এই ছেলে এখানে কি করছো? (পিছন থেকে মিষ্টি একটি কন্ঠ ভেসে আসলো)
(পিছনে তাকাতেই দেখি) :- পুলিশ!!! ও সরি
#পুলিশিনী হবে
(আমি ছোট বেলা থেকেই পুলিশকে ভয় পাই)
:-এতো রাতে এখানে কি তোমার!! (পুলিশিনী)
:-মানে হইছে কিকককক,,,,,, আলাউদ্দিন জীবন বাঁচাতে চাইলে দেঁ দৌঁড়ড়ড়ড়ড়ড়......... (একা একা বলেই দৌড়ড়ড়ড়)
:-ঔই দাঁড়া বলছি!! দাঁড়া!! (পুলিশিনীও আমার পিছু পিছু দৌড়াতে লাগলো)
:-আল্লাহ রক্ষা করো,,,দৌড়া আলাউদ্দিন,,, জীবন বাঁচাতে চাইলে দৌঁড়া!!
:-দাঁড়া বলছি,,,নাহলে গুলি করবো কিন্তু!!
:-উউউউউউ মা!! গুলি করবে! মাগে তোমার ছেলেকে বাঁচাও (আমি সর্বোচ্চ শক্তিতে দৌড়াচ্ছি,,,আমার মনে হচ্ছে যদি আমি অলেমপিক এ দৌড় দিতাম তাহলে গোল্ড মেডেল পেতাম)
:-আমি গুলি করতে বাধ্য হবো কিন্তু (শা*লী এখনো পিছু পিছু আসতেছেই,,)
(ভাই যারা পুলিশের দাবাড় খাইছেন,,তারা বুঝবেন কেমন লাগে,, যখন পুলিশ দৌড়ানি দেয়,,,যদি আবার সে পুলিশিনী হয় তাইলে কেমন লাগে আমি বুঝতেছি)
পিছু পিছু দৌড়ে দৌড়ে আসতেছেই,,,শা*লীর কি কিলান্তি লাগে না,,,)
:-আল্লাহ গো এই পুলিশিনী কে আমার পিছু থেকে দূর করো,,,তাহলে আমি শুক্রবারে ৪টাকার বাতাসা দিয়ে মিলাদ দেবো (মনে মনে বললাম)
:- (পুলিশিনী অনেক কাছে চলে আসছে)
(সামনে একটা মোড়,,আর পুলিশিনী কাছেও এসে গেছে!!
লজ্জা লজ্জা ছেলে হয়ে মেয়ের সাথে দৌড়ে পাড়ছি না)
মেয়েদের সম অধিকার দিয়ে অনেক বড় ভুল হয় গিছে,,,,,শা*লী কত জোড়ে দৌড়াচ্ছে!!
:-সামনে মোড় থেকে যেই ঘুড়তে যাবো,,,আমার জুতা ছিলিপ খেয়ে রাস্তার মধ্যে পড়ে গেলাম,,,
:-আল্লাহহ গোগোগোগোগো,,,আমার পাছ ভেঙে গেছেরে (আমি)
:-ঔই শা*লা এখন কোথায় যাবি! (পুলিশিনী আমার কাছে এসে কোলার ধরে বললো)
:-উরে মারেরেরেরে,,,আমার পাঁ ভেঙে গেলো রেেেরেরে!!
:-ঔই শা*লা চুপ কর!! চিল্লাবি না!! তোর পাঁ ভাঙেনি,,, ছুলে গিছে!!
(পাঁয়ে তাকিয়ে দেখি,,,ও তাই তো,,ভাঙেনি ছুঁলে গিছে)
:-এখন বল,,,তুই আমাকে দেখে দৌড়াচ্ছিলি কেনো!!
:-আমি কিছু করিনি,,আমাকে ছেঁড়ে দিন,,,আমাকে মারবেন না,,,জেলে নিবেন না আমাকে!! (কান্না করে)
:-ঔই এতো কথা বলিস কেনো? চুপ কর? (ধমক দিয়ে বললো)
:- (গালে হাত দিয়ে চুপ হয়ে গেলাম,,,,পুলিশকে আমি ছোট বেলা থেকেই অনেক ভয় পাই)
:-এখন বল,,আমাকে দেখে দৌড়াচ্ছিলি কেনো? (পুলিশিনী)
:-আমিম পুলিলশশকে অনেককক ভয়য পাইই (ভয়ে তোতলাতে তোতলাতে বললাম)
:-কেনো রে,,,তুইইই কি চোর যে পুলিশকে ভয় পাস?
