রাস্তায় রিক্সার জন্য দাড়াই আছি, বৃষ্টির মোসুম, আকাশ পরিষ্কার দেখা গেলেও বলা যায় না কখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়(ও হ্যা পরিচয়টা দিয়ে দি আমি অন্তর, আমি আব্বু আম্মুর একমাত্র আদরের ছেলে, আমি অনার্স ২য় বৎসে পড়ি,বাকি কাহিনি গল্পে জানতে পারবেন)
রাস্তায় বড় গর্ত আছে সেখানে কাদা পানিয়ে ভর্তি
হঠাৎ করে একটা গাড়ি এসে গর্তের উপর দিয়ে গাড়ি চালাই দেয় আর কাদা পানি গুলো পুরা সার্টে ছিটকে পড়ে
আমি : ঐ অন্ধের ঘরের অন্ধ দেখে শুনে গাড়ি চালাতে পারিস না
তারপর গাড়িতে আবার পিছে আসে এবার ইচ্ছা করে গর্তে গাড়ি চালায়, আবার আমার সার্ট পেন্ট কাদায় ভরে যায়,তারপর গাড়ির গ্লাস খুলে,
যে গাড়িতে ছিলো সে হলো আমার মামাতো বোন মানহা
আর বলতে শুরু করে
মানহা : ঐ ছোটলোকের বাচ্ছা, তুই আমাকে অন্ধ বললি তোর সাহস তো কম না
আমি : গাড়ি চালাচ্ছেন তো ভালো কথা দেখে শুনে চালালে কি হয়,দেখেন আপনার জন্য আমার জামা কাদায় ভরছে
মানহা : এহহহহহহ,যে কাপড় চোপড় মনে হয় আসছে বড়লোকের বেটা, তোর ঐ কাপড় চোপড় না আমার বাসায় কাজের লোকেও পড়ে না,
আমি :( চুপ হয়ে আছি,,,,,,,,,,,,)
মানহা : তোর সাহস তো কম না, আমাকে অন্ধ বলতেছিস দাড়া দেখাচ্ছি,বলে গাড়ি থেকে নেমে আমাকে ঠাসসসসসসস,ঠাসসসসসসসস
দুটো চড় দেয়, আর বলে
মানহা : Next Time যদি মুখে মুখে কথা বলিস না তাহলে তোর এমন হাল করবো যে তুই চিন্তাও করতে পারবি না, ছোটলোকের বাচ্চাবলে গাড়ি করে চলে গেলো,আর আমি বাসায় চলে যাই গিয়ে
আম্মু : কিরে তোর এ হাল কেন?
আম্মুকে সব বলি
আম্মু : যা বাদ দে, তারা বড়লোক আর আমরা কোথায়,তুই তো সবই জানিস, তুই চেন্জ করে বার্সিটি যা
আমি : ঠিক আছে,
তারপর চেন্জ করে বার্সিটি গেলাম,
সেখানে দুই হারামি তানভির আর রাহিব অপেক্ষা করতেছে
আমি তাদের কাছে গেলাম,
রাহিব : এতো দেরি কেন?
আমি : আর বলিস না (তারপর সব বললাম)
তানভির : ভাই দেখ ওরা হচ্ছে বড়লোক আর আমরা হচ্ছি মধ্যবিত্ত তাই এদের সাথে না লাগাটাই ভালো,
আমি : ঠিক বলছোস চল ক্লাসে যাই,(একটা কথা বলতেই ভুলেগেছি আমি আর মানহা একই ডিপাডমেন্ট ও ইয়ারে পড়ি,সাথে তানভির আর রাহিবও)
ক্লাস শেষ করে চলে গেলাম ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতে, সেখানে গিয়ে বটগাছের নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছি,তবে আমরা একা না,সাতে আরো দুই ফ্রেন্ড আছে, মেঘা আর আনিকা
মেঘা : অন্তর তুই বার্সিটিতে অনেক দিন ধরেই আছিস তোর কোনো মেয়ে পছন্দ হইছে
আমি : হ্যা হইছে তো,মেয়েটা না সেই, কখন যে তারে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলি আল্লাহ জানে
তানভির : কেরে সে?
