হাইব্রিড গাড়ি হলো এমন যানবাহন যা দুটি শক্তির উৎস, সাধারণত একটি অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিন (ফুয়েল) এবং একটি বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করে চলে। হাইব্রিড গাড়ি পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি জনপ্রিয় সমাধান হয়ে উঠেছে।
সুবিধা:
১. জ্বালানি সাশ্রয়ী: হাইব্রিড গাড়ি ফুয়েল এবং বিদ্যুৎ উভয়ের সংমিশ্রণে কাজ করে, যা ফুয়েলের ব্যবহার কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদে খরচ সাশ্রয় করে। ২. পরিবেশবান্ধব: ইলেকট্রিক মোটর ব্যবহার করার ফলে হাইব্রিড গাড়ি কম কার্বন নিঃসরণ করে, যা বায়ুদূষণ কমাতে সহায়ক। ৩. শব্দ কম: হাইব্রিড গাড়ির বৈদ্যুতিক অংশটি কম শব্দ করে, যা শহুরে এলাকায় শব্দদূষণ কমাতে সাহায্য করে। ৪. কম তাপ উৎপাদন: ফুয়েল-চালিত গাড়ির তুলনায় কম তাপ উৎপাদন করে, যা গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অসুবিধা:
১.উচ্চ খরচ: হাইব্রিড গাড়ির প্রাথমিক মূল্য সাধারণ গাড়ির তুলনায় বেশি, যা অনেকের জন্য একটি বাধা। 2. রক্ষণাবেক্ষণ: হাইব্রিড গাড়ির প্রযুক্তি জটিল হওয়ায় এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি হতে পারে। ৩. ব্যাটারি নির্ভরতা: দীর্ঘ যাত্রায় বা উচ্চ গতিতে গাড়ির বৈদ্যুতিক মোটরের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এবং তখন ফুয়েলের উপর নির্ভরশীল হতে হয়।
সব মিলিয়ে, হাইব্রিড গাড়ি পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও এর খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।