:-পুলিশরা অনেক বদ মেজাজি হয়!
:-ঔই কি বললি!!
:-কিছু না কিছুছু না! (ভয়তে)
:-এখন বল তুই রাত ১১টায় রাস্তায় কেনো? কি খারাপ মতলবে বের হইছিস বল?
:-বিশ্বাস করুন,,আমার কোন খারাপ মতলোব নেই,,, আমি তো টিউশনি করে বাসায় যাচ্ছিলাম!!
:-ঔই এতো রাত্রে কিসের টিউশনিরে!!
:-আমার স্টুডেন্টের মা,,,আমার না খাইয়ে ছাঁড়ছিলো না বলে,,এতো দেরি হয়ে গিছে! বিশ্বাস করুন আমি কোন চোর না
:-হুমমম,,,বুঝলাম!! তো তুই পুলিশকে ভয় পাস কেনো?
:-আসলে যখন আমি ক্লাস ৩য় শ্রেণীতে পড়ি তখন,,দেখছিলাম আমাদের বাসার পাশের বাড়ির আঙ্কেলকে পুলিশ অনেক মেরেছিলো!! তখন থেকে ভয় পাই!!
:-কেনো মারছিলো?
:-উনি নেশা করতো বলে!!
:-তো তুইও কি নেশা করিস!!
:-উমা ছি্ ছি্ কি বলেন? আমি ওরকম না!!
:-হুমমম,,,,বুঝলাম!! তোর নাম কি?
:-জ্বি আমার নাম আলাউদ্দিন
:-হুমম,,,এখন বাসায় যা!! বেশি রাত করে রাস্তায় তোকে যেনো আর না দেখি!!
:-.....(আমারে আর পায় কে,,,,খুব তারাতারি উঠে বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগলাম,,,,)
::::
:::
অনেক বাঁচা বাঁচছি,,,,আর একটু হলেই আমার দম বেড় হয়ে যেতো!!
উফ্ফ্ফ্,,,কি ভনায়ক পুলিশ!!
কি দৌড়ানি দিছে আমারে, জীবনেও এরকম দৌড়ানি খাইনি!!
দেখতে তো মাশাআল্লাহ,,,,,কিন্তু কি ভয়ানক!
এতো সুন্দর চেহারা নিয়ে পুলিশ হলো কেনো? নার্স বা ডাক্তার হতো,,,,কত সুন্দর ভালো হতো তাহলে,,,,সেবা করতো!! উফ্ফ্,,,,সুন্দরী মেয়ের হাতে সেবা!! উফ্ফ্ফ্,,কি যে ভালো হতো!
কিন্তু শা*লী পুলিশিনী হইছে!!
:::
:::
উফ্ফ্ফ্,,,অনেকটা ছুঁলে গিছে!! পুড়তেছে!!
কোন মতো ঘুরাতে ঘুরাতে বাসায় গেলাম!!
:-কিরে বাবা তোর পাঁয়ে কি হইছে? খোড়াচ্ছিস কেনো? (মা)
:-মাহ্হ্,,,তোমার বাচ্চাটাকে বাঘেনী দৌড়ানি দিছে (আমি)
:-কিহ্হ্হ্,,,,বাঘ!! বাঘ আসলো কোথা থেকে!! ( অবাক হয়ে মা)
:-আরে আম্মু!! পলিশ দৌঁড়ানি দিছে!!
:-কিহ্হ্,,পুলিশ!! কিন্তু কোন?
:-আমি রাস্তা দিয়ে হাঁটতেছি,,,আর আমাকে ডাকতেছিলো পুলিশ আর আমি পুলিশকে দেখেই দৌড় দিছি!!
:-তুই দৌড় দিলি কেনো?
:-মা তুমি তো জানোই,, আমি পুলিশকে ভয় পাই!!