আমি : আমার জান আমার মেঘা
মেঘা : ও তাই নাকি তো চল কাজটা সেরে ফেলি,
আমি : না থাক ঝামেলার দরকার নাই,
মেঘা : কি আমি ঝামেলা
আমি : ওহ sorry তুই ঝামেলা না, তুই ঝামেলার factory
মেঘা : তবে রে,
বলে দিলো এক দোড়ানি
আমিও গরীবের মিলখা সিং, দোড়াতে দোড়েতে হঠাৎ মানহা সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে গেলাম,মানহা পরে গেছে, সে উঠে আমাকে
ঠাসসসসস,ঠাসসসসসস,দুটো চড় মারে আর বললে শুরু করে
মানহা : এই ছোট লোকের বাচ্চা, তোর সাহস তো কম না আমাকে ফেলে দিয়েছিস,
আমি : sorry দোড়াতে গিয়ে আপনার সাথে ধাক্কা লাগে
মানহা : আমি কিছু বুঝি না তাই না, তোরে আমি হারে হারে চিনি, তুই কেমন টাইপের তা আমার জানা আছে, দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে, এই দিকে সবাই ফ্রিতে তামাসা দেখছে
তারপর আমি মন খারাপ করে চলে গেলাম
আড্ডায় গিয়ে বসে পড়ি তারপর মেঘা বলে
মেঘা : sorry রে আমার জন্য তোকে চড় খেতে হলো,
আমি : আরে এটা তোর দোস না আমার দোস, আচ্ছা বাদ দে,থাক,তারপর কিছু ক্ষন আড্ডা দিয়ে বাড়ি চলে গেলাম,বাড়ি গিয়ে
আমি : আম্মু ক্ষিদা লাগছে কিছু খাইতে দাওতো?
আম্মু : দিচ্ছি তুই ফ্রেস হয়ে আয়,
আমি : আচ্ছা,
বলে ফ্রেস হয়ে আসলাম,
আম্মু খাবার নিয়ে বসে আছে আমি টেবিলে বসি, আর আমাকে দেখে বলে
আম্মু : তোর গালে কি হইছে?
আমি : কই কিছু না তো
আম্মু : সত্যি করে বলতো
তারপর আম্মু কে বলি,আম্মুই বা কি করবে, শুদু মানহা না মামা মামিরাও আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে, টাকার অহংকার আরকি,
তারপর খাবার খেয়ে রুমে গিয়ে দিলাম একটা ঘুম,ঘুম থেকে উঠে পড়া শুনা, তারপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুম,এভাবেই দিন্টাই কেটে যায়
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন???আর গল্পে লাইক,কমেন্ট করুন,আর চাইলে Add হতে পারেন?
#অহংকারি_মামাতো_বোন
#লেখক_অন্তর
পর্ব : ২
সকালে ঘুম ভাঙ্গে আব্বুর ডাকে
আব্বু : আব্বু সকাল হইছে তো উঠ এবার,
আমি : বাহ সূর্য কোন দিক দিয়ে উঠলো আজকে আব্বু ডাকতেছে
আব্বু : ডাকতেছি তো তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে বলে
আমি : সারপ্রাইজ ?
আব্বু : উঠ তারপরে বলতেছি
আমি : আচ্ছা, তারপর উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে যাই ব্রেকফাষ্ট এর জন্য, টেবিলে গিয়ে বসি আর বলি
আমি : কি এমন সারপ্রাইজ আছে বল তো?
আম্মু : আছে রে বাবা, নাস্তা করে নে তারপর বলতেছি, নাস্তা করা শেষ
আমি : এবার তো বল,
আব্বু : আমার সাথে আয়!
আমি : ওকে,তারপর বাহিরে গিয়ে আমি তো অবাক
আমি : বাইক??
আম্মু : হ্যারে বাবা তোর জন্য
আমি : থ্যাং ইউ আম্মু আব্বু,
আব্বু : হইছে এবার এটা নিয়ে বার্সিটি যা, enjoy কর
আমি : একমিনিট হঠাৎ বাইক কেন দিলা?
আম্মু : তোকে কত দিন ধরে দেখতেছি রাস্তায় রিক্সসা এর জন্য দাড়াই থাকতে আর তাছাড়া তুই বাইক চাইছিলি তাই তোকে বাইক নিয়ে দিলাম
আমি : থ্যাং ইউ আম্মু আব্বু
তারপর নতুন বাইক নিয়ে বার্সিটি রওনা দিলাম,
বার্সিটি যাওয়ার সময় দেখি একটা আপু রাস্তায় রিক্সার জন্য দাড়াই আছে,তাই তার কাছে গেলাম
আমি : আপু help লাগবে?
