ভদ্র সেজে আদূরে গলায় নিলা)
এতে হবে না কিছু লাগবে (আমি)
কত লাগবে বল (নিলা)
এইতো সোনা লাইনে এসেছো ৫০০০ টাকা দিলেই হবে (আমি)
একটু কম করা যায় না (নিলা)
আমি এসব বিষয়ে বেশি কথা বলি না (আমি)
তোকে আমি দেখে নেব (টাকাটা হাতেদিয়ে নিলা)
আচ্ছা দেখে নিস (আমি)
আচ্ছা ভাবি আপনি ওকে একটু শায়েস্তা করবেন প্লিজ (মাওয়াকে ইশারা করে নিলা)
আচ্ছা ও কি করেছে সেটাই আমি এবং পাঠকরা কেউ জানি না (মাওয়া)
আচ্ছা শোনেন তাহলে নিলা বলতে শুরু করলো ১ সপ্তাহ আগের ফ্লাস ব্যাক.....
আমি সেদিন একটু ছোট বোনকে দোকানে নিয়ে গিয়েছিলাম। তার মধ্যপথে ওর সাথে দেখা। তারপর ও বলতে শুরু করলো , কিরে তুই এখানে আর অন্যজন কে তো দেখলাম না থাক তোকে বলবো না
আরে বল (আমি)
বললে আমি কি পাব (আতিক)
তুই কি হয়েছে তাই বল হাবিব কে তুই কি করতে দেখেছিস (আমি)
আমি কাউকে শুধু শুধু কিছু বলি না (আতিক)
আচ্ছা কি লাগবে বল তবুও বল ও কি করেছে (আমি)
যদি ৫০০০ টাকা দিস তাহলে বলতে পারি (আতিক)
আচ্ছা দিবো এখন তো টাকা আনি নাই কালো সকালে দিবো আনে এখন বল (আমি)
আমি বাকি কাজ করি না (আতিক)
এখন তো আনি নাই এতো টাকা দিবে কি করে (আমি)
কেন তোর বিকাশে টাকা আছে না সেখান থেকে দে (আতিক)
ওকে দিতাছি দাড়া (আমি)
হুম দে (আতিক)
তারপর আতিক দেখে ওর নাম্বারে বিকাশ থেকে মেসেজ এসেছে
টাকা তো দিয়েছি এখন বল (আমি)
হুম শোন আমাকে হাবিব ফোন দিয়ে বলেছে ও এখন এখানে আসতেছে (আতিক)
কিইইই কুত্তা তুই আমাকে আবার বোকা বানিয়ে নিলি (আমি)
ঐ দেখ হাবিব আসতেছে (আতিক)
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি সত্যিই হাবি আসতেছে তারপর আতিকের দিকে ঘুরেই দেখি ও নেই।আর হাবিব আমার কাছে চলে এসেছে।
কি হয়েছে তোমার এভাবে দাড়িয়ে আছো কেন (হাবিব)
আরে বলো না আতিক আমাকে আজকেও বোকা বানিয়ে টাকা নিল (আমি)
কেন কি হয়েছে (হাবিব)
তারপর ওকে সব খুলে বললাম
হা হা ও পারেও বটে (হাবিব)
এই ছিলো সেদিনের ঘটনা ফ্লাশব্যাক শেষ।
হা হা ও তোমাকে এতো বোকা বানিয়েছে (মাওয়া)
ও শুধু আমার থেকে নয় ওদের সবাই থেকেই নিয়েছে (নিলা)
হুম আমাদের কাছ থেকেও নিয়েছে (সবাই একসাথে)
কুত্তী গুলাআআ (আমি)
ঐ তুই চুপ থাক তুই ওদের সাথে এতো ফাজলামো করিস ক্যান (মাওয়া রেগে)
আমি ভয়ে চুপ (আমি)
এখন এসব বাদ আমাদের রিলেশনের জন্য অনেক ট্রিট নিয়েছো (তিথি)
এখন আমাদের ট্রিট দিয়ে একটু ধন্য কর (জান্নাত)
তোর কাছ থেকে আজকে কিছু হলেও খরচ তো করতে পারবো (অধরা)
আমার কাছে খূচরা থাকলে ২ বা ১ টাকা দিয়ে তোদের মতো ফকিরদের বিদায় করতাম কিন্তূ তাও নাই মাফ কর প্লিজ (আমি)
কুত্তা তুই আজকে যাই বলোস না কেন তোর আজকে ট্রিট দিতেই হবে (সবাই একসাথে)
তোরা তোদের ভাবির কাছ থেকে ট্রিট নিয়ে নে। জানিস তোদের ভাবি কতো ভালো সে নিজেই বলছে তোদের ট্রিট দেবে (আমি)
কূত্তা আমি তোকে কখন বললাম (আমার কানে কানে মাওয়া)
এটা আমাকে সকালে থাপ্পর দেওয়ার জন্য একটা সামান্য বাশ (আমি)
সত্যি আমাদের ভাবি এতো ভালো যে আমাদের ট্রিট দিতে চায় (অধরা)
ভাবি চলেন ওর টাকায় কিছু খেতে পারবোনা আপনারটা খেতে পারলেই হবে (তিথি)
মাওয়া পরে গেছে মাইনকা চিপায় মনে মনে ভাবতেছে( কুত্তাটা আমাকে এভাবে বাজাবে বুঝতে পারি নাই এখন মনে হয় আমার টাকা গুলো গেলো কুত্তা তোর ব্যবস্থা পরে করতেছি এখন ওদের ট্রিট টা দিয়ে নিই)
আচ্ছা চলো (মাওয়া)
আরে আরে আমার বন্ধুরা আছে না ওদেরও আসতে বলি যতই হোক ওর বন্ধুর গফ ট্রিট দিবে (আমি)
কুত্তাটা আমার টাকার আজকে বারোটা বাজাবে (মনে মনে) আচ্ছা আসতে বল (মাওয়া)
তারপর আমি সাইডে গিয়ে আমি সিয়ামকে কল দিলাম
কোথায় তুই (আমি)
এইতো এখনো আড্ডাখানায় আছি (সিয়াম)
সবাই আছে (আমি)
ওদের নিয়ে **** রেস্টুরেন্ট এ চলে আয় কোন প্রশ্ন করবিনা যেভাবে বলবো সেভাবে কাজ করবি (আমি)
ওকে (সিয়াম)
শোন তাহলে রাস্তায় কিছু পথ শিশু থাকলে তাদের নিয়ে আসবি আর ওদের এমন জায়গায় বসাবি যেন মাওয়া আপু না দেখে (আমি)
কিন্তু করছিস টা কি বলবি তো (সিয়াম)
বললাম না কালকে তোদের সব বলবো (আমি)
তারপর মাওয়া আপুদের কাছে এসে বললাম চলো সবাই।তারপর সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গেলাম কিছুক্ষন পর সিয়াম রাও চলে আসলো তারপর শুরু হলো খাওয়া আমরা ছেলেরা এমন খাওয়া খাচ্ছে মনে হয় ২ দিন কেউ কিছু খাই নাই।
সিয়াম তো বলেই ফেলল, ভাবি আপনি দেখতে যেমন