:-হইছে হইছে,,,ইসসসস কতটা ছুঁলে গিছে!! আয় মেডিসিন লাগায় দিচ্ছি!!
:-ওকে দেও!! (আমি)
::
::
মা মেডিসিন লাগায় দেওয়ার পর,,,একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম,,,কিন্তু পুড়ার চোটে ঘুম আসছে না!!
মেয়েটার চেহারা বার বার মুখের সামনে ভেসে উঠতেছে!!
এতো সুন্দর দেখতে,,,কিন্তু এতো রাগী কেনো!!
রাগী বা যাই হোক,,,দেখতে কিন্তু একদম পরী!!
এই,, আমি এতো মেয়েটিকে নিয়ে ভাবতেছি কেনো?
তাহলে কি আমি পুলিশিনীর উপর ক্রাস খেলাম,,,
নাহ্হ্,,কখনোই না!!
পুলিশিনীর উপর ক্রাস খেলে আমার জীবন তেজপাতা হয়ে যাবে!!
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম!!
::
::
সকালে ঘুম।থেকে উঠে পাঁ টাকে সোজা করতে পারছি না ব্যাথায়!!
শীতের সময় ছুঁলছে,,,এতো সহজে কি যাবে ব্যাথা!!
কোন মতো বিছানা থেকে বাইরে আসলাম!!
অনেক শীত পড়তেছে,,,,
গায়ে চাঁদোয়া দিয়ে,,বাইরে মামার দোকানে গেলাম!!
::
::
মামার দোকানের পাশে দেখি,,,সব হারামিরা বসে আছে!! মানে আমার বন্ধুরা!!
খোড়াতে খোড়াতে ওদের কাছে গিয়ে রোদে দাঁড়ালাম!!
:
:-কিরে মা,,তোর পাঁয়ে কি হলো!! (নীলয় আমার বন্ধু)
:-আর বলিস না,,,কালকে রাত্রে পুলিশের দৌড়নি খাইছি!! (আমি)
:-কিহ্হ্,,,কিন্তু কেনো? (কাব্য,,আমার আরো একটি বন্ধু)
:-ঔই যে একটাই কারণ!! (তারপর সব ওদের খুলে বললাম)
:-
(শুনার পর সব শালারা হাঁসতেছে)
:-ঔই,,হাঁসবি না!! চাঁ খাওয়া!! (আমি বিরক্ত হয়ে)
:-মামা,,,তিনটা চাঁ দেও? ( নীলয়)
:-আচ্ছা মামা!! (মামা)
:-তো বন্ধু,,,পুলিশিনী দেখতে কেমন ছিলো? (কাব্য)
:-হো,,বন্ধু কেমন দেখতে রে!! (নীলয়)
:-পরীর মতো সুন্দর রে দোস!! (আমি)
:-কিরে মামা,,,ক্রাস খাইছিস নাকিকি পুলিশিনীর দৌড়ানি খেয়ে (নীলয়)
:-ওই শা*লা,,, চুপপ করবি!! দেখতে সুন্দর হলে হবে কি!! রাগলে যে ভয়ানক লাগেরে ভাই!! (আমি)
:-ঔই তুই আমাদের থানার নতুন এসিপির কথা বলছিস নাতো!! (কাব্য)
:-এই যে মাইয়া খোরের খবর,শোন এখন? (নীলয়)
:-কি জানি তাতো জানি না,,,,কিন্তু তুই জানিস নাকি পুলিমশিনীকে !! (আমি)
:-আরে বন্ধু,,,, এলাকার প্রত্যকটা মেয়ের খবর আমার কাছে থাকে!! তুই জানিস না!! (কাব্য)
:-শা*লা মেয়ে খোর,,তুই যে পুলিশের খবর রাখিস জানতাম না!! (আমি)
:-আচ্ছা,,,তুই চল তোর ক্রাসের বাঁসার সামনে নিয়ে যাই!! আমাদের এলাকাতেই থাকে!! (কাব্য)
:-ঔই শালা আমার ক্রাস না!! (আমি)
:-আচ্ছা না হলো,,,চল ঘুরে আসি!! (কাব্য)
-যদি আবার দৌড়ানি দেয়? (আমি)
:-আরে আমাদের দেখবে নাকি চল!! (কাব্য)
::
::
তারপর সকলে মিলে পুলিশিনীটার বাসার সামনে গেলাম!!