মেয়েটা : হ্যা, আসলে বার্সিটিতে আজ প্রথম দিন,আর লেট হলে তো সমস্যা, আর রিক্সাও আসতেছে না?
আমি : সমস্যা নাই,আপনি কোন বার্সিটিতে পড়েন?
মেয়েটা : **** বার্সিটিতে
আমি : আমিও চলেন তাহলে দেরি না করে বার্সিটি যাই, তারপর তাকে বাইকে নিয়ে চলে গেলাম বার্সিটি
মেয়েটা বাইক থেকে নেমে
মেয়েটা : থ্যাং ইউ, আমাকে help করার জন্য, by the way আমি স্নেহা, 2nd year এ admission নিছি?আসলে বাবা এখানে transfer হইছে তো তাই এখানে আসছি,
আমি : ওহ,আমি অন্তর আমিও 2nd year এ পড়ি,আচ্ছা যাই পরে দেখা হবে আমি যাই Bye
তারপর বাইক পার্ক করতে যাবো ঠিক তখনি কেউ একজন আমার কলার ধরে ফেলে দেখি সে আর কেউ না রাহিব
রাহিব : হারামি বাইকটা কার?
আমি : তোর বাপের মানে আমার
রাহিব : কি বলিস কবে নিলি?
আমি : আজকে আব্বু আনছে
রাহিব : আমারে চালানো শিখাবি
আমি : ok তারপর দুজন মিলে ক্লাসে গেয়ালাম সেখানে গিয়েও আমি অবাক কারন স্নেহা আমাদের ক্লাসে, তারপর স্নেহা আমার কাছে এসে বলে
স্নেহা : তুমি এই ক্লাসে?
আমি : হ্যা এটাই আমার ক্লাস,
স্নেহা : বাহ ভালোই হলো,তারপর সিটে গিয়ে বসে পরি,তারপর ক্লাস শেষ করে আড্ডায় চলে যাই সেখানে স্নেহাও যায় তারপর স্নেহার সাথে সকলের পরিচয় করিয়ে দি,তারপর আড্ডা দি,সবাই আমার বাইক কিনার জন্য ট্রিট চাইতেছে,দিলাম তাদের ট্রিট, তারপর স্নেহা বলে
স্নেহা : অন্তর তোমার নাম্বারটা দাও তো?
আমি : আচ্ছা নাও ************
আজকের দিন্টা ভালোই কাটলো,যাক মানহার সাথে দেখা হয় নাই,তবে ক্লাসে দেখছিলাম তারে,
তারপর বাসায় চলে গেলাম,গিয়ে খাবার খেয়ে ঘুম,
ঘুম থেকে উঠে ফ্রি লান্সিং এর কিছু কাজ করে, সন্ধায় একটু বের হলাম,হঠাৎ লক্ষ করলাম রাস্তায় অনেক মানুষ ভিড় জমাই আছে,
সেখানে গিয়ে আমি অবাক কারন
মামা রাস্তায় পড়ে আছে
চলবে.........
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন????আর গল্পে লাইক,কমেন্ট করুন,আর চাইলে Add হতে পারেন
#অহংকারি_মামাতো_বোন
#লেখক_অন্তর
পর্ব : ৩
মামা রাস্তায় পড়ে আছে কিন্তু কেউ যাচ্ছে না, আমি দোড়ে মামার কাছে চলে যাই,সেখানে গিয়ে একটা গাড়ি দাড় করাই আর মামাকে গাড়িতে উঠাই সাথে মামার কিছু ব্যাগছিলো সেটা নিয়ে সোজা হস্পিটালে চলে যাই,তারপর ডাক্তারকে ডাক দি,ডাক্তার আর কম্পাউন্ডার এসে মামাকে স্ট্রেজার করে মামাকে Icu তে নিয়ে যায়,তারপর ডাক্তার এসে আমাকে বলে
ডাক্তার : ওনার অনেক রক্ত ঝরে গেছে তারাতারি ২ব্যাগ B+ রক্তের যোগার করুন না হলে রোগিকে বাচানো যাবে না
আমি : আমার রক্তের গ্রুপ B+ আপনি আমার রক্ত নিন
ডাক্তার : তাহলে তারাতারি আমার সাথে আসুন,তারপর ডাক্তারের সাথে গিয়ে রক্ত দি,রক্ত দেওয়াতে আমার শরীর অনেক দূবল হয়ে পড়ে তাই কিছুক্ষন রেষ্ট নি,তারপর ডাক্তারের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করি
আমি : রোগির এখন কি অবস্থা?
