পিচ্চি সন্তানের সিনিয়র বউ ????

অজান্তার স্বামী মনিরুল ইসলাম বউকে নিয়ে আজ বইমেলা দেখতে বের হইছে,, অজান্তা লাল শাড়ী, লাল চুড়ি চোখে কাজল পড়ে স্বা?

অজান্তার স্বামী মনিরুল ইসলাম বউকে নিয়ে আজ বইমেলা দেখতে বের হইছে,, অজান্তা লাল শাড়ী, লাল চুড়ি চোখে কাজল পড়ে স্বামীর কাধে হাত রেখে বাইকে চেপে বসে হাসছে অজান্তা..

 

অজান্তা আর তার স্বামি কিছুক্ষণের মধ্যেই বইমেলাই চলে এলো,, অজান্তা ঘুরাঘুরি করছে ওর স্বামীর সাথে.. হঠাৎই নজর গেছে নিলীমার উপর,, নিলীমাকে দেখে এগিয়ে গেলো,,

 

অজান্তাঃ- নিলীমা..

নিলীমাঃ- হ্যা কিন্তু কে আপনি..

 

অজান্তাঃ-আমি অজান্তা,, তন্ময় কেমন আছে?? তোমাদের কি বিয়ে হয়ে গেছে?.

 

নিলীমাঃ- তুমি সেই মেয়ে অজান্তা,, তন্ময় আর আমার বিয়ে হবে কেনো??

 

অজান্তাঃ- তোমরা একে অপরকে ভালোবাসো তার জন্য,, সেদিন আমি সব দেখেছি,,

 

নিলীমাঃ- একটু আলাদা ভাবে কথা বলতে পারবো কি তোমার সাথে,, তাহলে হইতো তোমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো,,

 

অজান্তাঃ- ঠিক আছে চলো,,

 

নিলীমা একটা বই হাতে নিয়ে অজান্তার সাথে গাছের নিচে বসে,, অজান্তার স্বামী তার বন্ধুদের সাথে কথা বলছে,,

 

অজান্তাঃ- হুমম বলো কি বলতে চাও!!

 

নিলীমাঃ- এই বইটা তোমার আর তন্ময়ের জিবনের উপর লেখা,, সেদিন তুমি যা দেখেছিলে সেটা ভুল ছিলো,, চোখে দেখলে সেটা সত্য হয় না,, আর সত্যটা চোখে দেখা যায় না,,

 

অজান্তাঃ- কি বলতে চাও ক্লিয়ার করে বলো৷ ( অস্থির হয়ে )

 

নিলীমাঃ- তুমি জানো তন্ময় এর অবস্থা!! তুমি ওরে ভুল বুজে চলে গেছিলে,, তুমি যেমনটা ভেবেছিলে সেটা ছিলো না,, তন্ময় শুধু আমার ভালো বন্ধু ছিলো,, আর তুমি আমাদের জিএফ বানাই দিছো,,

 

অজান্তাঃ- তন্ময় কেমন আছে??

 

নিলীমাঃ- তন্ময় বেচে থেকেও মরে গেছে,, তুমি চলে যাওয়ার পর ড্রাগ নেওয়া শুরু করে,, ৬ মাস বাসা থেকে বের হয় না,, অন্ধকারের ভিতরে নিজেকে মানিয়ে নিচে,,

 

অজান্তাঃ- আমার তন্ময় ড্রাগস নেয়,, আমি এটা কি করলাম আমার ভুলের জন্য ওর জিবন নস্ট করে দিলাম,, ( কান্না করে )

 

নিলীমাঃ- এখন আর কি করবে?? একটা ছেলের ভালোবাসা না বুজেই তাকে ভুল বুজে অন্যের বউ হয়ে গেছো,, এখন বলছো তোমার তন্ময়,, একবারও জানতে চাইছো কেমন আছে তন্ময়!! তোমাদের মতো কিছু মেয়ের জন্য এই মেয়ে জাতটার এত বদনাম... এই নাও বই এটা তন্ময়ের লেখা গল্প যেখানে ও ওর জিবনের সব কথা লিখেছে,, কত কস্ট পাইছে ছেলেটা দিনকে দিন নিজের জিবন নস্ট করে ফেলছে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে...