পুলিমশিনীর বাসার সামনে যেতেই দেখি,,,
ওই কালকে রাত্রের পুলিশিনী দোতালার বারান্দাতে তার চুল আচড়াতে আচড়াতে বাইরে আসছে!! মনে হয় কেবল গোসল করলো!
:::
:::
ভাই মাথা নষ্টকর লাগতেছিলো,,,,,একদম তাজা পরী!!
ক্রাস আমি খেয়ে গেছি ভাই,,,,অপূর্ব দেখতে রে!!
একদম সাদা পরী!!
:-বন্ধু,, ঔই যে তোর পুলিশিনী!! (কাব্য)
:-মামা,,,,,কালকে রাত্রের থেকে ১০০গুণ সুন্দর লাগতেছে মামা,,,,আমি ক্রাস খেয়ে গেছি মামা!!
:-হুমমম,,,মা কড়া দেখতে!!
::
::
আমি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক নজরে পুলিশিনীর উপর তাকিয়ে আছি!!
হঠাৎ,,,পুলিশিনী আমার দিকে তাঁকালো!!
আর আমি ভয়তে চোখ সরাতে গিয়ে রাস্তার উপর পরে গেলাম,,,,
:-আহ্হ্হ্হ্হ্,,,(ছুঁলে যাওয়া জায়গায় ব্যাথা পেলাম)
(উপরে তাঁকিয়ে দেখি,,,পুলিশিনী আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,আর হারামি গুলো দৌড়ে স্থান ত্যাগ করতেছে!)
:-পুলিশিনী রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে,,,
:-এই দেখে আমি কোন মতো উঠে দাঁড়ায়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে দৌড় লাগলাম!!
::
::
::
<<ভুলত্রুটি হলে মাফ করবেন,,,সারা পেলে পরের পর্ব লিখবো>>
:;
:;
::
#চলবে
::
::;
::
কেমন হলো জানাবেন!! ধন্যবাদ
পুলিশিনি যখন ক্রাশ
???
,, পিচ্চি লেখক, ^_^
পর্ব :- ২ & ৩
'"
পুলিশিনী রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে ??,,,
..
:-তা দেখে আমি কোন মতো উঠে দাঁড়িয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে দৌড়াততে লাগলাম!! ?♂?♂?♂
::
::
এক দৌড়ে বাড়িতে চলে আসছি!!
উফ্ফ্ফ্,,,কি রাগি মাইরি!
মনে হচ্ছিলো,, চোখ দিয়েই খেয়ে ফেলবে!!
দেখে তো ফেলছে পড়ে না জানি কি করে!!
নাহ্,,খুব সাবধানে থাকতে হবে!! ?
কিন্তু ক্রাস তো খেয়ে গেছি,,,এতো সুন্দর পরী যে কেও ক্রাস খাবে!
::
আমি জানি #পাঠক ভাইরাও ক্রাস খাইছে ?? কি খাইছেন না? জানি সকলেই খাইছে!! পুলিশিনীর পিক দেখে! ??
::
কিন্তু ভাই পুলিশিনীটা আমার!!
আমি ক্রাস খাইছে এতে আমার কোন দোষ নেই বললেই চলে,,,কারণ সুন্দর জিনিস দেখে সকলেই ক্রাস খায়,,,
যদি আমি ক্রাস খেয়ে দোষী হই,,,তাহলে সব পাঠকরাও দোষী??
::
:;
যাই হোক বাসায় এসে,,,
:-মা,,মা,,,কোথায় তুমি? (আমি)
:-আমি রান্নাঘরে!! কি হইছে? (মা)
:-খুব খিদা লাগছে খেতে দেও? (আমি)
:-তুই বসেক! আমি খাবার আনতেছি!! (মা)
:-তারাতারি আনো,,কলেজ যেতে হবে তো? (আমি)
::
:-আরে আনছি আনছি!! একটু সহ্য হয় না!! (মা টেবিলে খাবার এনে)
:-ওয়াও,,,,ডিম ভোনা দারুণ?? (ডিম ভোনা আমি অনেক লাইক করি)
:-হুমম,,,এখন খাবার খেয়ে আমাকে উদ্ধার করো!! (মা)
:-খাবো মানে!! খাইয়ে দেও!! জানো না আমার হাত ছুঁলে গিছে (আমি)
:-আচ্ছা!! (মা)
(তারপর মা খাবার খাইয়ে দিলো!! খাবার খেয়ে সোজা কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম)
::
::
ওও হ্যা,,,,আমার তো বাইক আছে!!
