বাবা-আমার বাবা
২০০০ সালের কেলেন্ডার আমার বাবা টা কেটে আমার জন্মদিন টিক দিয়ে রাখছে ২৯/২/২০০০❣️
আমি আমার নানু বাড়িতে হই,,আমার দাদা বাড়ি আর নানা বাড়ি পাশাপাশি ১মিনিটের রাস্তা তাই আব্বু রোজ আমাকে দেখতে যায় আর আব্বুর শার্টের বুতাম খোলে বুকের ভিতর রেখে দাদা বাড়ি নিয়ে আসতো যেনো তার রাস্তায় কেউ বুঝতে না পারে?
আম্মু গল্প করে সকালে আব্বু চাকুরিতে যাওয়ার সময় ঘুমে দেখে যেতো চাকুরি থেকে বাড়ি ফিরে দেখতো আমি ঘুমিয়ে থাকতাম তাই চাকুরি টাই ছেড়ে দেয়,,কোথায় বাবাকে একা দাওয়াত দিলে কখনই যেত না,, সব সময় আমাকে কিভাবে ভালো রাখবে সেই চিন্তায় থাকতো,,আস্তে আস্তে বড় হলাম বিয়ের আসতে লাগলো বিয়ের কথা শুনে বাবা স্টক করলো,,এতো ভালোবাসা এই আমি টার জন্য বিয়ের পর শুশুর বাড়ি চলে যাবো আমাকে সব সময় দেখতে পারবে না,,,
আজ কোথায় তুমি বাবা আমাকে তো আজ ৮ মাস হয় দেখো না আমাকে আখি বলে ডাক দেও না মা বলো বলো না চা আনছি খাবি আই?,,
জানো বাবা
আজ আমার পরিবরে অভাবের ছায়া
কত কিছুর অভাব,
তুমি থাকতে ছায়ার মত বট গাছ ছিলে,,
আমার সকল চাওয়া পুরন করেছো
অভাব কি আমাকে বুঝতে দেয়নি,,
ঘরে খাবারের কোনো কমতি ছিলো না।
আজ আমার খাবারের অভাব,
জানো বাবা আমি কখনো খাবারের জন্য তেমন কান্না করেনি কিন্তু ২ দিন হয় আমার চোখে নোনাজল গড়িয়ে পড়ে।
যাদের পাশে দাড়িয়েছি তারা কেউই পাশে এসে একটু আস্বাস দেয় না,,,আমরা আছি চিন্তা করো না,,
তুমি তো শিখিয়েছো সবার সাথে ভাগ করে খেতে।
আমি তো বাবা ভাগ করে খাই,কিন্তু আমার যখন খাবার থাকে না তাদের রুম থেকে গরু মাংস মুরগীর মাংসের সুভাস আসে কিন্তু ওরা ভাগ করে খাই না,,
নিয়তি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে বাবা,,
অন্যেদের কথা কি বলবো নিজের রক্ত নিজের চাচা কাকা রাই তো চোখের সামনে কত কি খাই তবুও বলে না খেতে।
অভাব মানুষকে কতটা পর করে দেয় তা আমি খুব ভালো করে বুঝে গেছি,,
হে রব
তুমি আমার বাবা কে জান্নাতুল বাসি করো
রব্বির হাম হুমা কামা রব্বায়ানি ছগিরা
আমিন।