 

নিলীমার স্বামীঃ- নিলীমা চলো আমাকে অফিস যেতে হবে.. ( ঘড়ির দিকে তাকিয়ে৷) এনি কে..

 

নিলীমাঃ- সেই ফালতু মেয়ে এটা যার জন্য তন্ময় ওর জিবন নস্ট করে ফেলছে,,

 

নিলীমার স্বামীঃ- ওহহ আপনি সেই অজান্তা,, তন্ময়ের সাথে এটা ঠিক করেন নাই আপনি?

 

নিলীমা আর ওর বর তাচ্ছিল্যের সাথে অজান্তাকে দেখে হাটতে হাটতে বাইরের দিকে চলে যাচ্ছে,, অজান্তার বুকের ভিতর পানি যেমন গরম করলে টগবগ করে তেমনই করছে,, অঝরে চোখের পানি পড়ছে চোখ বেয়ে,,

 

অজান্তাঃ- এটা আমি কি করলাম.. তার সুখী করতে গিয়ে আজ তাকে মরনের পথে ঠেলে দিলাম,, ( কাদতে কাদতে )

 

অজান্তার স্বামী মনিরুক অজান্তাকে কাদতে দেখে এগিয়ে এসে কাধে হাত রাখতে অজান্তা একটু চমকে উঠে কাধের দিকে তাকায়,,

 

মনিরুলঃ- কি হইছে?? কাদছো কেনো.. তোমার শরীর ঠিক আছে তো!

অজান্তাঃ- আমার শরীর ভালো লাগছে না পেট ব্যাথা করছে,, বাসায় চলো.. ( চোখের পানি মুছে কান্না ভেজা কন্ঠে )

 

মনিরুলঃ- ঠিক আছে চলো..

 

অজান্তা আর মনিরুল বাসার দিকে চলে যায়,, ঘুম থেকে উড়ামুড়া দিয়ে উঠে তন্ময়,, ঘুম থেকে উঠে পাশে থাকা মদের বোতল থেকে এক গ্লাস বানিয়ে গলায় ঢেলে নিলো,,

পাশে থাকা সিগারেটের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালিয়ে টানতে রইলো...

 

তন্ময়ের ঘরটা ধোয়ায় সাদা হয়ে গেছে,, তন্ময়ের ফোনটা বেজে উঠলো,, বেজে উঠে প্রিয় মানুষের দেওয়া সেই প্রিয় গিটারের সুরটা,, সিগারেট হাতে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর মা কল করেছে..

 

তন্ময় কল রিসিভ করে কানে ধরে,,

তন্ময়ের মাঃ- কেমন আছিস বাবা??

 

তন্ময়ঃ- ভালো,,

 

তন্ময়ের মাঃ- খেয়েছিস,,

 

তন্ময়ঃ- হ্যা তুমি,,

 

মাঃ- হুম খেয়েছি.. কতদিন তোকে দেখি না একবার বাসায় আসবি বাবা,, ( কান্নাভেজা কন্ঠে )

 

তন্ময়ঃ- হুম আসবো..

 

মাঃ- বাবা ৬ মাস হলো অজান্তা চলে গেছে এখনও ওর কথা মনে করে নিজেকে কেনো কাদাচ্ছিস!!

 

তন্ময় কল কেটে দিলো,, সিগারেট টানতে টানতে বিছানায় বসে রইলো,, দু দিন পর....

অজান্তাঃ- রাব্বী তন্ময়ের সাথে একটু দেখা করাবা প্লিজ??