বাইক নিয়ে যাই কলেজে,,,,কিন্তু পোলালা যেতে হয়!
ভাই লাইসেন্স নেই,,হেলমেট পরি না!! ভালো লাগে না হেলমেট পড়তে!!
আপনারাই বলুন,,,হেলমেট পরলে কি সব মেয়েরা আমার সুন্দর চেহারা খানা দেখতে পারবে ?।
::
::
তাই কিছু চিন্তা না করে,,,বাইক নিয়ে বের হলাম!
রাস্তায় দেখি,,নীলয় শয়তান দাঁড়িয়ে আছে!!
:-ভাই নিয়ে চল? (নীলয় আমাকে থামিয়ে)
:-নেবো না কুত্তা!! তোরা সকলে আমাকে রেখে চলে আসছিলি কেনো? (আমি)
:-ভাই,,,ভাবি যে রাগি মাইরি,,যদি ধরে জেলে চালান করে দিতো!! (নীলয়)
:-ভাবি বললি,,,দারুণ লাগছে তো শুনতে!! আরো একবার বল!! তাইলে তোকে নেবো!! (আমি)
:-পুলিশিনী আমার ভাবি মানে তোর বউ!! (নীলয়)
:-ওহো,,বউ!! হেব্বি লাগছে!!
কিন্তু ভাই এমন বদমেজাজি কেনো? ? (হতাশ হয়ে আমি)
:-হাতশ হোস না! সব ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে!! (নীলয়)
:-হুমম,,,,ক্রাস তো খাইছি!! ঠিক তো হতেই হবে!! (আমি)
:-হুমম,,,,এখন চল!!
:-হুমম!!
(তারপর আমি আর নীলয় কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলাম)
::
:;
আমরা প্রত্যেক দিন যেই রাস্তা দিয়ে যাই আজও সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম,,,
আসলে ঔই রাস্তায় কোনদিনন পুলিশ দাঁড়ায় না!!
::
:;
কিন্তু আজ সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়,, একটি মোড় ঘুঁড়তেই দেখি পুলিশের গাড়ি,,আর ৪-৫টা পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে!!
::
:;
পুলিশকে দেখে যেই ঘুড়তে যাবো,,,পিছন থেকে কোথা থেকে পুলিশ এসে হাঁজির!!
::
::
পারলে রিকোয়েস্ট দিয়ে বন্ধু করে নিবেন,,, ❤️
::
::
::
যেই পিছু ঘুড়ে পালাতে যাবো,,,তখন কোথা থেকে আরো দুটি পুৃলিশ এসে,,ধরলো!!
:-কোথায় পালাচ্ছো বাচা,,,চলো ওই দিকে চলো!! (পুলিশ)
:-বাবা গো,,,আমি কিছু করিনি,, আমাকে ছেঁড়ে দিন,,এটি আমার হোন্ডা না!! ??? (খুব ভয় করেতেছে)
:-তোমার হোন্ডা না,,,চল সামনে!! (পুলিশ)
:-স্যার,,,আমাদের ছেঁড়ে দিন আমরা স্টুডেন্ট!! (নীলয়)
:-মাগো আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো,,,বাঁচাও আমাকে ???? (আমি কান্না শুরু করে দিছি)
:-ওই চুপ করবি,,নাকি জেলে চালান করে দেবো? (পুলিশ)
:-বন্ধু তুই থাম,,আমি দেখতেঝি!! (নীলয় বললো)
:-.....আর আমি চুপ করে থাকলাম!! ???