ডাক্তার : সময় মতো রক্ত দেওয়াতে এই যাত্রায় রোগি বেচে গেনেল,তবে এখনো ওনার জ্ঞান আসে নাই,আপনি কি ওনাকে চিনেন
আমি : না(মিথ্যা বললাম), আসলে আমি উনাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলাম তাই উনাকে নিয়ে আসলাম,
ডাক্তার চলে যায় আর আমি মামার সব ব্যাগ তার কেবিনে দিয়ে আসি, হঠাৎ মামার মোবাইলে ফোন আসে, ফোন মানহা করছে, আমি রিসিব করি
মানহা : আব্বু কোথায় তুমি? কখন আসবা?
আমি : আপনার বাবা এক্সিডেন্ট করছে তারাতারি ******** হস্পিটালে চলে আসুন আর **** কেবিন যান বলে ফোন কেটে দি,তার ১০ মিনিট পর তারা আসে, আমি লুকিয়ে দেখছিলাম যখন তারা কেবনে প্রবেশ করে আমি সাথে সাথে চলে যাই হস্পিটালের বাহিরে, বাহিরে আসার আগে মামার ফোন তার ব্যাডে রেখে আসি,এখন রক্তাত্ত জামা নিয়ে বাড়ি যাওয়া যাবে না, তাই মলে চলে গেলাম,সেখান থেকে একটা টি-সার্ট নিয়ে পড়ে নিলাম যেতুহু এক্সসিডেন্টটা মলে কাছেই হইছে আর অনেক আমাকে দেখছে তাই আমার জামায় রক্ত দেখার পরেও তারা আমাকে কিছু করে নাই,বরং রোগির অবস্থা জিজ্ঞেস করতেছে,এরপর বাড়ি চলে যাই,বাড়ি গিয়ে
আম্মু : কিরে টি-সাটটা কবে নিলি সুন্দর তো
আমি : আরে নিছিলাম অনেক আগে আজ বের করে পরছি,
তারপর নাস্তা করে পড়তে বসি,হস্পিটাল থেকে আসার সময় ডাক্তারের নাম্বারটা নিয়ে আসি, চিন্তা করলাম একবার কল করে জিজ্ঞেস করি এনার এখন কি অবস্থা,তাই ডাক্তারকে ফোন দি
আমি : হ্যালো ডাক্তার,
ডাক্তার : জি কে বলছেন
আমি : আমি আজকে এক্সিডেন্ট পেসেন্ট আনছি, আর রক্ত দিছি,ভুলে গেলেন নাকি?
ডাক্তার : ও আপনি, আপনাকে ওনারা খুজছে, দারান আমি কথা বলাই
আমি : আরে আরে আগে আমার কথা সুনুন
আমি কথা বলতে পারবো না, আপনি শুধু এতো টুকু বলুন রোগির এখন কেমন আছে
ডাক্তার : ভালো,কিন্তু কেন কথা বলবেন না,
আমি : না এমনেই, আর শুনুন আপনি বলবেন না যে আমি আপনাকে ফোন দিছি,আর রোগি কবে দিসচার্জ হবে একটু বলিয়েন,
ডাক্তার : ঠিক আছে,বলে ফোন কেটে দি,তারপর পড়ায় মনোযোগ দি,পড়তেছি হঠাৎ এক Unknown নাম্বার থেকে ফোন আসে, আমি তো ভয় পেয়ে যাই কোনো ডাক্তার আমার নাম্বার দিয়ে দেয় নাই তো,ভয়ে ভয়ে ফোন রিসিব করলাম,
আমি : হ্যালো
অপরপাশ : হ্যালো, অন্তর আমি স্নেহা
আমি : ওহ স্নেহা তুমি?
স্নেহা : হ্যা কেন অন্য কেউকে এক্সপেক্ট করছো নাকি?
আমি : মনে করছি,বন্ধুরা ফোন দিছে
তারপর স্নেহার সাথে কথা বলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি,
সকালে বার্সিটির দিকে চলে যাই, যেতে না যেতেই লিপি আমাকে ধরে(লিপি হচ্ছে আমার আর মানহার ক্লাসমেট, তবে মানহার বান্ধবী, সময় মানহার সাথে থাকে)
লিপি : বাহ তুমি তো নিজেকে লুকিয়ে রাখতে ভালোই পারো
আমি : আ আ আ মি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারি মানে?
