কুকুরের আচরণগত সমস্যা সমাধান করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা পোষ্যের স্বাস্থ্য ও সুখকে প্রভাবিত করে। প্রথমত, পেশাদার প্রশিক্ষকের সহায়তা নেওয়া উচিত। প্রশিক্ষকের মাধ্যমে কুকুরের জন্য সঠিক আচরণ ও কমান্ড শেখানো সম্ভব। ইতিবাচক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, যেমন পুরস্কার দেওয়া এবং প্রশংসা করা, কুকুরের মনোযোগ বাড়ায় এবং তাদের শেখার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে।
দ্বিতীয়ত, কুকুরের সামাজিকীকরণের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। নতুন পরিবেশ এবং বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচিত করার মাধ্যমে কুকুরের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি এবং পোষা প্রাণীদের সঙ্গে খেলার সময় কুকুরের আক্রমণাত্মক বা উদ্বিগ্ন আচরণ কমাতে সাহায্য করে।
তৃতীয়ত, কুকুরের দৈনন্দিন রুটিন ঠিক রাখা জরুরি। খাদ্য, হাঁটা এবং খেলার সময় ঠিকমতো পরিচালনা করলে কুকুর শান্ত ও সুশৃঙ্খল থাকে।
এছাড়া, কুকুরের অবসাদ কমানোর জন্য খেলনা এবং শারীরিক ব্যায়াম নিশ্চিত করতে হবে। সময়ে সময়ে পশুচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বাস্থ্যগত কারণও চিহ্নিত করা যেতে পারে। সঠিক যত্ন ও মনোযোগের মাধ্যমে কুকুরের আচরণগত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।