 

রাব্বীঃ- কেনো?? আবার কি ওর জিবন নিয়ে খেলতে চান,, আপনার ছলনার জন্য আমি শুধু আমার বন্ধুকে না আমি আমার ভালো ভাইকেও আজ মৃত্যুর মুখে দেখছি,, কি দোষ করছিলো তন্ময়,, শুধু তো একটু ভালোবাসা চাইছিলো,, আর আজ আপনি ওর জিবনটাকে নস্ট করে দিছেন,, ( কান্নাভেজা কন্ঠে )

 

অজান্তাঃ- প্লিজ আমি তোমার পায়ে ধরি তন্ময়ের সাথে একবার দেখা করাই দাও.. ( রাব্বীর পা ধরে কান্না করে ৷)

 

রাব্বীঃ- এসব কি করছেন?? প্লিজ উঠুন,,

 

অজান্তাঃ- প্লিজ তন্ময়কে একবার দেখার সুযোগ দাও,, অনেক কস্টে জানছি তুমি ওর সাথে মাজে মধ্যে দেখা করো,, ( অজান্তা৷)

 

রাব্বীঃ- ওকে!! একটু পর দুপুরের খাবার নিয়ে যাবো ওর জন্য,, তখন আপনি যাইয়েন,, টুম্পা টুম্পা...

 

টুম্পাঃ- হ্যা বলো... এই মেয়ে এখানে কেনো?? ( রাগী কন্ঠে অজান্তাকে দেখে৷)

 

রাব্বীঃ- তন্ময়কে দেখতো আইছে,, তুমি ওনার জনয চা নিয়ে আসো,,

 

টুম্পাঃ- একবার তন্ময়ের জন্য জিবনে এসে জিবন নস্ট করে ওর মন ভরে নাই,, এখন কি নতুন করে ওর জিবন নস্ট করতে আইছে,,

 

আজ অজান্তা কিছু বলছে না আর বলবেই বা কি অজান্তার কিছু বলার নেই চোখ বেয়ে অশ্রু বেয়ে পড়ছে,, হইতো অজান্তার এটাই পাওয়ার ভাগ্য ছিলো,, এক বুক লাঞ্চনা আর কস্ট অপমান,,

 

অজান্তা মাথা নিচু করে বসে আছে,, কান্না ভেজা কন্ঠে রাব্বীকে বললো অজান্তা..

অজান্তাঃ- তোমরা বিয়ে কবে করলে??

 

রাব্বীঃ- আপনার বিয়ে হওয়ার ৬ দিন পর,, তন্ময়ই আমাদের পরিবারকে মানিয়ে বিয়ে দিছে,, তারপর থেকে বাসা থেকে বের হয় না,,

 

অজান্তাঃ- ওরে নেশা করতে না করো নাই,, আঙ্কেল আন্টি কোথায়??

 

রাব্বীঃ- ওনারা মাগুরা চলে গেছে,, তন্ময় এখানেই আছে আন্টি বার বার ওরে যাইতে বলে কিন্তু ও যাবে না,, আন্টি অনেক কান্না করে,,

 

অজান্তা,,রাব্বী এভাবে গল্প করছে,, কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো তন্ময়ের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে,, তন্ময়দের বাসার সামনে গিয়ে রাব্বী তন্ময়কে কল দেয়,,

 

তন্ময়ঃ- হ্যালো,, ( ঘুমের ঘুরে)

 

রাব্বীঃ- দরজা খোল,, আমি দরজা বাইরে বসে আছি,,

 

তন্ময়ঃ- ওখানেই চাবি আছে,, খুলে ভিতরে আয়,, জেনেও না জানার কি আছে!!

 

রাব্বীঃ- ওকে!!

 

টুম্পাঃ- কি বলছে!!