লিপি : কাল তুমি হস্পিটালে মানহার বাবাকে নিয়ে যাওনি, লিপির কথা সুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম
চলেবে...............
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন ??,আর গল্পে লাইক,কমেন্ট করুন আর চাইলে Add হতে পারেন?
#অহংকারি_মামাতো_বোন
#লেখক_অন্তর
পর্ব : ৪
লিপির কথা সুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম,
সে কি করে যানলো আমি মানহার বাবা মানে মামাকে হস্পিটালে নিয়ে গেছি
লিপি : আমি জানি তুমি কি ভাবছো,এটাই তো আমি কিভাবে যানলাম,আমিও হস্পিটালেছিলাম আমি দেখছি তুমি মানহার বাবাকে নিয়ে হস্পিটালে আসছো,এবং মানহার বাবার জন্য রক্ত ও দিছো,তারপর তার খেয়াল ও রাখতেছিলে, আমি মানহাকে ফোন দিতেছিলাম কিন্তু ফোন বিজি বলতেছিলো,তারপর দেখলাম তুমি মানহার বাবার ফোন কার সাথে কথা বলতেছিলে,তার কিছুক্ষন পরে মানহা আর মানহার মা আসে তুমি লুকিয়ে গিয়েছিলে আর দেখতেছিলা, তারা কেবিনে প্রবেশ করা মাত্রই তুমি সাথে সাথে তুমি হস্পিটাল থেকে বের হয় চলে যাও
আমি কি বলবো বুঝতে পারতেছিলাম না,এ আমার সত্যিটা যেনে গেছে এখন কি করি,তারপরে বললাম
আমি : তুমি কি হস্পিটালেছিলা?
লিপি : হ্যা আম্মুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছি,আমি এটা বুঝি না যারা তোমাদের সহ্য করতে পারে না তারপরেও তাদের তুমি এতো খেয়াল রাখো কেন?
আমি : মনুষত্তের জন্য, আমি জানি তাদের মধ্যে মনুষত্ত নেই,কিন্তু আমার পরিবার আমাকে শিখাইছে যে কোনো মানুষকে বিপদে দেখলে তাকে সাহায্য করতে, আর শুন মানহাকে এই সব বলিও না
লিপি : কেন? এইটা বলা দরকার আছে আর তাছাড়াও মেয়েটা অনেক অহংকারি হয়ে উঠছে,
আমি : দেখ তুমি যদি এই সব বল তাহলে মানহা ভাব্বে তুমি আমার সাথে বন্ধুত্ব করে আমার প্রশংশা করতেছো আর নাহলে এটা ভাব্বে এই এক্সিডেন্ট আমি করাইছি তাদের তাদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য,বুঝতো বড়লোক উপকারকারীকে অপকারকারী আর অপকারকারীকে উপকারকারী বানাই দেয়
লিপি : কিন্তু......
আমি : কোনো কিন্তু না,প্রমেস করো।এই কথাটা কেউকে বলবা না
লিপি : ঠিক আছে প্রমেস করলাম কিন্তু সে তোমাকে প্রতি নিয়ত ইন্সাল্ট করেই যাবে,
আমি : আমার অসুবিধা নাই তাতে, আর একটা কথা তুমি যানো এটা আসলে কোনো এক্সিডেন্ট না,
লিপি : মানে
আমি : আসলে সৈকতকে তো চিনো
লিপি : হ্যা
আমি : এটা ও করছে, ও চাইছে মামাকে মেরে ফেলে, মানহাকে ব্যবহার করে তাদের সম্পত্তি হাতিয়ে নিবে
আমার কথা শুনে লিপি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে
আমি : আমি জানি তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না তাহলে এই ভিডিওটা দেখ,একটা ভিডিও দেখালাম, ভিডিওটা আসলে বার্সিটি সময় করছি,তখন সৈকত হারামজাদা চায়ের দোকানে এই সব বলতেছিলো,হারামজাদা মনে করছে সে পাপ করবে আর ধরা খাবে না,
ভিডিও দেখে লিপি পুরাই সক