:-স্যার একটু এদিকে আসেন? (নীলয় একটি পুলিশকে সায়িদে ডাকলো)
:-কেনো? (পুলিশ)
:-আরে স্যার আসেন না!! (নীলয়)
:-ওকে!! (পুলিশ)
::
::
সাদিয়ে গিয়ে নীলয় স্যারকে কি বলছে বুঝছি না,,,,
কিন্তু কিছুক্ষণ পর,,,
:-ঠাসসসস,,,ঠাসসসস,,,,?? (নীলয়কে কসে কসে দুইটা থাপ্পড় মারলো)
:-শা*লা পুলিশকে ঘুস দিস!! চল শালা আজ জেলে!! ?? (পুলিশ রেগে গিছে)
:-???? (আমি ভয়ে পেন্ট নষ্ট করে ফেলবো প্রায়)
:-কি হইছে? (অন্য পুলিশ)
:-আরে বলো না,,শা*লা ঘুস দিচ্ছে!! (পুলিশটি)
:-কিহ্হ্,,, দুটো কেই জিপে ওঠাও? ( পুলিশ)
:-স্যার,,,আমাকে ছেঁড়ে দিন,,,আর জীবনেও হোন্ডা চালাবো না!! ??? (এসব বলে কান্না করতে থাকলাম কিন্তু আমাদেরকে জেলে নিয়েই গেলো)
(সব এই নীলয় শা*লার জন হইছে,,,ও ঘুস দিতে না চাইলে,,আমাদের কেস লিখে ছেঁড়ে দিতো,,থানায় আনতো না!!
আল্লাহই জানে,,এখন কি হবে! থানায় তো ঔই পুলিশিনীটা আছে!!
সকালে যা করছি,,,তার জন্য না জানি কি করে!! ???
:::
::
তারপরে আর কি আমাদের জীপে উঠিয়ে থানায় নিয়ে গেলো!!
আমি ভয়তে অর্ধেক মরে গেছি!!
::
::
থানায় নেওয়ার পর,,
:-স্যার,,আমাকে ছেঁড়ে দিন প্লিজ! ?? (আমি)
:-এই শা*লা তো বেশি জ্বালাচ্ছে! (একটি পুলিশ)
:-এটাকে মেডামের রুমে পাঠা!! (অন্য পুলিশ)
:-উহ্হ্হ মাগোগোগোগো ???,,আমি মেডামের কাছে যাবো না,,আমাকে জেলের মধ্যে দিন!! (আমি)
(তারপর জোর করে আমাকে মেডামের রুমে পাঠালো,,,)
:::
::
মেডামের রুমে যাওয়ার পর,,,
:-মেডাম এই ছেলেটি কান্না করে করে মাথা নষ্ট করে দিলো? কি করবো মেডাম? ( পুলিশ)
(তখন মেডাম আমার দিকে তাঁকালো,,,,তাঁকানোর সাথে সাথে আমি মাথা নিচু করে ফেললাম)
:-ঔই তুই রাত্রের ওই ছেলেটি না? (মেডাম কিছুটা রাগি গোলায়)
:-আপু,,, আমাকে মাফ করে দিন, আর জীবনেও আমি হোন্ডা চালাবো না!! ??? ( আমি)
:-ওই শা*লা,,আপু কেরে? মেডাম বল? (পুলিশটি)
:-তুই যাও, আমি দেখতেছি!! (পুলিশিনী উনাকে চলে যেতে বললো)
:-ওকে,,মেম!! (এই বলে চলে গেলো)
:::
::;
:-এখন কিভাবে বাঁচবি? সকালে আমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলি কেনো??
:-আপনাকে দেখার জননননননননন!!" ? এই না,,, না,,,, আমরা এমনিই হাঁটতে গিছিলাম!! ??? (আমি)
:-এমনিই না,,,পুলিশের কাছে মিথ্যা বলা!! ?? (উনার লাঠিটা আমার ঘাঁড়ে লাগিয়ে) আর একদিন যদি দেখি আমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে,,তাহলে মেরে হাঁড়গুলো গুড়োগুড়ো করে ফেলবো!! ??? (পুলিশিনী)
:-নাহ্হ্,,,আমি আর জীবনেও ওই গলিতে ধুকবো না ?? (কান্না করে)
:-ঔই কান্না থামাবি,,,নাকি জেলে ভোরে দিবো? ?? (ধমক দিয়ে)
:-.......? (আমি চুপ হয়ে গেলাম)
:-লাইসেন্স ছাঁড়া,,হেলমেট ছাঁড়া গাঁড়ি চালাচ্ছিলি কেনো? (পুলিশিনী)
:-আপু!! ভুল হয়ে গিছে আর জীবনেও করবো না!! হোন্ডা আর চালাবো না ?