 

রাব্বীঃ- ঘুমাচ্চে এখানেই চাবি রাখা আছে,, ওই টবের ভিতর দেখো ওখানে আছে,,

 

টুম্পা রাব্বীর কথা মতো চাবি নিয়ে রাব্বীর কাছে এলে,, দরজা খুলে সকলে ভিতরে ডুকলো,, বাড়িটা কেমন নোংরা নোংরা লাগছে,, ৬ মাস হলো কেও ঝাড়ু দেয় না,,

 

অজান্তা লক্ষ করে ওর পছন্দের ফুল দানিতে ময়লা পরে গেছে,, ধীরে ধীরে সকলে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে,, রাব্বী তন্ময়ের রুমে ডুকে গেলো সাথে টুম্পা আর অজান্তা,,

 

ঘরটা পুরা অন্ধকার,, রাব্বী লাইট জ্বালাতে অজান্তা এদিক ওদিক লক্ষ করে,, রুমের চার পাশে মদের বোতল,, সোফার সামনের টেবিলে পাউডার,, এখানে সেখানে সিগারেট পরে আছে,, খাটের পাশের টেবিলে ট্যাবেলেটের পাতা পড়ে আছে,, এসব দেখে অজান্তা কান্নায় ভেঙে পড়েছে,, শব্দবিহীন কান্না করছে মুখ আটকে,,

 

টুম্পাঃ- ভাইয়া উঠ,, সারা ঘর এসব কি করে রেখেছিস!!

 

তন্ময়ঃ- হুমম!!

 

রাব্বী গিয়ে জানালা থেকে পর্দা সরিয়ে দিলো,, সূর্যের কিরন তন্ময়ের চোখে পড়তে,, চোখের উপর হাত দিয়ে বিছানায় বসে রইলো,,

 

মদের বোতল খুলে এক প্যাক বানিয়ে খাইতে গেলে টুম্পা রাগী কন্ঠে বলে,,

টুম্পাঃ- ভাইয়া এসব কি হচ্ছে?? আবার কেনো এসব করছো!!.. তোমাকে না বলেছি অজান্তাকে ভুলে যাও আর এসব চাইপাশ খাবে না,,

 

তন্ময়ঃ- কি করবো ভুলতেই পারি না,, ওর স্মৃতিগুলো ভুলতেই মন চাই না,,আর তোদের না বলেছি আমার জন্য খাবার আনতে হবে না,,

 

টুম্পাঃ- নিজের বোন হলে আমার কথা রাখতে,, তোমার বোন না বলে আমার কথা রাখছো না,,

 

তন্ময়ঃ- ওকে ওকে,, আমি এসব রেখে দিচ্ছি,, ( পাশে তাকাতে অজান্তার কান্না মাখা মুখটা দেখতে পায় )

 

অজান্তা দেয়ালে পিঠ ঠেকে কান্না করছে, নিচের দিকে তাকিয়ে,, তন্ময় একবার অজান্তার দিকে তাকায় আরেকবার রাব্বী,, একবার টুম্পার দিকে একবার অজান্তার দিকে,,

 

তন্ময়ের চোখ বেয়ে পানি পড়ছে কিন্তু কথা বের হচ্ছে না,,

অজান্তাঃ- কেমন আছো তন্ময়,,

 

তন্ময়ঃ- আমি,, আ আ আমি বিন্দাস আছি,, ( কান্না ভেজা কন্ঠে)

 

অজান্তাঃ- আমার উপর রাগ করে নিজের জিবন কেনো নস্ট করছো,,আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ..

 

তন্ময়ঃ-......

 

অজান্তাঃ- তন্ময় আমার দিকে তাকাও প্লিজ,,

 

তন্ময়ঃ- কিছু বলবেন,, না বললে আসতে পারেন আমার ভালো লাগছে না,,

 

অজান্তাঃ- ক্ষমা করে দাও প্লিজ... ( কান্না করে )

 

তন্ময় রাব্বীর দিকে তাকাতে রাব্বী অজান্তাকে নিয়ে বাইরে চলে এলো,,

,,

,,

,,

চলবে নাকি..

,,

ভুলত্রুটি মার্জনীয়..

#সিজন-০২

গল্পঃ- পিচ্ছি শয়তানের সিনিয়র ক্রাস

লেখকঃ- অর্ক ইসলাম তন্ময়

পর্বঃ-০২..!!