লিপি : ছেলেটাকে আমি আগেও সন্দেহ করছিলাম,একটা ছেলে কিভাবে এতো ভালো হতে পারে, হ্যা ভালো হওয়াই যাই কিন্তু এতোই ভালো সেজে বসে আছে কি আর বলবো
আমি :হ্যা,এইটাই সৈকতের সত্য
আর আমাদের মধ্যে যা কথা বার্তা হইছে সেটা কেউ কে বলবা না,
লিপি : ঠিক আছে
আমি : আর শুন পারলে মানহাকে
সৈকত থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করিও
বলে চলে আসতে যাবো তখন লিপি ডাক দেয়,
লিপি : অন্তর ভিডিওটা আমাকে দাও, নাহলে মানহার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে,
তাই ভিডিও টা দিয়ে দি,
আমি : তবে একটা শর্ত আছে, মানহা যদি জিজ্ঞেস করে ভিডিও কোথায় পাইছো, অন্য কিছু বলবা আমার কথা বলবা না,বলে চলে আসলাম, আর ঐদিকে লিপি গিয়ে মানহাকে ভিডিও দেখায়, মানহা প্রথমে বিশ্বাস করে নাই, পরে সে পুরাই ভেঙ্গে কারন সে সৈকতকে খুব পছন্দ করতো,আসলে পছন্দ করার কারন
হচ্চে সৈকতের উপরের অংশটা দেখে, কিন্তু সালায় কতো বড় টাইপের হারামী,
মানহা সৈকতকে খুজতে লাগে কিন্তু সে আজ আসে নাই,আর এই দিকে আমি ক্লাসে চলে যাই, ক্লাসেও মনোযোগ যাচ্ছিলো না,তবুও কোনো রকম ক্লাস করি,
ক্লাস শেষ করে আড্ডা খানায় চলে যাই,
সেখানে গিয়ে
মেঘা : কিরে তোরে একটু অন্য রকম লাগতেছে কেন?
আমি : কই আমি তো ঠিকি আছি,
তানভির : সালা তোরে আমরা প্রতি দিনি দেখি,কি হইছে বলতো,
আমি : আরে আজব একটু শরীর খারাপ তাই এমন দেখাচ্চে ,থাকবাদ দে তো,
তারপর হাসিখুশি ভাবে সবার সাথে আড্ডা দেই,
উপরে সবার সাথে ভালোভাবে আছি কিন্তু ভিতরে মানহার জন্য টেন্সেন করতেছি কারন সৈকত ছেলেটা মোটেও সুবিধার না,কারন আমি যতোটুকু যান্তে পারছি সৈকত ছেলেটা আগেও অনেক মেয়ের সাথে এই রকম ফ্লাট করে তাদের থেকে টাকা নিয়ে ধোকা দিছে,আল্লাহ জানে এখন সে মানহার সাথে কি করে তবে আমাকে নজর রাখতে হবে,
আড্ডা দেওয়া শেষ করে বাড়ি চলে যেতে নি তখনি স্নেহা আটকায়
স্নেহা : কই যাস,
আমি : আজব বাড়ি যাবো,
স্নেহা :না চল রেষ্টুরেন্ট যাবো,
আমি : আমি পারমু না টাকা নাই আমি গরিব
স্নেহা : তোর থেকে টাকা নাই তাই না,দারা বলে পকেট থেকে আমার ওয়ালিট বের করে নেয়,
আমি : ঐ ছেমড়ি আমার ওয়ালিট দে,
স্নেহা আমার কথা না সুনে ওয়ালিট খুলে নেয় ৩ হাজার টাকাছিলো,সব নিয়ে নিছে, তারপর আমার ওয়ালিট আমাকে দেয়
স্নেহা : ধর তোর ওয়ালিট
আমি : এটা আর দিলি কে নিয়ে যা, আমার লাগবে না,
স্নেহা : তাহলে মিথ্যা বললি কেন,তুই আসলেই কিপটা,
আমি : ঐ তুই আমারে কিপটা বললি চল তোরে এখনি রেষ্টূরেণ্ট এ নিয়ে যামু,উঠ বাইকে, তারপর বাইক নিয়ে রেষ্টুরেন্ট এ যাই, গিয়ে
আমি : কি খাবি বল?
স্নেহা : দোস্ত একা খেলে পেটে ব্যাথা হবে!
আমি : আরে আমি আছি তো
স্নেহা : আরে আমাদের কিছু ফ্রেন্ড্রে আসতে বলছি
আমি : ঐ ছেমড়ি তুই খাইতে পাস না আবার ফ্রেন্ডরে বলা লাগে
স্নেহা : এই টাকা তোরে বাসায় নিতে দিবো না,তাই ফ্রেন্ডদের আসতে বলছি,
তারপর আমাদের ফ্রেন্ড আসলো তারা আর কেউ না মেঘা, আনিকা,তানভির আর রাহিব,