সে জানে তার হাসির প্রতি আমি দুর্বল,, আর সেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে,, আমি তাকে সুযোগ দিবো না বলে মুখ ফিরিয়ে নিলাম,,।
এমন পরিবেশে প্রিয় মানুষটার হাসি খুব মিষ্টি লাগে,, মনের কোনে দাগ কাটে,, আমারও কাটলো,, কিন্তু সেটা বালি চাপা দিলাম,, মন বলছে আর একটু তার দিকে তাকিয়ে থাকি,,।
কিন্তু রাগ দেখাবো বলে তাকালাম না,, মনকে মানিয়ে নিলাম,, বললাম একটু পর ঠিকি দেখতে পাবো,, সাথে আদরও পাবো বটে,,।
নীলাঃ এই ওবায়দুল,,
আমি কোনো কথা বললাম না,, অন্য দিকে তাকিয়ে থাকলাম,,।
নীলাঃ এই জানু,,
তবুও কিছু বললাম না,, আসলে আমরা বেস্টফ্রেন্ড তো তাই আমাদের মাঝে সব ভাষায় চলে,, মনে মনে হাসলাম,,।
নীলাঃ শোন না,, আর কোনোদিন এমন হবে না,, রাসেল একটা লুচ্চা ছেলে,, ওকে কুব বকছি,, আর কোনোদিন আমার সঙ্গে লাগবে না,,
আমিঃ কেনো বলছিস,, যা ওর সাথে কথা বল,,
নীলাঃ কেনো,,??
আমিঃ তোরা তো আবার খারাপ ছেলেদের বেশি পছন্দ করিস,,
নীলাঃ কথা ভুল নয়,, তবে আমার মনে হয় তোর থেকে খারাপ এই পৃথিবীতে নেই,,
আমিঃ হয় আমি খারাপ,, যা এখান থেকে,,
নীলাঃ আরে সরি বললাম তো,,
আমিঃ সর তো,,
নীলাঃ দেখ,, অনেক হয়ছে,, এবার চল নয়তো ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দিবো,,
আমিঃ সাহস আছে তোর,,
নীলাঃ আমার সাহস দেখবি,, এই দেখ,,
কথা বলতে দেরি,, ধাক্কা দিতে দেরি হলো না,, সালা কি মেয়েরে বাবা,, বলতে না বলতেই ধাক্কা দিয়ে দিলো,,।
আমি তো ধপাস করে পানিতে পড়ে গেলাম,, শার্ট প্যান্ট সব গেলো,, এসব গেলে যাক সমস্যা নাই,, কিন্তু হাতে একটা ঘড়ি ছিলো,, এটাও গেলো,,।
আমিঃ এই,, তুই সত্যি সত্যি কেন ধাক্কা দিলি,,
নীলাঃ আমার সাহস দেখতে চাইলি তাই,,
আমিঃ এবার আমি বাসায় কেমনে যাবো,,??
নীলাঃ আমি কি জানি,, আমি তো গেলাম,, টা টা,
আমিঃ এই নীলা শোন,,
নীলাঃ বল,,
আমিঃ আমায়
পরার জন্য কিছু এনে দে,, নয়তো আমি বাসায় কেমনে যাবো,,