আসার কথা ছিলো আসলে না কেনো, আর এখন একটা বার ভিডিও কলে আসো না তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।(মৌ)

 

-না সেটা পারবো না আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করো তারপর দেখবে আমি তোমার কাছে চলে আসছি। (জামিল)

 

-শুধু অপেক্ষা করা লাগে, সেই ১০ টা বছর থেকে তোমাকে দেখিনি আর তুমি একবারও আমাকে দেখা দিলে না। (মৌ)

 

-এইসব কথা বন্ধ করবে না কি কল কেটে দিবো।?(জামিল)

 

-এই না না আর বলবো না। (কান্না করতে করতে)

 

-হুম এখন বলো কি করছো।

 

-এইতো ছাদে বসে আছি। (মৌ)

 

-ও আচ্ছা তাহলে পরে কথা হবে বাই। (জামিল)

 

-এই শুনো এ এই(মৌ)

 

টুট টুট টুট করে দিলাম??

 

যাই দেখে আসি মহারানী ছাদে কি করে।

 

ছাদে চলে গেলাম সেখানে গিয়ে ছাদের চারিপাশ খুব সুন্দর আর অনেক রকম ফুলগাছ লাগানো। ছাদের পশ্চিম পাশে দেখি মৌ একা দাঁড়িয়ে আছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছে আর চোখে হয়তো নোনা জলে টলমল করছে।

মৌ আমাকে দেখেনি তাই আমি ছাদের পূর্ব প্রান্তে চলে গেলাম।

 

মৌকে এভাবে দেখে আমারও খুব কষ্ট লাগছে বড্ড ইচ্ছা করছে আমার প্রিয়তমাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু না তা করা যাবে না। না হলে সারপ্রাইজ থাকবে না।

 

আমি এসব ভাবছি তখন পিছন থেকে মৌ বললো,

 

-এই এখানে আপনি কে। (মৌ)

 

-কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। আমার ভাবার মাঝে আবারো বললো ,

 

-কি হলো কথা বলেন(মৌ)

 

আমি কিছু বলতে যাবো তখন নিশি চলে আসলো,

 

-আসলে আপু ওনি খুব ভালো আমাদের উপরের ফ্ল্যাট ওনি ভাড়া নিয়েছেন। (নিশি)

 

-ও আচ্ছা তা আপনার নাম কি।(মৌ)

 

-এই রে খাইছে ধরা এখন নাম কি বলবো, যদি জামিল বলি তাহলে হয়তো চিনে যাবে ধ্যাত এদেশে কত জামিল আছে কে কার নাম জানে(মনে মনে)

 

-কি হলো নামটা বলবেন না।(মৌ)

 

-জ্বী আমার নাম কাব্য জামিল (জামিল)

 

-ওহ। আচ্ছা থাকেন আমি গেলাম আর ছাদে এসে কখনো আমার ফুলগুলো ছিড়বেন না। (মৌ)

 

-জ্বী আচ্ছা। (জামিল)

 

মৌ চলে গেলো নিশি আমার কাছে আসলো,

 

-ভাইয়া তুমি একা কেনো, তোমার আব্বু-আম্মু কোথায়। (নিশি)

 

-আরে বোন আমার আম্মু-আব্বু গ্রামে থাকেন। (জামিল)

 

-ও তাহলে এখানে কি করার জন্য আসলে।(নিশি)

 

-এখানে চাকরী করবো তাই। (জামিল)

 

-ও আচ্ছা। (নিশি)

 

-আচ্ছা নিশি তোমাকে একটা কথা বলি।

 

-হুম ভাইয়া বলেন।

 

-এই ফুলের বাগান টা কার।

 

-এটা আপু লাগিয়েছে আমার এক ভাইয়ার জন্য।

 

-তোমার কি ভাইয়া আছে।

 

-হুম আছে(নিশি)

 

-কোথায় সে আর (জামিল)

 

-আমার ভাইয়া কানাডা থাকেন আর ওনার সাথে আপুর বিয়ে হবে তাই আপু বলছে ভাইয়া না কি কয়েকদিনের ভিতর চলে আসবে তাই আপু ফুল গাছ গুলোকে খুব যত্ন করে রাখছে।(নিশি)