,,

,,

তন্ময় রাব্বীর দিকে তাকাতে রাব্বী অজান্তাকে নিয়ে বাইরে চলে এলো,, তন্ময় টুম্পার উদ্দেশ্য করে বলে,,

তন্ময়ঃ- ওনাকে এখানে কে নিয়ে এলো??

 

টুম্পাঃ- কেও নিয়ে আসে নাই,, রাব্বীর হাত পা ধরে এখানে আইছে,, তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো তোমার জন্য খাবার দিতেছি,,

 

তন্ময়ঃ- ঠিক আছে,, আব্বুরে কল দাও তো,, আমার ফোনে টাকা নাই..

 

টুম্পাঃ- রাব্বী আসলে কল দিও,, এখন খেয়ে নাও..

 

টুম্পা খাবার বেরে দিলো,, তন্ময়ের মুখে ভাত ডুকছে না তবুও খেতে হচ্ছে,, এভাবে আর কতদিন?? আমাকে পাল্টাতে হবে কার জন্য এভাবে থাকবে এগুলো খেতে খেতে ভাবছে,,

 

খাবার শেষ হতে রাব্বী ফিরে আসতে টুম্পা তন্ময়ের আব্বুর কাছে কল দিতে বলে,, রাব্বী পকেট থেকে মোবাইল বের করে কল করে,,

 

তন্ময়ের কাছে ফোন দিতে দুজনেই নিস্তব্ধ কেও কোন কথা বলছে না,, তন্ময় নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে চাপা সুরে বলে,,

 

তন্ময়ঃ- কেমন আছো আব্বু??( চাপা সুরে৷)

 

তন্ময়ের মুখে আব্বু ডাক শুনতে তন্ময়ের বাবার চোখে পানি চলে এলো,,

আব্বুঃ- হ্যা বাবা বল,, কেমন আছিস তুই??

 

তন্ময়ঃ- বাবা আমি আবারও কলেজ এ ভর্তি হতে চাই,, তোমার ওখানে না অন্য কোথাও!!.

 

আব্বুঃ- ঠিক আছে তুই যেমন চাস তেমনই হবে,,

 

তন্ময়ঃ- তোমরা বাসায় চলে এসো,, আমি তোমাদের জন্য অপেক্ষা করবো,,

 

আব্বুঃ- ঠিক আছে,, আসছি..

 

কল কেটে দেওয়ার পর তন্ময়ের বাসা পরিষ্কারের কাজে লেগে পড়লো,, সন্ধ্যা অবধি তন্ময় একা একা পরিষ্কার করে নিজের রুমে বসলো,,

 

ক্লান্ত শরীর নিয়ে বসে আছে,, কিছুক্ষণ পর তন্ময়ের মা ঘরের ভিতর চলে আসে,, পারিসা সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠতে ওর আম্মু কফি দিয়ে যায়,,

 

পারিসার আম্মুঃ- পারিসা মা উঠে পর,, সন্ধ্যা লেগে গেছে,,

 

পারিসাঃ- হুমম,,

 

পারিসার আম্মু চলে যেতেই পারিসা বিছানা থেকে কফি হাতে নিয়ে বেলকুনিতে গেলো,, কফি খেতে খেতে বাইরের শহরে আনাগোনা চেনা জানা মানুষ গুলোকে দেখছে,,

 

এমন সময় পারিসার ফোন বেজে উঠলো,, মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখে,, সুমাইয়া কল দিছে,,

 

পারিসাঃ- হ্যাঁ সুমাইয়া বল,,

 

সুমাইয়াঃ- বাসায় আয় একটা পিস পাইছি আজ,, সালা মাইয়া দেখলে ইভটিজিং করে,, আজ তুলে আনছি ওইডারে,,

 

পারিসাঃ- খাড়া আমি আসতেছি,,

 

পারিসা কফি খাওয়া বাদ দিয়ে বেরিয়ে পড়লো সুমাইয়া দের বাসার উদ্দেশ্য করে,, সুমাইয়া বাসার ছাদে উঠে দেখে ছেলেটাকে বেদে রেখেছে চেয়ারের সাথে,,

 

পারিসাঃ- লাঠিটা দে!!