:-ঔই কি বললি,,আমি তোর আপু লাগি? ?
:-উহ্হ্হ্হ্,,মা না,,,মেডাম মেডাম ??
:-হুমমম,,,,মনে থাকে জেনো? ?
..
(আমি একটু বুন্ধি করে বললাম,,
:-সারা জীবন মনে থাকবে? মেডাম আমাদের ছেঁড়ে দিন প্লিজ,,আমাদের আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে,,,প্লিজ ছেঁড়ে দিন? (আমি অনুরোধ করে)
:-হুমমম,,,,বুঝলাম!! তোর নাম কি জেনো? (পুলিশিনী)
:...শা*লী নামটাও মনে রাখে নি!! (মনে মনে বললাম)
:-ওই কি বললি!! ?
:-নাহ্ না,,,কিছু না,,,জ্বি আমার নাম#আলাউদ্দিন (আমি)
:-হুমমম,,,আর যে তোকে আমার চোখের সামনে না দেখি,,,,যদি আবারও এসে যাস কোন কারণে,,,তাহলে চালান করে দেবো? (পুলিশিনী)
(আমাকে আর পায় করে,,,যেই চলে আসতে যাবো,,,,তখন মনে পড়লো #পুলিশিনীর নাম তো জানি না,,,শালা যারে দেখে ক্রাস খাইছি তার নামও তো জানি না,,,
তাই দাঁড়িয়ে গেলাম)
:-কিরে দাঁড়ালি কেনো? (পুলিশিনী)
:-..আস্তে আস্তে পিছনে তাঁকিয়ে পুৃলিশিনীর বুকের উপর তাঁকালাম,,,,বুকে বেচের উপর নামটা লেখা আছে,,,,
নামটা কি জানেন? নামটা হলো #শুরুভি
::
:-ঔই কি দেখিস? ? (শুরুভি পুলিশিনী)
:-নাহ্হ্,,,কিছু না,, ? (এই বলে,, আমি আর নীলয় চলে আসলাম)
:::
:::
বাইরে আসার পর,,,
:-শালা তোর জন্য এতোকিছু হলো,,,তুই ঘুস দিতে গিছেলি কেনো? ?? (আমি নীলয়কে বললাম)
:-সরি দোষ,, ভুল হয়ে গিছে!! (নীলয়)
:-হুমমমম,,,,,,ঔই জানিস,,পুলিশিনীটার নাম কি? (আমি)
:-কিরে ভাই?
:-#শুরুভি এতো সুন্দর মধুর নাম,,,দেখতেও পরীর মতো,,,কিন্তু এমন কেনো?
:-ভাই,,,এরা মেয়ে জাতি,,,তাও আবার পুলিশ,,, বোঝা ওতো সহজ না!! (নীলয়)
:-তবে আমি এটুকু বুঝেছি,,,যে ক্রাস খেয়ে আমার জীবন তেজপাতা হয়ে গেলো ? ?
:-হুমমম,,,যা বলেছিস!! তবুও বন্ধু তোকে হার মানলে চলবে না,,,,তোকে পুলিশিনীকে পটাতে হবে!!
:-কিন্তু কিভাবে?
:-তোকে না খেঁয়ে দেয়ে পুলিশিনীটার পিছনে পড়ে থাকতে হবে!! (নীলয়)
:-শা*লা আমাকে মারার বুদ্ধি দিচ্ছিস? ??
:-আরে বন্ধু না,,,মেয়েরা পাগল তাইপের ছেলেদের পছন্দ করে,,,তারা চায় তাকে পাগলের মতো কেও ভালোবাসুক?
:-সত্যি চায় নাকি? (জানি না,,,মেয়েরা উত্তর দিয়ে