 

-ও আচ্ছা এখন তুমি নিচে যাও সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। (জামিল)

 

-হুম যাচ্ছি। (নিশি)

 

নিশি চলে গেলো আমিও ছাদ থেকে নেমে মাগরিবের নামাজ পড়তে চলে গেলাম। মাগরিবের নামাজ পড়ে রুমে এসে আব্বু-আম্মুর সাথে কথা বললাম।

রাত্রে ৯ টার দিকে হোটেলে গিয়ে খেয়ে এসে শুয়ে পড়লাম

 

পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি মৌ আমার রুমে,

,

,

,

,

,

,

,চলবে।

#প্রথম_পর্ব

#গল্পঃ_চাচাতো_বোনের_সাথে_প্রেম#গল্পঃ_চাচাতো_বোনের_সাথে_প্রেম

#পর্ব_২

 

#লেখকঃ_কাব্য_জামিল

 

পরের দিন ঘুম থেকে উঠে দেখি কে আমার রুমের দরজায় ধাক্কাচ্ছে।

 

দরজা খুলে দেখি মৌ দাড়িয়ে আছে মুখটা একটু শুকনো শুকনো লাগছে, আর চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। মনে হয় রাত্রে ঘুমায়নি পাগলিটা।

 

-এই জমিদার সাহেব আম্মু পাঠিয়েছে (মৌ)

 

-জ্বী বলেন কি।(জামিল)

 

-আম্মু বলছেন সকালের নাস্তা টা আমাদের বাসায় করবেন(মৌ)

 

-জ্বী ঠিক আছে। (জামিল)

 

মৌ চলে গেলো, ঘুম থেকে উঠে আজকে পাগলিটাকে দেখলাম। মনটা এখন খুব হালকা লাগছে।

 

ওয়াশরুমে চলে গেলাম, সেখানে ফ্রেশ হয়ে কাপড়-চোপড় পড়ে নিচে চাচ্চুর মানে মৌ দের বাসায় চলে আসলাম। এখনো এখানে আসছি থেকে চাচ্চু আর ছোট আম্মুকে দেখিনি।

 

মৌ দের বাসায় চলে আসলাম। বাসার কলিংবেলটা টিপ দিতেও নিশি এসে দরজা খুলে দিলো।

 

-ভাইয়া কেনন আছো। (নিশি)

 

-এইতো আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছো(জামিল)

 

-ভালোই আছি। এসো ভিতরে এসো

 

ভিতরে ঢুকে দেখি ড্রইংরুমে ছোট আব্বু আর মৌ বসে আছেন।

 

-আসসালামু আলাইকু চাচ্চু(বড় বলে ডাক দিলাম না)

 

-ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা কেমন আছো।(চাচ্চু)

 

-আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি কেমন আছেন।

 

-এইতো বাবা ভালোই আছি। (চাচ্চু)

 

কিচেন থেকে ছোট আম্মু আসলেন,

 

-আসসালামু আলাইকুম আন্টি(ছোট আম্মু বলে ডাক দিলাম না, যদি বুঝে যান।)

 

-ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা কেমন আছো। (ছোট আম্মু)

 

-জ্বী আন্টি আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি কেমন আছেন।(জামিল)

 

-এইতো বাবা ভালো আছি, তোমার আম্মু-আব্বু ভালো আছেন।(ছোট আম্মু)

 

-জ্বী আলহামদুলিল্লাহ ভালো।(জামিল)

 

-আচ্ছা এখন এসো সবাই নাস্তা করি।(ছোট আম্মু)

 

তারপর নাস্তা করতে টেবিলে বসলাম। ছোট আম্মু অনেক আদর যত্নে নাস্তা পরিবেশন করালেন। নাস্তা খাওয়ার সময় মৌকে দেখলাম অন্য মনস্ক।

মৌ এর চোখের দিকে তাকিয়ে এসব ভাবছি তখন


Jwel Rana

36 Blog posts

Comments