 

সুমাইয়াঃ- এই নে,, শালার সাহস কত..

 

পারিসা লাঠি নিয়ে ৪-৫ টা লাঠি দিয়ে মারে,, ছেলেটা আহহ কান্না করে উঠে মুখ বাধা আছে বার উহু উহু করছে,,

 

পারিসাঃ- ওর মুখের বাধন খুলে দে,,

 

পারিসার কথা শুনে সুমাইয়া মুখের বাধন খুলে দিছে,, মুখের বাধন খুলে দিতে কান্না করে ছেলেটা বলে,,

 

ছেলেঃ- পারিসা আপু আমারে মাফ কইরা দাও,, আমি আর কোন দিন এমন করবো না,,

 

পারিসাঃ- লাথোকা ভুত বাতোছে মানে নেহি,, কি যেনো বলিস?? কি যেনো বলে তোদের..!"

 

সুমাইয়াঃ- আমাদের ফিগার নাকি আগুনের মতো,,

 

পারিসাঃ- ফিগার কি বে?? ( মাথার চুল ধরে )

 

লাঠি দিয়ে মারতে থাকে,, পারিসা কয়েকবার মেরে সুমাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে,,

পারিসাঃ- এইডারে নেড়া করে পাড়ায় ছেড়ে দে,, আর শুনো মেয়েদের সম্মান করতে শেখ,, নইতো পুতে ফেলবো,,

 

পারিসা পরিবারের একমাত্র মেয়ে,, এবং বাড়ি বড় মেয়ে লেখা পড়া এবার ইন্টার ১ম বর্ষে,, কলেজের কোন সিনিয়র ছেলে পারিসা কলেজে যাওয়ার পর ইভটিজিং করতে পারে না,, কাওকে বাজে ভাষায় কথা বলতে পারে না,, এটাই পারিসা...

 

তন্ময়ের বাবাঃ- তাহলে তুমি কাল চট্রগ্রামে চলে যাও,, ওখানে আমার কলেজের বন্ধু এনায়েতের কলেজে ভর্তি হয়ে যেও,, আমি ওর সাথে সব কথা বলে নিয়েছি,,

 

তন্ময়ঃ- আমি কাল মা আজই রওনা হতে চাই,, যাওয়ার আগে আম্মুর হাতের রান্না খেয়ে যেতে চায়..

 

রাব্বীঃ- তাহলে কি আমরা ফাকি তো পড়বো!! তন্ময়ের কথা মতো সকল জিনিস নিয়ে হাজির,, আন্টি তাড়াতাড়ি রান্না ঘরে যাও তোমার হাতে রান্না খেতে পারি না,, তোমার বউমার হাতের রান্না এখন আর ভালোই লাগে না,, ( টুম্পাকে রাগানোর জন্য )

 

টুম্পাঃ- তাহলে ভালোই হলো আজ থেকে আর রান্না করতে হবে না,, আন্টি আসো,,

 

তন্ময়ের মা আর টুম্পা রান্না করতে চলে গেলো,, তন্ময় আর রাব্বী উপরে আর তন্ময়ের বাবা নিচে বসে,,

 

..........

পরেরদিন বিকালে তন্ময় চট্রগ্রামে পৌঁছে যায়,, চট্র

গ্রাম বাস স্ট্যান্ড নামতে নিজেকে হালকা মনে করছে তন্ময়,,

তন্ময় ওখান থেকে আব্বুর বন্ধুর দেওয়া ঠিকানা অনুসারে চলে গেলো,,

 

রিকশাওয়ালাঃ- ওম্নে হোজা গিয়া,, বামে যাইয়া প্রথম বাড়িডাই প্রিন্সিপালের বাসা,,

 

তন্ময়ঃ- আমি তো নতুন আপনি একটু দিয়ে আসলে ভালো হতো,,


Jwel Rana

36 Blog posts

Comments